somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের চলচিত্র নিয়ে সাতকাহন [কিছু দুর্লভ ছবি সহ] (তৃতীয় পর্ব)

১৪ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব

Click This Link

দ্বিতীয় পর্ব

Click This Link

১৯৪৭ এ ভারত ভাগের পর জনসংখ্যার দিক দিয়ে পুর্ব পাকিস্থান অর্থাৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্থানের চেয়ে বেশি হলেও, চলচিত্রের দর্শকদের তুলনায় ওরা এগিয়ে ছিল। তাছাড়া ভারত ভাগের আগে ওদের অনেকেই ভারতীয় চলচিত্রের সাথে সংক্লিষ্ট থাকাতে, অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে ছিল। সাথে লাহোর ফিল্ম স্টুডিওতে শিল্পী কলাকুশলির যেমন অভাব ছিল না, তেমনি কারিগরি দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল।

তৎকালিন পুর্ব পাকিস্থানের বাঙ্গালিদের গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান কুখ্যাত হলেও, পাকিস্থানের চলচিত্রে তার আমলেই সবচেয়ে বেশি উন্নতি ঘটেছিল (১৯৫৯-১৯৬৯)। এর আগেই পুর্ব পাকিস্থান প্রাদেশিক সংসদের গৃহিত সিদ্ধান্তে পুর্ব পাকিস্থান চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠা ঘটে ৩রা এপ্রিল ১৯৫৭তে।

FDC in 1957

উর্দুর সাথে সাথে বাংলা ছবির বানানোর যেমন হিড়িক পড়েছিল, তেমনি অনেক বাঙ্গালি কলাকুশলিদেরও উত্থান ঘটেছিল। একারণেই ৭০ এর দশককে বলা হয় বাংলাদেশি চলচিত্রের স্বর্ণযুগ।

গর্বের সাথে বলতে হচ্ছে যে, এই অঙ্গনে আমরা পিছিয়ে থাকলেও, পাকিস্থানের প্রথম পুর্ণ দৈর্ঘ্য রঙ্গিন ছবিটি বানিয়েছিলেন কিন্তু, এদেশের মাটিরই কৃতি সন্তান জহির রায়হান। তার পরিচালনায় পুর্ণ দৈর্ঘ্য রঙ্গিন চলচিত্র "সংগম" মুক্তি পায় ২৩শে এপ্রিল ১৯৬৪তে।



আর সারা পাকিস্থান মাতিয়ে যে ছবি জন মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছিল সে ছবির নাম ছিল চকোরি। পরিচালক আমাদের চলচিত্রের আরেক গর্ব এহতেশাম। (তিনি ক্যাপ্টেন এহতেশাম নামেই তখন পরিচিত ছিলেন।) এ ছবির মাধ্যমেই আমাদের আরেক গর্ব শাবানা আত্মপ্রকাশ করেন।

Shabana and Nadeem in their debut role in Chakori

আর ছবির সুরকার হিসেবে রবিন ঘোষ বাংলা ও উর্দু ছবিতে এমন বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যে, ১৯৭১ সালে পরাজয়ের আগে পাকিস্থানিরা রবিন ঘোষকে রীতিমত হাইজ্যাক করে নিয়ে যায়। (সাথে নিয়ে যায় আমাদের আরেক খ্যাতিমান নায়িকা শবনমকে, যিনি পরে রবীন ঘোষের সাথে পরিণয়ে আবদ্ধ হন।)

Robin Ghosh with Shabnaam

পাকিস্থানের প্রথম রঙ্গিন ছবির পরিচালক বাঙ্গালি, সুপার ডুপার ছবির পরিচালকও বাঙ্গালি, এমনকি সারা পাকিস্থানে সাড়া জাগানো সুরকারও বাঙ্গালি। শুধু কি তাই? এমনি এমনি কিন্ত ৭০ এর দশককে আমাদের সিনেমার জন্য স্বর্ণযুগ বলে না। নীচের তালিকা দেখুন। আজকের তুলনায় সেই যুগকেও আসলেও স্বর্ণ যুগ মনে হবে।

১. বাংলায় প্রথম পুর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচিত্র "মুখ ও মুখোশ" পরিচালক আব্দুল জব্বার খান। মুক্তি পায় ৩রা আগস্ট ১৯৫৭ সালে।

Mukh O Mukhosh

(চলবে)

৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×