somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০টি মিথ্যা আমাদের শিখানো হয় (শেষ পর্ব)

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা স্কুল জীবন থেকেই অনেক কিছু শিখি যে গুলিকে আমরা সারা জীবন সত্য বলে মেনে নিয়েই জীবন পার করে দেই। কিন্তু আমাদের যা শিখানো হয় তার সব কি সত্যি? অবশ্যই সত্যি তা না হলে তা আমাদের পাঠ্য পুস্তকে কি ভাবে ঠাই পেল? তাই না? কিন্তু এখন আপনাদের যা জানাবো তা জানলে হয়ত আপনার সব জানাই মনে হবে মিথ্যে হয়ে গেছে। আর এখন আমি যা বলব তা যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তাহলে একটু কষ্টো করে খোঁজ করুন পেয়ে যাবেন আসল সত্য। যা হোক তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।



০৬) কলাম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেনঃ
আমরা সকলেই বই পুস্তক পড়ে জেনেছি যে আমেরিকার আবিস্কারক কলাম্বাস কিন্তু তা কিন্তু একদম ভূল। আমেরিকা কলাম্বাস কতৃক খুঁজে পাবার প্রায় ১,০০০ বছর আগেই ভাইকিং 'লেইফি এরিকসন' (Leif Ericson) প্রথম আবিস্কার করেন আমেরিকাকে।


ভাইকিং 'লেইফি এরিকসন'

এছাড়াও অনেক বইতে লেখা আছে কলাম্বাস প্রথম প্রমান করেন যে পৃথিবী গোল কিন্তু তার এই আমেরিকা আবিস্কারের অভিযানের পূর্বে প্রায় ২,০০০ বছর আগেই গ্রীক পরিসংখ্যানবিদেরা প্রমান করেছিলেন যে পৃথিবী গোল।



০৭) স্বাদ গ্রহনঃ
আমাদের শিখানো হয় যে আমাদের জিহ্বার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্বাদের জন্য দ্বায়ী। যেমনঃ মিষ্টি, টক, তেঁতো এবং নোনতা স্বাধ গ্রহনের জন্য আমাদের জিহ্বার ভিন্ন অংশ কাজ করে। এটা কিন্তু সম্পুর্ন ভূল। আমাদের সম্পূর্ন জিহ্বাই শুধু মাত্র স্বাদ গ্রহনের জন্য ব্যাবহৃত হয়। বিশ্বাস না হলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন। তবে 'টক' স্বাদ গ্রহনের জন্য এক ধরনের প্রোটিন দ্বায়ী যা আমাদের জিহ্বাতে থাকে এবং যখন কোন টক স্বাদের সংস্পর্শে আসে তখন এটি আমাদের ব্রেইনে সংকেত পাঠায় পচা খাবারের।



০৮) আব্রাহাম লিংকন দাস প্রথার বিলুপ্ত করেনঃ
আমেরিকার এই প্রেসিডেন্টকে কে না চিনেন, আর তাকে সকলেই মনে রাখেন মূলত তার একটি কাজের জন্য আর তা হল দাস প্রথার বিলুপ্তিকারক হিসেবে। এমনটিই তো শিখেছেন তাই না। কিন্তু এটাও সম্পূর্ন ভূল। ১৮৬৭ সালে তিনি বলেন, 'If I could save the union with out freeing any slave I would do it', তাহলেই বোঝেন শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনেই তিনি দাস প্রথার বিলুপ্ত ঘটাতে বাধ্য হন কিন্তু তার মনের ইচ্ছা মোটেও এটা ছিল না। ওহ আরেকটা কথা, তিনি দাস প্রথা বিলুপ্তির যে ঘোষনা দিয়েছেল যেখানে তিনি শুধু মাত্র সেই সকল অঞ্চলের দাস প্রথা বিলুপ্ত করেছিলেন যে অঞ্চল গুলি সে সময় মিত্র হিসেবে ঘোষনা দিয়ে ছিল। এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত বুঝতে হলে অবশ্যই আপনাকে Civil War সম্পর্কে জানতে হবে।



০৯) নিউটনের অভিকর্ষন বল আবিস্কারঃ
আমরা সকলেই বিভিন্ন বইতে পরেছি যে অভিকর্ষন বলের আবিস্কারক আইজ্যাক নিউটন একদিন এক আপের গাছের নিচে বসে ছিলেন আর তখনই তার সামনে একটা আপেল গাছ থেকে পরে আর কেন গাছ থেকে এই আপেল পরে উপরে না যেয়ে নিচে পরল এই নিয়ে চিন্তা করতে যেয়েই তিনি আবিস্কার করে ফেলেন অবিকর্ষন বল। তাই না? এটাও কিন্তু সম্পূর্ন ভূল। নিউটন অনেক আগেই আবিস্কার করে ফেলেছিলেন যে কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করা না হলে তার অবস্থান কোন ভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।



১০) শিম্পাঞ্জি মানুষ একই পূর্ব পুরুষ থেকে আগতঃ
বিজ্ঞানের বই তে কেউ যে এই বিষয়টি নিয়ে পড়েন নাই এমন কেউ আছেন বলে মনে হয় না। যা হোক আমার পূর্ব পুরুষেরা বনের বান্দর ছিল কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপনাদের জ্ঞানার্থে একটু বলে রাখি। বিবর্তন ধারায় আমরা যে উন্নত মস্তিস্ক পেয়েছি তার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন আমরা কিন্তু তার থেকে কয়েক শত বিলিয়ন বছর আগেই উন্নত মস্তিস্কের ধারক হয়েছি। তাই বর্তমানে বিজ্ঞানীদের ধারনা হয়ত কেউ আমাদের মস্তিস্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। তা না হলে এত তাড়াতাড়ি এত উন্নত মস্তিষ্ক কোন ভাবেই অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর যদি কেউ তা করে থাকে তাহলে বিবর্তন ধারায় কিছুটা ভূল আছে। এ নিয়ে অনেক কথা আছে তা নিয়ে পূর্বেও আলোচনা করেছি, কিন্তু এখানে যে কথা গুলি বললাম তা নিয়ে আলোচনা করি নাই, তবে ভবিষ্যতে বিস্তারিত বলব বলে এখানেই খ্যান্ত দিলাম। যা হোক এবার শিম্পাঞ্জিদের কাছে আবার ফেরা যাক। আসলে এই সিম্পাঞ্জি কোন ভাবেই আমাদের পূর্ব পূরুষ নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ৬ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত যে প্রমান পেয়েছে তাতে কোন ভাবেই প্রমান করা যায় না যে সিম্পাঞ্জি আমাদের ধারেকাছের কোন আত্মীয় ছিল।

পূর্বের পর্বঃ ১০টি মিথ্যা আমাদের শিখানো হয় (১ম পর্ব)

লেখকঃ জানা অজানার পথিক AKA নহে মিথা।
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×