somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক সাইকোর কাহিনী। একজন শিকারীর, শিকার হয়ে যাওয়ার কাহিনী।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচন্ড শীতের কনকনে ঠান্ডা রাত। কোরিয়ার হাইওয়ে রোড ধরে ছুটে চলেছে একটা গাড়ি। হঠাৎ গাড়িতে কিছু একটা সমস্যা হয়। থেমে যেতে বাধ্য হয় গাড়িটা মাঝপথে। গাড়ির আরোহী একজন সুন্দরী তরুনী। এভাবে হঠাৎ গাড়ি বিগড়ে যাওয়াতে বেশ ভয় পায় সে, কারন এখনও তাকে যেতে হবে অনেক দূর। হঠাৎ অন্ধকার থেকে দৃশ্যমান হয় এক আগন্তুক। সে মেয়েটাকে বলে, "আমি আপনার গাড়ির টায়ার আর অন্যান্ন সব চেক করে দেখছি কি সমস্যা হয়েছে?"
মেয়েটা ভরসা পায়। সে তার স্বামীকে ফোন করে সব কিছু জানানোর জন্য।
মেয়েটার স্বামী, কিম-সু, বেশ বড়সড় গম্ভীর একজন অফিসার। অফিসে বসেই সে তার স্ত্রীর ফোন পায়। গল্প করতে থাকে তার স্ত্রীর সঙ্গে। মেয়েটা তার স্বামীকে অনুরোধ করে, তাকে একটা ভালোবাসার গান গেয়ে শোনানোর জন্য। এ আবার কি ঝামেলা! পতিদেব হলেন একজন অফিসের বিরাট অফিসার। তিনি এখন গান গাবেন কি করে। উনি গান না গেয়ে হাটতে হাটতে বাথরুমে চলে যান। আস্তে করে বাথরুমের দরজা আটকান। তারপর মৃদুস্বরে গেয়ে শুনাতে লাগেন প্রিয় একটা প্রেমের গান, তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে।

ব্যাস, এ পযন্তই। এর পরপরই সেই আগন্তুক হঠাৎ করে আক্রমন করে মেয়েটার উপর। হাতুড়ি দিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে অজ্ঞান করে ফেলে মেয়েটাকে। এরমপর পলিথিন দিয়ে মুড়ে মেয়েটাকে নিয়ে যায় তার আবাসস্থলে। ছুরি নিয়ে বসে পড়ে মেয়েটার পাশে। এর মধ্যেই আবার চেতনা ফিরে পায় মেয়েটা। কোনভাবে বলে ওঠে, "আমি প্রেগনেন্ট, আমার পেটে একটা ছোট বাচ্চা আছে, আমাকে ছেড়ে দিন"। লোকটা চোখ তুলে তাকায় মেয়েটার দিকে। একমূহুর্তের জন্য লোকটার চোখে যেন কিছুটা মমতা দেখা গেল। তারপরই ছুরিটা দিয়ে প্রচন্ড এক কোপ মারল মেয়েটার গলায়।

পরদিন মেয়েটার ছিন্নভিন্ন লাশ পাওয়া গেল। মেয়েটার স্বামী একেবারে থম মেরে গেল। কাঁদতেও যেন ভুলে গেল তার প্রিয়তমা স্ত্রীর করুন দশা দেখে। এরপর শুরু হলো নিভৃতে সেই সাইকো শিকারীকে খোঁজা। খুজতে খুজতে পেয়েও গেল সে শিকারীকে। শিকারী তখন ব্যাস্ত ছিল অন্য শিকার নিয়ে। তখনই শুরু হয় হামলা। প্রচন্ড মেরে অজ্ঞান করে ফেলে শিকারীকে। কিন্তু একেবারে মেরে ফেলেনা শিকারিকে। বরং শিকারীর শরীরের ভিতরে একটা ডিভাইস ফিট করে দেয় কিম-সু। এতে, শিকারী কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কি বলছে- সবই জানতে পারবে সে। এ চলে যাওয়ার আগে কিম-সু খামে করে কিছু টাকা রেখে যায় শিকারীর পাশে। যাতে সেই টাকা দিয়ে শিকারী সুস্থ হয়ে ওঠে আর আবার মনের মতো করে পিটাতে পারে শিকারীকে। কবারে মেরে ফেললে তো তার প্রতিশোধ পূর্ণ হবেনা। তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারবে সে শিকারীকে।

এভাবেই চলতে থাকে ঘটনা। শিকারী যেখানেই যায়, কিম-সু পৌছে যায় সেখানে। শিকারীর কবল থেকে রক্ষা করে শিকারকে। ইচ্ছা মতো পিটায় শিকারীকে এবং চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দেয়। এতটাই মার মারে, যে সাইকো খুনীটার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, "দ্যা গাই ইজ আ ফাকিং সাইকো।" (হাহাহা, এক সাইকো খুনী নায়ককে বলে কিনা সাইকো)



এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এটা আমার লেখা কোন গল্প না। না বুঝলেও এখন বুঝে নেন, এটা একটা মুভি রিভিউ লেখার ব্যার্থ/সফল প্রচেষ্টা। মুভিটার নাম "আই স দ্যা ডেভিল"। এটা একটা কোরিয়ান সাইকো মুভি এবং আমার দেখা সেরা তিনটা সাইকো মুভির একটা। মুভিটার বিশেষত্ব হলো নায়ক ভিলেনকে পেয়েই ধামাধাম মেরে কেটে শেষ করে ফেলেনা। মারে সুস্থ করে, আবার মারে আবার সুস্থ করে, এভাবে ধীরে ধীরে নেয় প্রতিশোধ। অন্যান্ন সাইকো মুভির মতো না মুভিটা বরং প্রত্যেকটা দৃশ্যপট টেকনিক্যালি এবং রোমাঞ্চকর।



সাবধানতা:
১. মুভিটা দেখতে চাইলে প্রচন্ড রক্তপাত আর ভায়োলেন্স সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
২. হার্টের রোগীদের জন্য মুভিটা না দেখাই ভালো।
৩. ১০০% ১৮+ মুভি। সুতরাং ১৮- কেউ যদি মুভিটা দেখেন, তাহলে চামে দেখবেন।
৪. যেহেতু ১৮+, তাই পরিবারের সাথে মুভিটা দেখার চেষ্টা করবেন না কেউ।

যদি শর্তগুলো মেনে নেন, তাহলে এখান থেকে ডাইনলোড করে দেখা শুরু করে দেন।

মিডিয়াফায়ার লিংক

Click This Link (কোরিয়ান ভাষা, ইংলিশ সাবটাইটেল)

Click This Link (ইংলিশ ভাষা)

স্টেজভ্যু লিংক
http://stagevu.com/video/lsdmqdntguok (ইংলিশ ভাষা)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২২
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×