একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে জানলাম, শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে বসতে খালেদা জিয়া রাজি। অন্য পক্ষ্যের সাড়া এখনও মিলছে না। সাধারণ জনগণ একদিকে যতই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের হোতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন না কেন, বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে দেখা যাচ্ছে হাজার অভিযোগ থাকলেও এখনও খালেদা ছাড়া বি এন পি এবং হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেন না।
অর্থাৎ যত দোষেই দুস্ট হন না কেন, এই দুইজনের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের অকুন্ঠ সমর্থন আছে। তাই বাংলাদেশের স্বার্থেই ইনাদের এক সাথে বসা যে জরুরি, এটা সাধারণ মানুষ অনুভব করলেও, রহস্যজনক কারনে এ দুজন বোঝেন না, বা বুঝতে চান না।
এ ক্ষেত্রে অবশ্য খালেদা জিয়া নমনীয়, কিন্তু পিতৃঘাতকের স্ত্রী জ্ঞানে শেখ হাসিনা, খালেদার সাথে আলোচনার যে বিরুদ্ধ অবস্থান নিয়েছেন, সেটি দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।
মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে মুজিব হত্যার অভিযোগটি প্রমানিত নয়। তবে যারা অন্ধ আবেগে, যুক্তি প্রমানের তোয়াক্কা করেন না, তাদেরকে এ জিনিসটি বোঝানো অসম্ভব এবং কস্টসাধ্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশের মানুষ যখন খালেদাকে গত ১৫ বছরে দু বার প্রধানমন্ত্রির পদে আসিন করেছে, তখন শেখ হাসিনাকে বাস্তবতা উপলব্ধি করেই, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে খালেদা জিয়ার সাথে আলোচনায় বসতে হবে। পাকিস্থানের পি পি পি আর মুসলিম লিগ (নেওয়াজ) যদি এক সাথে বসতে পারে , তাহলে বি এন পি আর আওয়ামী লিগের এক সাথে বসতে সমস্যাটা কোথায়?
আজ যদি, এ দুটি বৃহত্তর দল, অন্তত গণতন্ত্রের সাধারণ সৌজন্যবোধটুকু বজায় রাখতো, তাহলে আজকে মতি- মাহাফুজ -দেবপ্রিয়-কামাল-পিনাক-আনোয়ার-মোজাফফর-জাতিসংঘ-আইএমএফ-ডাব্লিঊ বি; দের মত "সুশিল" এবং বিদেশিদের হাতে পরে বাংলাদেশের এই দুরবস্থা হতো না।
আর যদি কোন বিশেষ রহস্যজনক কারণে, এই দুটি দলীয় প্রধানের মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে, তবে সেটি অবিলম্বে সাধারণ জনগণকে জানানো প্রয়োজন। নতুবা, অতিতচারিতার অতি চর্বণে খোদ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়তে বাধ্য।
(এটি আমার প্রথম ব্লগ, তাই পাঠকদের গঠনমুলক সমালোচনা দেখার জন্য আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ)