এই ব্লগে দেখেছি, সীমান্তের ওপারের আমাদের স্বজাতিরাও আসছেন, লিখছেন। দেখে ভীষন ভালো লাগে। কেননা আমাদের সম্মিলিত প্রয়াশের মাধ্যমেই আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা আরো সম্বৃদ্ধ হতে পারে। বিশেষ করে অপসংস্কৃতি বা পশ্চিমা সংস্কৃতি আগ্রাসনের এই যুগে সম ভাষাভাষি জাতি গোষ্ঠির একতা অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমরা যতখানি আন্তরিকতার সাথে তাদের গ্রহন করে থাকি, তারা সেরকমভাবে আমাদের গ্রহন করতে পারেন না। এমনকি, তারা প্রথমে ভারতীয় এর পর বাঙালি এ ধরণের উক্তিও করে বসেন। এখানেই বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে একটি নিরপেক্ষ পোস্ট দেখেছিলাম, কিন্তু ভারতের বিপক্ষ্যে যায় কিন্তু বাঙালিত্বের পক্ষ্যে, এমন কিছু মন্তব্যের বিরুদ্ধে তারা লেখককে তীব্র ভাষায় আক্রমন করে বসেন।
যখন বাংলাদেশের প্রতি ভারতের চরম বৈরি এবং আগ্রাসি আচরনের প্রতিবাদ করা হয়, তখন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ভারতীয় বাঙালিরা তখন ভারতের পক্ষ্যে কথা বলেন। সেটা বলতেই পারেন। কিন্তু অবাক লাগে যখন শিক্ষিত এবং সুলেখক কিছু বাংলাদেশি, তাদের সাথে সুর মেলান। তাদের যুক্তি একটাই, সেটা হলো স্বাধীনতার সময় ভারত আমাদের ১ কোটি মানুষকে যেমন আশ্রয় দিয়েছে, তেমনি আমাদের মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা করে আমাদের স্বাধীনতার লগ্নকে তড়ান্বিত করেছে। এ সবই সত্য। কিন্তু এর পর কি কি করেছে, তার লিস্টি তুলে ধরলেই বিপত্তির সৃস্টি হয়। যিনি এধরণের প্রশ্ন তুলবেন, তাকে স্বাধীনতা বিরোধী /রাজাকার/পাকিস্থানপন্থি এসব অভিধায় আক্রমন করে তার কন্ঠকে রোধ করার চেস্টা করা হয়। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে চির বৈরিতা নতুন কিছু নয়। তাই বলে আমরা কেন প্রতিটা ইস্যুতে তাদের পক্ষ্যে বিপক্ষ্যে কথা বলতে যাবো? কেনই বা তাদের পক্ষ্যে বিপক্ষ্যে তর্ক বিতর্ক করে নিজেদের মধ্যে বিভেদের দেয়াল সৃস্টি করবো? বাস্তবতার ভিত্তিতে আমাদের সাথে অন্যান্যদের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্লিস্ট বিষয়গুলি নিয়েই বরং তর্ক বিতর্ক হওয়া শ্রেয়। তাতেই আমাদের প্রিয় জন্মভুমির কল্যাণ নিহিত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




