"আজ আমি হারিয়েছি আমার নারীত্ব। আমিও ছিলাম একদিন এই ধরিত্রীর কুমারী। আজ আমি হারিয়েছি কুমারী, আমাকে ধর্ষিতা তনু বলে ডাকতে পারো। বাংলার কিছু মুখোশধারি ভদ্র লোকের আঘাতে আজ আমি রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত"।
মানুষ যতই পেন্ট-শার্ট পরিধান করুক না কেন যদি তার ভেতর মনুষ্যত্ব বোধ না থাকে তাহলে সে কখনো মানুষ হতে পারবে না, সে পশু পশুই থেকে যাবে। কুত্তার লেজে আপনি যত চোঙ্গা ডুকিয়ে রাখুন না কেন লেজ কখনো সোজা হবে না।
আসল কথা হচ্ছে, যার মধ্যে মনের বিচার যোগ্যতা নেই সে কখনো মানুষ হতে পারে না। সে তো পশু কারণ পশুদের মধ্যেই শুধু বিচার যোগ্যতা নেই।
যার মধ্যে মন্দ ভালো,ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার সুজ্ঞান নেই সে কখনো মানুষ হতে পারেনা। এ সমস্ত কুত্তা কর্মকে আন্তরিকভাবে ঘৃণা করুন কারণ মন্দ জীবন কখনো সম্মানিত হতে পারে না। মানুষের ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতাকে অমর্যদা করা মানিই তার সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করা। সমাজে যা চলে যা চলে আসছে বা চলছে তা পরিবর্তন করা কঠিন কিছু নয়।
আসলে আমরা যত চিল্লাই না কেন এরা কখনো মানুষ হবে না,সুষ্ঠু বিচার ও হবেনা।
কারণ আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা খুব একটা প্রশংসনীয় নয়। প্রশাসনের দৃষ্টিতে মানুষ মাত্রই মন্দ মেশানো তাই তারা মন্দ মন্দ পথে হাটুক।
আমি, আপনি যত চিল্লাই না কেন এর বিরুদ্ধে কখনো এদের পাষাণ, কুত্তাবৃত্তি কর্ম,দৃষ্টিভঙ্গি কখনো পরিবর্তন হবেনা। সর্বোচ্চ মানুষের আত্মীয় হতে পারবো এর চেয়ে বেশি কিছু না। এ রকম শত নারী নির্যাতিত হচ্ছে, শত শত ধর্ষণ হচ্ছে। কই? কখনো কারো কোন হাল তো হয়নি? তরী তো আসেনি? নির্যাতিতদের চিৎকারে আমাদের পাষাণ হৃদয় গলবে না, গলেও না।
কবে যে আমরা নিজেদের শক্তিকে পশুর মত নয়,মানুয়ের মত ব্যবহার করবো! যদি কোন দিন আমাদের মনের সম্মুখে মহাজীবনের স্বর্গ দ্বার খুলে যায় হয়তো তখন অজানিতের প্রেরণায় জাগবে, তবে নামের জন্যে নয়, কর্তব্যের জন্য, কর্তব্যের আহ্বানে মহা চেতনা লাভ করে সৎকাজের আহ্বানে ছুটে চলবো। হয়তো তখন অত্যাচারী, স্বাধীনতা হরণকারী দুর্বৃত্তের বিছানা বাংলার মাটি থেকে দূর হবে।
দেশের রাস্তাঘাট,অট্টালিকা, দালান উন্নত হয়ে কি করবে যদি দৈনন্দিন আনন্দ জিবনকে সুরভিত করতে না পারে।
চলোন না একবার পাপকে আন্তরিকভাবে ঘৃণা করে পাপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠি?
চলোন না আমরা সবাই ঈশ্বর পথের পথিক হয়ে যায়।