লে পাগলা লে
----- জোবায়ের রহমান
ছুটছে মানুষ হন হনিয়ে, গলির পরে মাঠ পেরিয়ে
দেখছে কতো আজব জিনস, যাচ্ছে হারিয়ে,
পিছন ফিরে দেখছেনা কিছু, চলছে শুধু পিছু পিছু
পাচ্ছে কিছু রঙিন জিনিস , ভুগছে রোগে কিছু।
পন্ডিতি আজ সবার তরে, পরছে মানুষ খালে বিলে,
ওরে লে পাগলা লে।
রাজনীতির ঐ পিছন ধরে, ছুটছে মানুষ কেমন করে
মরছে মানুষ অকারনে, শান্তনা পাই মরার পরে,
বক্তিতা আজ কমন জিনিস, প্রতিশ্রুতির মালা গাথে,
কেবা খোজে বাস্তবায়ন, কেবা নামে পথে,
ইচ্ছা করে কানে ধরে বাসাই আমি গরুর হালে,
ওরে লে পাগলা লে।
ক্যামিস্ট্রির ছাত্র হয়ে, চাকরী করি বাংলা পাঠে,
কি দরকার আজ বিদ্যা নিয়ে? টাকার খেলা ঘাটে মাঠে
সবকিছু যে বেআইনি আজ, উপরি দিলে বৈধ্য যে হয়,
এসব যে আজ নিয়ম সবই , গুনিজনে কয়।
নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা, কমবেনা ভাই বারবে কালে,
ওরে লে পাগলা লে।
বিদ্যা বোঝাই মানুষগুলোর , রেজাল্ট দেখে পিলে চমকায়
এডমিশনের সময় এলে, করে হায় হায়।
পত্রিকাতে শুনাম করে, লিখে দিলো বড় করে
ফেলযে করে পন্ডিতেরা , লজ্জা নাহি করে।
পাশের সংখ্যা বাড়ে শুধু, বেকার মরে কলে,
ওরে লে পাগলা লে।
হাজার হাজার আইনের ধরা, ইচ্ছা মতো করছে তারা,
গনতন্ত্র রাজতন্ত্র হয়, আমি স্বাধীন, ওরা করা?
দেশের জন্য রক্ত দিয়ে, ভুলকি হলো মানুষগুলোর?
মূল্যকি পায় দেশের প্রেমিক, নাকি ওরা বলদ কুলোর?
মুখে শুধু বড় কথা, কাজের বেলায় পটোল তোলে
ওরে লে পাগলা লে।
দুদিনের এই রঙ্গশালা, কতো সইবি হেলাফেলা ?
গর্জে ওঠো বাঙ্গালীরা , অধীকার নেওয়ার এলো পালা।
সইবে যদি সকল কিছু, চুরি পরে নিও সবাই,
রান্না করে দাওয়াত দিও আসবো মোরা সদাই,
স্বধীন দেশের স্বাধীন মুনুষ দেখো চক্ষু মেলে,
ওরে লে পাগলা লে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪০