আমরা অনেকেই হয়তো ডোডো পাখির নাম শুনেছি।এটি ভারত মহাসাগরের মরিশাস দ্বীপের জাতীয় প্রতীক,যা আজ পুরোপুরি বিলুপ্ত ।
ডোডো পাখি ছিলো মরিশাস দ্বীপের একটি স্থানিক পাখি,কারন এ দ্বীপ ছাড়া এটিকে আর কোথাও দেখা যায় নি।এটি উড়তে অক্ষম একটি পাখি,যার কাছাকাছি জাতভাই হলো কবুতর ও ঘুঘু।যদিও সাইজে ও ওজনে সে তাদের থেকে ব্যতিক্রম।এটি লম্বায় ছিল সাড়ে তিন ফুট ও ওজনে প্রায় ২০ কেঃজিঃ।
এরা ফলমুল ও তৃনভোজী ছিলো,আর মাটিতেই বাসা ও ডিম পাড়তো।বলা যায় এটিও তাদের বিলুপ্তির একটি কারন।এই একটি প্রজাতি মানুষের সরাসরি হস্তক্ষেপে সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি হতে বিলুপ্ত হতে থাকে।এরা স্বভাবগতভাবে নির্ভীক পাখি ছিলো,মানুষ দেখলে পালাতো না বরং কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে আসতো আর শিকারে পরিনত হতো।
তাই ইংরেজীতে প্রবাদ আছে “ডোডোর মত মৃত্যু” মানে হলো বোকার মত মৃত্যু বা এমন মৃত্যু যা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নাই।
বস্তুত সে আমলে ক্যামেরা না থাকাতে শুধু শিল্পীর আকা তুলিতে আমরা তাদের সম্পর্কে ধারনা পাই।অবশ্য মরিশাস জাদুঘরে এদের কংকাল আছে।এছাড়াও ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ডোডোর ট্যাক্সিডার্ম করা দেহ আছে।
১৫৯৮ সালে ডাচ অভিযাত্রি এডমিরাল উইব্রান্ড ভ্যান ওয়ারুইজকের মরিশাস অভিযানে প্রথম ডোডো পাখি সম্পর্কে জানা যায়।তিনি এর নাম দেন ওয়ালো বার্ড বা জঘন্য পাখি,এর স্বাদের জন্য এ উপাধি ঘটে।১৬০৬ সালে আরেক অভিযাত্রি কর্নেলিস মাটেলিফ ডি জং এর বিস্তারিত বর্ননা দেন।
ডোডো পাখি বিলুপ্ত হওয়ার প্রধানতম কারন হল,এদের মানুষ সম্পর্কে নির্ভীকতা,মানুষ দেখলে এগিয়ে আসা,মাটিতে বাসা বাধা ও ডিম পাড়া।এছাড়া পরবর্তীতে পর্তুগীজ নাবিকদের জাহাজে বয়ে আনা সংক্রামক ব্যাধি,ইঁদুর,কুকুর ও শুকুরেরা এদের নিশ্চিন্ন করে ফেলে।তখনকার কয়েকটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও আকস্মিক বন্যাও এদের বিলুপ্তির জন্য দায়ী।
মুঘল শিল্পীদের আঁকা মিনিয়েচারেও ডোডো পাখির অস্থিত্বের প্রমান মেলে।
মরিশাস জাদুঘরে ডোডোর কংকাল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




