করতলব খান মসজিদ
করতলব খান মসজিদ এটি ঢাকার একটি প্রাচীন মসজিদ ও স্থাপনা।এই মসজিদটি১৭০১ সাল থেকে ১৭০৪ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয় এবং মসজিদটি দেওয়ান মুর্শিদ কুলি খানের নামে এর নাম করণ করা হয়, তিনি কর্তালাব খান নামে পরিচিত ছিলেন। তবে এখানের স্থানীয়রা মসজিদটিকে বেগমবাজার মসজিদ নামে চেনে।এই মসজিদটি পুরান ঢাকার বেগমবাজারে অবস্থিত। পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি উঁচু ভিত্তির উপর নির্মাণ করা হয়েছে।
কাকরাইল মসজিদ
কাকরাইল মসজিদটি ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটিই হল বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মারকায বা প্রধান কেন্দ্র। ১৯৫২ সালে এই মসজিদটি তাবলীগ জামাতের মারকায হিসেবে নির্ধারিত হয়। মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ।তবে কাকরাইল মসজিদ সর্বপ্রথম কবে এবং কার দ্বারা নির্মিত হয়েছে তা নিয়ে মতভেদ আছে। কাকরাইল মসজিদের জৈষ্ঠ ব্যক্তিবর্গদের থেকে জানা যায় যে, নবাব পরিবারের যে কোন একজন সম্মানিত ব্যক্তি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। অনেকের ধারণা ৩০০ বছর আগে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদটি নবাবদের অন্যান্য স্থাপনার সাদৃশ্যেই নির্মিত ছিল। শুরুতে মসজিদটি স্বল্প পরিসরে ছিল। সামনে ছোট্ট একটি পুকুর ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, চল্লিশের দশকে রমনা পার্কের মালিগণ টিন দিয়ে ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৬০এর দশকে তাবলীগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইঞ্জিনিয়ার মরহুম হাজী আব্দুল মুকিতের তত্ত্বাবধানে তিন তলা মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।
কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ
কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ পুরান ঢাকার কসাইটুলির পিকে ঘোষ রোডে অবস্থিত শতবর্ষী একটি মসজিদ। স্থানীয়ভাবে এটি চিনির টুকরা মসজিদ নামে পরিচিত।মূলত মসজিদের গায়ে চিনামাটির সাদা টুকরাগুলো দেখতে চিনির দানার মতো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদটিকে এই নামে ডাকেন।মসজিদটি ১৯০৭ সালে নির্মিত হয়। আবদুল বারি নামে এক ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেন। ১৯৭৯ সালে কারুকার্যে কোন পরিবর্তন না করে মসজিদ সংস্কার করা হয়। পরে মসজিদটির ধারণক্ষমতা বাড়াতে এর পূর্ব এবং উত্তর দিকের সম্প্রসারণ করা হয়। মূল মসজিদটি একতলা হলেও বর্ধিত অংশটি তিনতলা। বর্তমানে এটি প্রায় পাঁচ কাঠা জায়গার উপরে অবস্থিত।
মূল মসজিদটির ভবনে সমতল কোন ছাদ নেই। ছাদবিহীন মসজিদের প্রতিটি পিলারের মাথায় রয়েছে গম্বুজ।মূল অংশের ছাদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। তিনটি গম্বুজের মাঝের গম্বুজটি বড় আর দুপাশের দুটির আকার মাঝারি। তাছাড়াও চার কোণায় রয়েছে চারটি বুরুজ, চারটির কারুকাজ একই ধরনের। গম্বুজ এবং বুরুজগুলোর মাথায় পদ্মফুলের নকশা করা তির রয়েছে। ছাদের চারদিক ঘিরে আছে অনেকগুলো টারেট।তাছাড়াও ছয়টি ছোট এবং দুটি জোড়া পিলারের দুটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলোর উচ্চতা প্রয় ৫ থেকে ১২ ফুট।মসজিদটির মূল বৈশিষ্ট্য হল এতে করা চিনিটিকরির কারুকাজ। মূল ভবনের ভেতরে ও বাইরের দেয়ালসহ সম্পূর্ণ জায়গায় চিনিটিকরি পদ্ধতির মোজাইক দিয়ে নকশা করা হয়েছে। চিনামাটির ভাঙা টুকরা আর রঙিন কাচ দিয়ে গোলাপ ঝাড়, আঙুরের থোকা, ফুলদানির ছবি মসজিদের দেওয়ালে খিলানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।মসজিদের ভেতরের মিহরাব এবং মিহরাবের আশপাশের নকশাগুলি হচ্ছে সবচেয়ে রঙিন এবং জমকালো।
তথ্যসূত্র ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১