somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গা শিউরে ওঠা কয়েকটি হরর মুভির রিভিউ, যেগুলোর প্রত্যেকটাই মুগ্ধ করেছে এবং করবে মুভিখোরদের

২৫ শে মে, ২০১২ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হরর মুভির দর্শকের সংখ্যা অনেক কম ব্লগে। এর মূল কারন, যোম্বিদের কামড়া কামড়ি, ভ্যাম্পায়ার দের আধিক্য এবং অযথা যৌন দৃশের ছড়াছড়ি। কিন্তু বেশ কিছু হরর মুভি আছে যেগুলোর অসাধারন কাহিনী, গা ছমছমে পরিবেশ এবং এন্ডিং টুইস্ট মুগ্ধ করে দর্শকদের। ঠিক, সেরকমই কিছু হরর মুভির রিভিউ নিয়ে আসলাম আপনাদের সামনে, কথা দিতে পারি এগুলোর প্রত্যেকটাই মুগ্ধ করবে আপনাদের।

The Woman in Black (2012)



বিখ্যাত মুভি হ্যারি পটার এর নায়ক ড্যানিয়েল এই মুভিতে অভিনয় করেছেন একজন তরুন ল'য়্যার আর্থার কিপস এর ভূমিকায়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সংসার আর্থারের। শহর থেকে বেশ কিছু দূরের একটা গ্রামে ভ্রমন করে আর্থার। গ্রামটাতে একটা ক্যাসেল আছে যেটা হান্টেড ক্যাসেল হিসেবে পরিচিত আর দূর্ভাগ্যক্রমে আর্থারকে তার কাজের জন্য সেই ক্যাসেলেই ঢুকতে হয়। ক্যাসেলটার পুরোনো মালিক ছিল এক মহিলা যার সন্তানের মৃত্যু হয় অপঘাতে। ক্যাসেলটার আশেপাশে এখনও সেই কালো পোশাকধারী মহিলাকে দেখা যায় যার দর্শন বয়ে নিয়ে আসে মৃত্যু। কারো না কারো ভয়ঙ্কর মৃত্যু। আর্থারও দেখা পায় সেই রহস্যময়ী মহিলার.......
হরর মুভির উল্লেখযোগ্য একটা ব্যাপার হলো এর পরিবেশ। কথা দিতে পারি হরর মুভির ১০০% হরর পরিবেশ পাবেন এই মুভিতে। আর টুইস্ট? সেটা তো আছেই, আর সেটা দেখার জন্য মুভটার শেষ পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।


Sleepy Hollow



১৭৯৯ সাল। নিউইয়র্ক শহরের পুলিশ কনস্টেবল ইসাবড ক্রেন (জনি ডেপ) দায়িত্ব পান, স্লীপি হলো গ্রামে যেয়ে তাকে এমন একজন ভয়ঙ্কর খুনীকে খুজে বের করতে হবে, যার শিকার শিরচ্ছেদ অবস্থায় পাওয়া যায়। ক্রেন সে কথা বিশ্বাস না করে, স্লীপি হলো গ্রামে যেয়ে শুরু করে তার অনুসন্ধান এবং একসময় তার দেখা হয় মাথাহীন এক ভয়ঙ্কর ঘোড়াসওয়ারের সাথে। ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা।

জনি ডেপের যতগুলো মুভি দেখেছি, "স্লীপি হলো" সেগুলোর মধ্যে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুভি। না দেখলে মিস করবেন।


Mirrors



কি হবে যদি কোন অভিশপ্ত আয়না আপনাকে আপনার ইচ্ছার বিরূদ্ধে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে? কেমন লাগবে যদি কোন অভিশপ্ত আয়নায় নিজের কিংবা প্রিয় কোন মানুষের ভয়ঙ্কর মৃত্যু আগে দেখে ফেলেন। হিন্টস দিলাম, দেখার দায়িত্ব আপনার। সাহস থাকলে ঢুকে পড়েন, এই অভিশপ্ত আয়নার জগতে।




Jeepers Creepers



বসন্তের ছুটি। ড্যারি আর প্যাটরিসিয়া দুই ভাইবোন-ড্রাইভ করে বাসায় ফিরছিল। পথে একটা রহস্যময় ট্রাক তাদের ধাক্কা দিয়ে একটা নালায় ফেলে দেয়। রহস্যময় এই মানুষটার খোজ করতে যেয়ে ড্যারি সন্ধান পায় একটা কুয়ার। আগ্রহ বশে নেমে পড়ে সেই কুয়ার ভিতর। কিন্তু !!! সেলাই করা মৃত-অর্ধমৃত মানুষ আর মানুষের লাশ কেন সেখানে? রহস্যময় মানুষটাই বা কে? সে কি কোন মানুষ নাকি কোন নরখাদক না অন্য কিছু যা তাদের কল্পনারও বাইরে? বাকিটুকু দেখে ফেলান। কতা দিতে পারি একটুও হতাশ হতে হবে না আপনাকে।


Dracula



রক্তচোষা ভ্যাপায়ারের গল্পের জনক বোধহয় ব্রাক স্টোকারের ড্রাকুলা থেকেই। যারা ভ্যাম্পায়ার মুভি পছন্দ করেননা তাদেরকে বলতে পারি, ড্রাকুলা আর দশটা ভ্যাম্পায়ার মুভির মতোনা। মুভিটা দেখে ভয় আপনাকে পেতে হবেই।

ট্রানসিলভেনিয়ার দুর্গম অঞ্চলে পাহাড়-চূড়ায় বিশাল এক প্রাচীন দুর্গে তার বাস। দুর্গের নীচের এক অন্ধকার কামরায়-কফিনের ভিতর। কে সে? কাউন্ট ড্রাকুলা।

তরুণ ইংরেজ আইনজীবী জোনাথন হারকার একটা রিয়েল এস্টেট লেনদেনের ব্যাপারে ইউরোপের ট্রানসিলভেনিয়ায় কাউন্ট ড্রাকুলার দূর্গে রওনা হন। পথিমধ্যে ক্যারিজে তিনি প্রায় সারাপথে নেকড়ের দ্বারা আক্রান্ত হন, যদিও নেকড়েরা তার কোন ক্ষতি করে না। ড্রাকুরার দুর্গে পৌছে হারকার বুঝতে পারলেন ড্রাকুলা একজন শিক্ষিত ও সহৃদয় ব্যাক্তি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হারকার টের পেলেন, তিনি আসলে ড্রাকুলা দুর্গে বন্দী। সাথে এটাও বুঝতে পারলেন ড্রাকুলা কোন সাধারন ব্যাক্তি না বরং প্রচন্ড শক্তিশালী এবং ক্ষমতাধর একজন ব্যাক্তি। এর মাঝেই একদিন হারকার তিনজন লেডি ভ্যাম্পায়ার দ্বারা আক্রান্ত হলেন যদিও ড্রাকুলা এসে তাকে উদ্ধার করলো এবং এবং তিন ডাইনীকে সতর্ক করলো এই বলে, হারকার শুধুই তার শিকার। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে হারকার একদিন ড্রাকুলার দুর্গ থেকে পালাতে সক্ষম হলেন।

অবশেষে ড্রাকুলা লন্ডনে এসে হাজির হলো। রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন আইনজীবী হকিন্স। ক্রমেই রক্তশূন্য ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে লুসির চেহারা্। সাংঘাতিক পাগলামী শুরু করেছে রেনফিল্ড। হারিয়ে যাচ্ছে শিশুরা, ফিরে আসলে ওদের গলায় দেখা যাচ্ছে ধারালো দাঁতের সুক্ষ ক্ষতচিহ্ন।

এসব কিসের আলামত? কেন মিনার বান্ধবী লুসি রক্তশূন্য হয়ে মারা যেয়ে আবার জীবন্ত হলো? বৃদ্ধ ড্রাকুলা কেন ধীরে ধীরে যুবকে পরিণত হচ্ছে? কেন পৃথিবীতে এত মেয়ে থাকতে মিনার পেছনে লেগেছে ড্রাকুলা? শেষ পর্যন্ত কি ঘটতে যাচ্ছে হারকার, মিনা আর ড্রাকুলার ভাগ্যে?


The Sixth Sense




হরর মুভি নিয়ে রিভিউ থাকবে কিন্তু The Sixth Sense থাকবেনা, এটা হতেই পারেনা। হরর এর সাথে এই মুভিতে পাবেন অসাধারন এক এনডিং টুইস্ট।
ব্রুস উইলস একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ছোট একটা বাচ্চার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন তিনি যে কিনা মৃত মানুষের আত্মাদের দেখতে পায়। "ওদের শুধু আমিই দেখতে পাই, ওরা শুধু আমাকেই দেকা দেয়"- বাচ্চাটার এই উক্তিটার উপর মুভিটার শেষাংশে পাবেন এক অসাধারন টুইষ্ট।

বিখ্যাত মুভিবিজ্ঞানী নাফিজ মুনতাসির এর মতে, "এই মুভির টুইস্টটা এতই মারাত্মক ছিলো যে আমি পুরা হা হয়ে গিয়েছিলাম। একেবারেই হতভম্ব বানিয়ে দিয়ে গেছে। অল্প কথায় বলা সম্ভব না কি টাইপের মুভি এটা। দেখে ফেলুন।"


The Ring



রেচেল কেলার, একজন সাংবাদিক। একটা ভিডিও টেপ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে যেটা সম্পর্কে কিংবদন্তী আছে, যে এই ভিডিও টেপ দেখবে, তার ৭ দিনের মাথায় মৃত্যু হবে তার। যদি এই কিংবদন্তী সত্যি হয়, তাহলে আর মাত্র ৭ দিন আয়ু আছে রেচেল আর তার ছেলের কারন দূর্ভাগ্যক্রমে টেপটা দেখে ফেলেছে ওরা..............


The Grudge



ক্যারেন ডেভিস, একজন নার্স। চাকরীর সূত্রে জাপানের টোকিওতে আসতে হয় তাকে। সেখানে মুখোমুখি হয় এক ভয়ঙ্কর অতৃপ্ত আত্মার সাথে। এই আত্মার আভিশাপে ইতিমধ্যে অনেকগুলো মৃত্যু হয়েছে। এর কোন একটা বিহিত করতেই হবে ক্যারেন কে নাহলে পরবর্তী শিকার হয়তো তাকেই হতে হবে।

ইচ্ছা ছিল ২০টা মুভির রিভিউ দেবো কিন্তু অলস মানুষ আমি। ৮ টার রিভিউ দিতেই ঘেমে নেয়ে উঠেছি। নিচের লিঙ্ক থেকে মুভিগুলো দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন (আই ডি এম থাকতে হবে)। আমার পরামর্শ থাকবে পুটলকার অথবা শকশেয়ার থেকে ডাউনলোড করবেন।

http://www.1channel.ch

৮৮টি মন্তব্য ৮৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×