somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ PK(2014)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুভি রিভিউ নাম দিয়ে স্পয়লার লিখে দিতে পারলে মন্দ হত না, আর সবার মুভি দেখার মজাটা নষ্ট করে দেওয়া।

না না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি মুভির মজা নষ্ট করে দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী। এই জিনিসটা আমি একদম অপছন্দ করি। আর বিশেষ করে মুভিটার নাম শুনে যখন ইতিমধ্যে অনেকেই জানেন যে মুভিটি আমির খানের, যাকে কি না বলিউডের মিস্টার পার্ফেক্ট বলা হয়ে থাকে। নিশ্চয় আপনাদের আশার মাত্রাটাও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে মুভিটি নিয়ে। তাই স্পয়লার দিয়ে সেটা আর স্পয়েল করার ইচ্ছে আমার নেই।

মূলত মুভি রিভিউ এ মুভির ডিরেক্টর বা কিছু শর্ত ইনফো দেওয়া হয়ে থাকে। আমার মুভি রিভিউ গুলো ভিন্ন স্টাইলে লেখা এটা আমি শুরু করার সময় ও বলেছি, এখন এখানেও আবার বলে নিচ্ছি। মাঝে সাঝে রিমাইন্ডার দেওয়া ভাল। তাহলে আপনাদের খেয়াল থাকবে বৈকি।

যাই হোক মূল আলোচনায় আসি, পি কে ! তার আগে আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে, বরাবরের মতই আমার মুভি রিভিউ মানে আপনাকে হুট করে কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া আর হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন করা। এবার বলুন, মানুষ সবাইই কি এক? সবার বৈশিষ্ট্য কি একই রকম ?
সবাই কি একভাবেই ভাবতে জানে ? তবে তো এমন হত সবকিছুই একইরকম ভাবে হত। না থাকতো আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারা, নাই বা থাকতো আমাদের নিজস্ব মতামত বলে কিছুর অস্তিত্ব। কারণ তখন আমাদের সবার মতামত তো একই হত। সবকিছু তখন একই পন্থায় কাজ করতো। তখন সৃজনশীলতা বলেও কিছু হয়তো থাকতো না। আমরা বিভিন্ন চিন্তাধারার, বিভিন্ন রকম সত্তার হয়েছি এর পেছনেও কি একোটা সুক্ষ্ম কারণ থাকতে বলে কারো মনে হয়নি?
কেন এই বৈচিত্রতা, কেনই বা আমাদের নিজস্ব চিন্তাধারা দিয়ে, সেই চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ? আমাদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা দেওয়ারই বা কি দরকার ছিল যদি তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন না থাকে স্রষ্টার?

বিষয়গুলো ভাবার। আর হ্যাঁ এখানে ধর্ম টেনে এনে দয়া করে পোস্ট টা কে নাস্তিক/আস্তিকের কাতারে ফেলবেন না। এটা ব্লগের পুরনো ইস্যূ। আমি এই দুটোর একটা নিয়েও কথা বলছি না। মনে রাখবেন আমি শুধুই মুভি বিষয়ক কথাই বলছি। এখানে আমার ব্যক্তিগত ডায়েরী খুলে বসিনি যে ব্যক্তিগত মতামত লিখে যাচ্ছি।

তো যা বলছিলাম, অনেকগুলো প্রশ্ন করলাম, আরো অনেক অনেক প্রশ্ন কিন্তু করা সম্ভব। তবে আর বেশিদূর এগুচ্ছি না। এইতো আর দুচারটা প্রশ্ন করেই ক্ষ্যান্ত হবো।
এখন ধরুন আপনি একজন শিশু। একজন শিশুর যখন মুখে বুলি ফুটে, যখন সে পুরোপুরি কথা বলা শিখে। তার এটিচিউড কেমন টা থাকে ? সে যা দেখে তাতেই অবাক হয় এবং প্রশ্ন করে। প্রশ্নের কোন শেষ হয় না তার। আর যদি আর দশটা শিশুর থেকে সে একটু স্মার্ট বা বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতী হয় তবে অনেক সময় বড়দের সেই শিশুর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। নিজেদের ও দেখা যায় তখন পড়াশুনা করার প্রয়োজন পরে যেতে পারে। একটি শিশু কিচ্ছু জানেনা, কিচ্ছু বোঝে না। তাকে হয়তো অভভাবক হিসেবে অনেক কিছু শেখাবেন আপনারা। কিন্তু শিশুর নিজস্ব মস্তিষ্ক যেহেতু আছে, তার ভাববার পন্থাও কিন্তু ভিন্নই হবে, তাই কি হওয়া উচিত না? আপনি যতই তাকে আপনার মত করে গড়ে তুলতে যান না কেন তার নিজস্ব চিন্তাধারা কে কিন্তু প্রভাবিত করতে পারবেন না, একদিন না একদিন তা ঠিকই প্রকাশ পাবে, যদি আপনি বেশি ডোমিনেটিং হয়ে থাকেন, তবে হয়তো সেটা প্রকাশে দেরিই হবে, কিন্তু যদি আপনি তার মুক্তি চিন্তায় স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন তবে তা হয়তো দ্রুতই ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকবে। তবে হ্যাঁ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত নয়, এতে করে একজন শিশুর মধ্যে ম্যাচুরিটি জিনিসটা অনেক দেরি তে আসে। যাই হোক, আমি শুরু করেছিলাম মুভি রিলেটেড কথাবার্তা দিয়ে, এখন মনে হয় একটু বেশিই অপ্রাসঙ্গিক দিকে চলে যাচ্ছি। অবশ্য সেটা আপনারা পোস্ট পড়েই বিচার করবেন না আশা করছি, মুভি দেখে এসে বিচার করবেন অবশ্যই :)



মুভিটির এই এম ডি বি লিঙ্ক

মুভিটির টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক(এইচ ডি বের হয়নি এখনো)

টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক তো দিলাম, কিন্তু মুভিটির এইচ ডি প্রিন্ট এখনো বের হয়নি। আর এই প্রিন্ট টা ভালো এর কাতারে পরে না, কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত বলা চলে।

শেষ করছি একটা কথা দিয়ে,

স্রষ্টা সার্বজনীন, আমাদের সবার স্রষ্টা একই। আমরাই তার বিভাজন টেনেছি। তার ইবাদত করার হরেক রকম পন্থা বের করেছি।
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×