প্রথম পর্ব
Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব
Click This Link
১৯৪৭ এ ভারত ভাগের পর জনসংখ্যার দিক দিয়ে পুর্ব পাকিস্থান অর্থাৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যা পশ্চিম পাকিস্থানের চেয়ে বেশি হলেও, চলচিত্রের দর্শকদের তুলনায় ওরা এগিয়ে ছিল। তাছাড়া ভারত ভাগের আগে ওদের অনেকেই ভারতীয় চলচিত্রের সাথে সংক্লিষ্ট থাকাতে, অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে ছিল। সাথে লাহোর ফিল্ম স্টুডিওতে শিল্পী কলাকুশলির যেমন অভাব ছিল না, তেমনি কারিগরি দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল।
তৎকালিন পুর্ব পাকিস্থানের বাঙ্গালিদের গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান কুখ্যাত হলেও, পাকিস্থানের চলচিত্রে তার আমলেই সবচেয়ে বেশি উন্নতি ঘটেছিল (১৯৫৯-১৯৬৯)। এর আগেই পুর্ব পাকিস্থান প্রাদেশিক সংসদের গৃহিত সিদ্ধান্তে পুর্ব পাকিস্থান চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠা ঘটে ৩রা এপ্রিল ১৯৫৭তে।

উর্দুর সাথে সাথে বাংলা ছবির বানানোর যেমন হিড়িক পড়েছিল, তেমনি অনেক বাঙ্গালি কলাকুশলিদেরও উত্থান ঘটেছিল। একারণেই ৭০ এর দশককে বলা হয় বাংলাদেশি চলচিত্রের স্বর্ণযুগ।
গর্বের সাথে বলতে হচ্ছে যে, এই অঙ্গনে আমরা পিছিয়ে থাকলেও, পাকিস্থানের প্রথম পুর্ণ দৈর্ঘ্য রঙ্গিন ছবিটি বানিয়েছিলেন কিন্তু, এদেশের মাটিরই কৃতি সন্তান জহির রায়হান। তার পরিচালনায় পুর্ণ দৈর্ঘ্য রঙ্গিন চলচিত্র "সংগম" মুক্তি পায় ২৩শে এপ্রিল ১৯৬৪তে।
![]()
আর সারা পাকিস্থান মাতিয়ে যে ছবি জন মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছিল সে ছবির নাম ছিল চকোরি। পরিচালক আমাদের চলচিত্রের আরেক গর্ব এহতেশাম। (তিনি ক্যাপ্টেন এহতেশাম নামেই তখন পরিচিত ছিলেন।) এ ছবির মাধ্যমেই আমাদের আরেক গর্ব শাবানা আত্মপ্রকাশ করেন।
![]()
আর ছবির সুরকার হিসেবে রবিন ঘোষ বাংলা ও উর্দু ছবিতে এমন বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যে, ১৯৭১ সালে পরাজয়ের আগে পাকিস্থানিরা রবিন ঘোষকে রীতিমত হাইজ্যাক করে নিয়ে যায়। (সাথে নিয়ে যায় আমাদের আরেক খ্যাতিমান নায়িকা শবনমকে, যিনি পরে রবীন ঘোষের সাথে পরিণয়ে আবদ্ধ হন।)

পাকিস্থানের প্রথম রঙ্গিন ছবির পরিচালক বাঙ্গালি, সুপার ডুপার ছবির পরিচালকও বাঙ্গালি, এমনকি সারা পাকিস্থানে সাড়া জাগানো সুরকারও বাঙ্গালি। শুধু কি তাই? এমনি এমনি কিন্ত ৭০ এর দশককে আমাদের সিনেমার জন্য স্বর্ণযুগ বলে না। নীচের তালিকা দেখুন। আজকের তুলনায় সেই যুগকেও আসলেও স্বর্ণ যুগ মনে হবে।
১. বাংলায় প্রথম পুর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচিত্র "মুখ ও মুখোশ" পরিচালক আব্দুল জব্বার খান। মুক্তি পায় ৩রা আগস্ট ১৯৫৭ সালে।

(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




