somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামি ফ্যাসিস্টদের হাতে সুন্দরবন ধবংস করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে দেয়া হবে না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ঠ নয়। একারণেই আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির অবকাশ আছে। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য এখনও হয়নি যে, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতা, আমলা , পেশাজীবি, মিডিয়া কর্মি, সুশিল সমাজ কেউই নিজের পাতে ঝোল টানা ছাড়াই কোন উদ্যোগকে সফল হতে দিয়েছে। এর উপর বিদেশি কোন রাস্ট্রের প্রতি চরম নতজানু সরকার, প্রভু দেশের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই প্রকল্পে হাত দেয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা !

একারণেই লুটপাটের কারণে (অভ্যন্তরিণ অব্যবস্থাপনা, অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দান ইত্যাদিও কারণ) এ পর্যন্ত কার্যকরি কোন বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। ফলাফল? অর্থনীতিতে অনেক এগিয়ে যাবার সুযোগ হাতছাড়া। সাথে জনগণের ভোগান্তি তো আছেই।

বর্তমান সরকারের মুখে অনেক প্রতিশ্রুতি তো শুনেছি। কি পুরণ হয়েছে সেটা পাঠকরা ভালো জানবেন। তবে বিদ্যুৎ বাড়ানর জন্য প্রথমেই ভারতকে নিজের বুক চিড়ে রাস্তা করে দিয়ে ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য সাহায্য করা হলো। বলা হলো সেখান থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকবে। যেখান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। কাজ শেষ হয়ে যাবার পর, সে পথে যাচ্ছে না ভারত। অর্থাৎ কাজ শেষ, বাংলাদেশ আবার কোন **র *ল? আওয়ামি লিগকে তো আর দেশপ্রেমিক বলা যায় না, যে আশা করবো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।

চুরি চামারি যাদের জন্মগত স্বভাব, এতটুকুতেই তাদের খাই মিটবে কেন? কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে দেশের কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করা হলো। যার কন্ট্রাকগুলির প্রাপকের মধ্যে সামিট গ্রুপ অন্যতম। আজিজ খান নামের জনৈক অচেনা অজানা লোকের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, তার মেয়ের সাথে হাসিনা তনয়ের নাকি প্রণয় ঘটিত ব্যাপার আছে। দ্বিতীয় পরিচয় তিনি মন্ত্রি ফারুক খানের বড় ভাই। ( এই ফারুক খান আওয়ামি মেশিনে ঢুকা মুক্তিযোদ্ধা)।

এতেও আওয়ামি লিগের খাই মিটলে কথা ছিলো। কিন্ত না। গত সিলেকশনে ভারতের অর্থ এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবকে খাটিয়ে ক্ষমতায় আসা লিগ, প্রথম থেকেই কুকুরের মতই বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়ে আসছে। এমনকি গোপণে দিল্লি গিয়ে এমনই চুক্তিই করে এসেছে, যা কিনা নিজ দলের সাংসদের সাথেও আলাপ করার সাহস নেই। তাই একের পর এক ভারতের স্বার্থে চুক্তি করলেও, বড় গলায় দেশপ্রেমের বটিকা বিতরণ করে যাচ্ছে।

যেখানে ভারতীয় সরকার নিজেই , নিজের অংশের সুন্দরবনের ধারে কাছে কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করতে ব্যার্থ হয়েছে, সেখানে দেশের মানুষের শত বিরোধীতার মুখেও বর্তমান সরকার সুন্দরবনের কাছেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাথে বিশেষজ্ঞ নামের কিছু তস্য কুকুরকে দিয়ে সেটা জায়েজ করাতে দিন রাত ঘেউ ঘেউ করাচ্ছে। আর অন্তর্জালে নতুন গজানো মুখ খারাপ এবং পর্ণ বানিজ্যের সাথে জড়িত অপপ্রচারের ডিপো থেকে বাংলাদেশিদের হাইকোর্ট দেখানোর অপপ্রয়াস করছে।

মিডীয়া পুরো দখল করে রাখলেও, সাধারণ মানুষদের ধোকা দিতে পারেনি হাসিনা সরকার। তাই নিতান্ত কাপুরুষের মতই বাগেরহাটের প্রোগ্রাম বদলিয়ে কুস্টিয়ায় বসে দেশের পিন্ডী চটকিয়েছে। সে যদি সৎ ই হতো তাহলে নিশ্চই নির্ধারিত স্থান থেকে অনেক দূরে এই কাজটি করতো না?

গোল্ডফিস মেমরির অধিকারি বাংলাদেশিদের আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধংস করার রুপকার হচ্ছে ভারত। এবং সেটা কার্যকর করার জন্যই বার বার তারা প্রকাশ্যেই আওয়ামি লিগকে পৃষ্ঠপোশকতা দিয়ে যাছে। ফারাক্কার প্রভাব যে কি সেটা উত্তরবঙ্গের মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। একবার টিপাইমুখ বাধ তৈরি হয়ে গেলে সিলেটবাসির মুখেও একই হাহাকার শোনা যাবে।

আর রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলে, সোনায় সোহাগা। নিজের ক্ষতি করে ভারতের স্বার্থ পুরণের এই দেশ বিধংসি কাজে আওয়ামি লিগকে সর্ব শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখবেন, আমাদের পুর্বসুরিদের উদাসীনতায় ফারাক্কা নামের মরদ ফাদ আমাদের গলায় ফাস হয়ে বসেছে। আওয়ামি চেতনার বড়ি গিলে টিপাইমুখের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন সুন্দরবন রক্ষায় যদি উদাসীনতা দেখাই, তাহলে আমাদের জন্মকেই ধিক্কার দিতে হয়।

আশার কথা হচ্ছে, আদর্শিক সম অবস্থানের বাইরে থাকা কিছু মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করেছে। অন্তর্জাল এবং বাস্তবে এই আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। কে কোন আদর্শের সেটা বিচারের চেয়ে দেশের এর বড় সর্বনাশ রুখে দেওয়াটাই প্রাধান্য পাবার যোগ্য। মনে রাখবেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশপ্রেমিক সবাই রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল।

আজকে দেশের বিরুদ্ধে এই জঘন্য ষড়যন্ত্র রুখতে চাই, একই ধরণের ঐক্য। নইলে আগামি প্রজন্মের কাছে আমরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং রাজাকার হিসাবেই চিহ্নিত হবো।

ভারত আওয়ামি লিগ নিপাত যাক
স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×