এ সকল নারীদের না আছে এ-পারে ঠাই না আছে ও-পারে !
আমি ধর্মের দোহাই না দিয়ে একদম ছোট কয়েকটা কথায়
নিজেও বুঝতে চাই এবং অন্যকেও বুঝাতে চাই।বেশ কয়েক বলতে
তবুও প্রায় ৭থেকে ৮ বছর আগে একবার আমার মায়ের গলোলিভারে পাথর
হয়েছিল আর সেজন্য আমার মা-কে অপারেশন করাতে হয় । আর তখন
অপারেশনের আগে আমি যখন ডাক্তার-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে আমার মায়ের অপারেশন কে করবে ? অর্থাৎ পুরুষ ডাক্তার না মেয়ে ডাক্তার তখন
আমার মা-কে যে মহিলা ডাক্তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে রোগ ধরেছেন এবং
অপারেশনের কথা বলছেন উনি বললেন,দেখও বাবা আমরা মেয়ে সার্জেনরা
সবই পারি সবই বুঝি তবুও কেন জানি মেয়ে ডাক্তারের চেয়ে পুরুষ সার্জনদের অপারেশনই খুব ভালো হয় ।আমি তখন বললাম তাহলে আমার মাকে অপারেশন কি পুরুষ ডাক্তার করাবে ? উনি বললেন হ্যা তোমার মাকে
পুরুষ ডাক্তার অপারেশন করবে । কথাটা শুনে আমার মন খারাপ দেখে পরে
সেই মহিলা ডাক্তার আমাকে অনেক কিছু বুঝালেন এবং অবশেষে যে ডাক্তার
দিয়ে আমার মা-কে অপারেশন করাবে সে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন,সেই ডাক্তারও আমার মন খারাপ দেখে অনেক কিছু বুঝালেন এবং বললেন দেখ তোমার মা শুধু তোমার মা না সে আমারো মায়ের মতো তাছাড়াও আমরা ডাক্তাররা যখন কোনও সার্জারী বা অপারেশন টেবিলে থাকি তখন কে পুরুষ রোগী আর কে মহিলা রোগী ভাববার সময় থাকে না,
তখন আমাদের মাথায় একটা চিন্তাই কাজ করে কিভাবে রোগীকে বাঁচাবো ?
পরে উনি আমার সাথে আমার মায়ের কাছে গেলেন এবং আমার মায়ের কাছে এই বলে অপারেশনের অনুমতি চাইলেন,মা আমি আপনার অপারেশন
করবো আপনার কোনও আপত্তি আছে থাকলে আমাকে বলুন আমি আপনার
ছেলের মতই ।এটা গেল আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার একটা ঘটনা ।আমার প্রশ্ন
হলো একজন পুরুষ ডাক্তার যদি তার জীবন জিবিকা কাজের জন্য একজন
মহিলা রোগী-কে মা অথবা বোন মনে করেন তাহলে একজন হজকারী পুরুষ
হজপালনরত অবস্থায় আরেকজন হজপালনরত নারীকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন ?
আর এ কারনেই সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে মহিলাদের যৌন হয়রানির যে অভিযোগুলো আসছে
সেগুলো কোনভাবেই আমার কাছে গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হচ্ছে না বা আমি সমর্থন করি না ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১