somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০টি ভৌতিক ছবি

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যুর পরে আমাদের আত্মার কি হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবে তা চিরতে চলে যায় এই পৃথিবী ছেড়ে আবার অনেকেই বলবে এমন কিছু আত্মা আছে যারা এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারে না বা যেতে চায় না। ক্যামেরা আবিস্কারের পর থেকেই তাতে ধারন করা এমন অনেক ছবি আছে যা আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে যে আসলে আত্মারা পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় না বরং আমাদের মাঝেই থেকে যায়। তবে এটা বিশ্বাস আর অবিশ্বাস করা সম্পূর্নটাই আপনার নিজের লালিত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের তর্কে না যেয়ে চলুন দেখে নেই এমন ১০টি ধারন কৃত ভৌতিক ছবি যা আপনাকে অবাক করতে বিন্দু মাত্র কার্পন্ন করবে না।



০১) বুটহিল গোরস্থানঃ
উপরের ছবিটি তোলা হয় ১৯৯০ সালে বুটহিল গোরস্থানে একটি ছবি দৃশ্যায়নের সময়। ছবিটিতে আছেন 'Terry Ike Clanton' যিনি একজন Western Cowboy চরিত্রে অভিনয় করছেন। আগেরকার দিনের পশ্চিমা পোষাকে নিজের একটি ছবি সংগ্রহে রাখার জন্য তিনি এই ছবিটি তোলেন। কিন্তু এখানে যে শুধু নিজের ছবি তোলেন নাই তা তিনি তখন টের না পেলেও পরবর্তিতে ঠিকই টের পেয়ছেন। তার বা কাঁধের পিছনের দিকে ঘাসের মধ্যে একজন ব্যাক্তিকে দেখা যাচ্ছে, যার পোষাকও অনেকটা আগেরকার দিনের পশ্চিমা পোষাকেরই মত। কিন্তু তখন যে কোন ব্যাক্তি পিছের গোরস্থানে ছিল না আর থাকলেও তার অর্ধেক দেহ যে মাটির নিচে ছিল না এটা অকপটেই স্বীকার করে নেন Terry Ike Clanton।



০২) সম্পূর্ন দেহঃ
ছবিটা হওয়ার কথা ছিল ফটোগ্রাফারের ছোট মেয়ের একটি দারুন ছবি। কিন্তু ছবিতে শুরু যে তার মেয়ের ছবিই ধারন করেন নাই তা দেখলেই বোঝা যায়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন ছোট মেয়েটি তার সামনে থেকে দৌড়ে যাওয়া ভৌতিক জিনিষটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।



০৩) Raynham Hall এর ভূতঃ
উপরের এই ছবিটি নিয়ে 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখায় আলোচনা করে ছিলাম, তাই এখানে আর কিছু লিখলাম না।



০৪) রোমানিয়ান ধর্মযাজিকাঃ
ছবিটি তোলা হয় ২০০৮ সালে রোমানিয়ার ১৫০ বছর পুরাতন 'Decebal Hotel' হোটেলে। আঞ্চলিক কল্পকথা অনুসারে এই হোটেলের নিচে লুকানো আছে অনেক ধনদৌলত। যার রক্ষনাবেক্ষন করে প্রেতাত্মারা।



০৫) গ্রান্ড ক্যানিয়নের ভূতঃ
আমেরিকার 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' এর সাথে কিন্তু আগেই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। ছবিটি তোলা কিন্তু এই গ্রান্ড ক্যানিয়নে। এই ছবি প্রথম প্রকাশ করেন অনলাইনে লেখক 'Cheygavara' (তার ছদ্দ নাম)। ছবিটি তোলা হয় ১৯৮০ সালের দিকে, এটি তার চাচার ছবি। তার মতে, তার চাচারা ক'জন বন্ধুরা মিলে গ্রান্ড ক্যানিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং বিভিন্ন ছবি তুলছিলেন। এরপর তারা বাড়ি ফিরে যখন ছবি গুলি ডেভোলপ করালেন, তখন একটি ছবিতে দেখলেন একজন লোক গাছের আড়াল থেকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন লোকটির কোন পা নেই। আর ছবি তোলার সময়ও কেউ তাকে দেখে নাই।



০৬) রহস্যময় হাতঃ
একজন পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রেতা 'Montague Cooper', একটি পুরাতন টেবিলের ছবি তোলেন যাতে ক্রেতাদের তিনি দেখাতে পারেন। কিন্তু ছবিটি ডেভোলপ করার পরে দেখতে পান টেবিলের উপর একটি হাত। তার কোন ধারনাই নেই যে এই হাত ছবির মধ্যে এলো কিভাবে। হয়ত এটা এই টেবিলের মালিকের হাত, যে হয়ত বলছে টেবিলটা বিক্রি না করতে। কে জানে?



০৭) লর্ড কম্বারমেয়ার এর চেয়ারঃ
'লর্ড কম্বামেয়ার' (Lord Combermere) মৃত্যুবরণ করলে একজন ফটোগ্রাফারকে ডাকা হয় লর্ডের খালি চেয়ারের ছবি তোলার জন্য। যখন ছবিটি ডেভোলপ করা হয় তখন সবাই টের পায় যে লর্ড কম্বামেয়ার এখনও তার চেয়ার ছেড়ে দিতে রাজি নন।



০৮) দাদীর পিছে দাদাঃ
উপরের এই ছবিটি নিয়ে 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখায় আলোচনা করে ছিলাম, তাই এখানে আর কিছু লিখলাম না।



০৯) সমুদ্রে ভূতঃ
১৯২০ সাল, 'SS Waterton' জাহাজের দু'জন নাবিক 'James Courtney' এবং 'Michael Meehan' দূর্ঘটনাক্রমে বিষাক্ত গ্যাসের কারনে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় জাহাজ সমুদ্র পাড় থেকে অনেক দূরে থাকার কারনে তাদের সমাধি করা হয় সমুদ্রের পানিতে। এরপর থেকেই শুরু হয় ভৌতিক সব ঘটনা। জাহাজের সকলেই সমুদ্রের পানির মধ্যে দু'টা চেহারা দেখা শুরু করে। উপরের ছবিটি তোলেন জাহাজের ক্যাপ্টেইন, তাদের সাথে কি হচ্ছে তার প্রমান হিসেবে।



১০) ইলেকট্রিক চেয়ারঃ
ছবিটি তোলেন 'Ted Lucher' নামে একজন ইঞ্জিনিয়ার। State Of Tennessee এর কতৃপক্ষ তাকে নিয়োগ দেন মৃত্যুদন্ডের কাজে ব্যাবহৃত ইলেকট্রিক চেয়ারের উন্নতি সাধনের জন্য। আর এই কাজের অংশ হিসেবেই তিনি তোলেন এই ছবিটি। আর সাধারন এই ছবিতে আপনি খুব সহজেই একটি ভৌতিক মাথা আর তার হাত দেখতে পাবেন।

কি অবাক হচ্ছেন ছবি গুলি দেখে? হবার মতই তাই না? এরকম আরো কিছু ভৌতিক ছবি নিয়ে লেখা 'ক্যামেরায় ধরা পরা ভৌতিক ছবি' লেখাটি পড়লে আরো কিছু ভৌতিক ছবির সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক AKA নহে মিথ্যা।

উৎসঃ 10 Ghostly Picture
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×