ভারতবর্ষের অযোধ্যায় ছিলেন, অঢেল ধন সম্পদের অধিকারী ছিলেন এই কালীদাস গজনী।তিনি প্রতিদিন একটি করে সোনার হাতির মূর্তি ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দিতেন এবং তারপর অন্ন জল স্পর্স করতেন।ভাগ্য বিপর্যয় ঘটায় তিনি এ দেশে এসে বসতি করেছলেন।কিছুতেই তিনি
শান্তি পাচ্ছিলেননা,তার মনে হাজারো প্রশ্নের জয়ধ্বণি জেগে ওঠতে থাকে,তার ভাগ্য গুনে দেখা হয়ে গেল এক কামিল দরবেশের সাথে।
সেই পরম মুনির পরশে তার মনের সব সংশয়ের কপাট খুলে গেল ।তিনি পাঠ করলেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ।
তিনি তার পূর্ব জীবনের যত শিরক গুনাহ করেছেন তার কথা মনে মনে স্বরণ করে সে দরবেশের হাত ধরে তওবা করলেন,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুওয়াদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহয়ি য়ুমীতু বিইয়াদিহিল খাইর,ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইন ক্বাদীর।
অর্থাৎ আল্লাহু ছাড়া আর কোনো মাবুদ নাই,সকল কৃর্তৃত্ব এবং সব প্রশংসার ও সকল আরাধনা এবং সকল উপাসনা একমাত্র তারই প্রাপ্য।
তিনি জীবন দেন আবার তিনিই মৃত্যু ঘটান।সমস্ত কল্যান তারই হাতে,তিনি সর্ব শক্তিমান।যার হাতে হাত রেখে বিত্তবান কালীদাস ইসলাম
গ্রহণ করে সোলেমান খাঁ নাম ধারণ করলেন তিনি ছিলেন,সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রহঃ) এর অধঃস্থন পুরুষ সৈয়দ শাহ ইব্রাহিম (রহঃ) ।
সুলতান জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ শাহ তার জ্ঞান গুণে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাকে মালিকুল উলামা খেতাবে ভূষিত করেন এবং নিজ কন্যাকে তাহার
নিকত বিবাহ দেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬