দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, কিছু প্রামাণ্যচিত্র ছাড়া গত চল্লিশ বছরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চল্লিশটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় নি। তবে গর্ব করার মতো বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই এ দেশে স্বাধীনতার ইঙ্গিত নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নিয়ে একদিকে যেমন আক্ষেপ আছে, অন্যদিকে আছে অহংকার। বিজয়ের চল্লিশ বছরে এসে সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ হয়ে ওঠে ‘গেরিলা’ । এ বছর পহেলা বৈশাখ মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (নেটপ্যাক) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর এ দেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান প্রতীকীভাবে নির্মাণ করেন ‘জীবন থেকে নেওয়া’। তবে একই বছরে স্বাধীনতার বাণী নিয়ে নির্মিত ফখরুল আলম পরিচালিত ‘জয়বাংলা’ নামের ছবিটি পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ড আটকে রাখে। ১৯৭২ সালে এটি মুক্তি পায়।
স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’। এ ছবির সিংহভাগ কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পী ছিলেন সরাসরি রণাঙ্গনে লড়াই করা মুক্তিসেনা।
১৯৭২ সালে মুক্তি পায় সুভাষ দত্ত নির্মিত ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, আনন্দ পরিচালিত ‘বাঘা বাঙালি’, মমতাজ আলী পরিচালিত ‘রক্তাক্ত বাংলা’ প্রভৃতি।
প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির ১৯৭৩ সলে নির্মাণ করেন ‘ধীরে বহে মেঘনা’। খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’, কবীর আনোয়ারের ‘শ্লোগান’, আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’ প্রভৃতি। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ফুটে ওঠে ১৯৭৪ সালে নির্মিত নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ ছবিতে। ওই বছর মুক্তি পায় চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ ও এস আলীর ‘বাংলার ২৪ বছর’।
১৯৭৪-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণে ভাটা পড়ে। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় হারুন-অর-রশীদের ‘মেঘের অনেক রং’। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া আবদুস সামাদের ‘সূর্যগ্রহণ’ ছবিতেও এসেছে মুক্তিযুদ্ধের কথা। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণ কমে যায়। ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় শহীদুল হক পরিচালিত ‘কলমীলতা’ ছবিটি। প্রায় একই সময়ে মুক্তি পায় এ জে মিন্টুর ‘বাঁধন হারা‘ আর মতিন রহমানের ‘চিৎকার’ ছবি। তারপর লম্বা বিরতি।
আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে আমাদের চলচ্চিত্রের অধঃপতন শুরু হয়, যা অব্যাহত থাকে পুরো নব্বই দশক পর্যন্ত। এ সময়টার মাঝেই বিকল্পধারা হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বলিষ্ঠ হয়ে উঠে। মোরশেদুল ইসলামের ‘আগামী’, তানভীর মোকম্মেলের ‘হুলিয়া’ ও ‘নদীর নাম মধুমতি’, নাসিরউদ্দিন ইউসুফের ‘একাত্তরের যীশু’, মোস্তফা কামালের ‘প্রত্যাবর্তন’, আবু সাইয়ীদের ‘ধূসর যাত্রা’ প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্যরে আলোচিত ছবি। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তানভীর মোকাম্মেলের ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ ছবিটিতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরা হয়।
একাত্তরে মার্কিন সাংবাদিক লিয়ার লেভিনের ধারণ করা ফুটেজ নিয়ে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মাণ করেন প্রামাণ্য ছবি ‘মুক্তির গান’।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে কয়েকটি শিশুতোষ মুক্তিযুদ্ধের ছবি নির্মিত হয়। যার মধ্যে দেবাশীষ সরকারের ‘শোভনের একাত্তর’, রফিকুল বারী চৌধুরীর ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’, জাঁ-নেসার ওসমানের ‘দুর্জয়’, হারুনুর রশীদের ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, বাদল রহমানের ‘ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ’, ছটকু আহমেদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জীবন’, মান্নান হীরার ‘একাত্তরের রঙপেন্সিল’ উল্লেখযোগ্য।
লম্বা বিরতির পর নব্বই দশকের প্রথমার্ধে আবার নতুন করে যাত্রা শুরু মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র। ১৯৯৪ সালে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত প্রথম ছবি ‘আগুনের পরশমণি’। ১৯৯৮ সালে নির্মিত হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় ছবি ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক না হলেও এতে মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ এসেছে। কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে নির্মাণ করেন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ নির্মিত ‘মাটির ময়না’ ছবিটিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত একটি উল্লেখযোগ্য ছবি।
পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করেন ছবি ‘মেঘের পর মেঘ’। হুমায়ুন আহমেদ তৈরি করেন ‘শ্যামলছায়া’ এবং অভিনেতা তৌকীর আহমেদ নির্মাণ করেন ‘জয়যাত্রা’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া তানভীর মোকাম্মেলের ‘রাবেয়া’ মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নির্মাণে নবযুগ সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে রনাঙ্গনে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সম্প্রতি নির্মাণ করেন ‘গেরিলা’ ছবিটি। এ বছর পহেলা বৈশাখ মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (নেটপ্যাক) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। দর্শকদের কাছেও ‘গেরিলা’ পেয়েছে ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা।
এ বছর মুক্তি পেয়েছে আরো দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি। একটি হলো মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং অন্যটি হলো তরুণ পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত ‘মেহেরজান’।
বিজয়ের পর গত চল্লিশ বছরে যেখানে চল্লিশটি ছবি নেই, সেখানে এ বছর দেশে মুক্তি পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩টি ছবি। আরো বেশ কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি নির্মাণের অপেক্ষায় । আমরা আরো কিছু মহৎ ছবি দেখার অপেক্ষা্য় রইলাম।
.
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, কিছু প্রামাণ্যচিত্র ছাড়া গত চল্লিশ বছরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চল্লিশটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় নি। তবে গর্ব করার মতো বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই এ দেশে স্বাধীনতার ইঙ্গিত নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নিয়ে একদিকে যেমন আক্ষেপ আছে, অন্যদিকে আছে অহংকার। বিজয়ের চল্লিশ বছরে এসে সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ হয়ে ওঠে ‘গেরিলা’ । এ বছর পহেলা বৈশাখ মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (নেটপ্যাক) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর এ দেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান প্রতীকীভাবে নির্মাণ করেন ‘জীবন থেকে নেওয়া’। তবে একই বছরে স্বাধীনতার বাণী নিয়ে নির্মিত ফখরুল আলম পরিচালিত ‘জয়বাংলা’ নামের ছবিটি পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ড আটকে রাখে। ১৯৭২ সালে এটি মুক্তি পায়।
স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’। এ ছবির সিংহভাগ কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পী ছিলেন সরাসরি রণাঙ্গনে লড়াই করা মুক্তিসেনা।
১৯৭২ সালে মুক্তি পায় সুভাষ দত্ত নির্মিত ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, আনন্দ পরিচালিত ‘বাঘা বাঙালি’, মমতাজ আলী পরিচালিত ‘রক্তাক্ত বাংলা’ প্রভৃতি।
প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির ১৯৭৩ সলে নির্মাণ করেন ‘ধীরে বহে মেঘনা’। খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’, কবীর আনোয়ারের ‘শ্লোগান’, আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’ প্রভৃতি। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ফুটে ওঠে ১৯৭৪ সালে নির্মিত নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ ছবিতে। ওই বছর মুক্তি পায় চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ ও এস আলীর ‘বাংলার ২৪ বছর’।
১৯৭৪-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণে ভাটা পড়ে। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় হারুন-অর-রশীদের ‘মেঘের অনেক রং’। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া আবদুস সামাদের ‘সূর্যগ্রহণ’ ছবিতেও এসেছে মুক্তিযুদ্ধের কথা। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি নির্মাণ কমে যায়। ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় শহীদুল হক পরিচালিত ‘কলমীলতা’ ছবিটি। প্রায় একই সময়ে মুক্তি পায় এ জে মিন্টুর ‘বাঁধন হারা‘ আর মতিন রহমানের ‘চিৎকার’ ছবি। তারপর লম্বা বিরতি।
আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে আমাদের চলচ্চিত্রের অধঃপতন শুরু হয়, যা অব্যাহত থাকে পুরো নব্বই দশক পর্যন্ত। এ সময়টার মাঝেই বিকল্পধারা হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বলিষ্ঠ হয়ে উঠে। মোরশেদুল ইসলামের ‘আগামী’, তানভীর মোকম্মেলের ‘হুলিয়া’ ও ‘নদীর নাম মধুমতি’, নাসিরউদ্দিন ইউসুফের ‘একাত্তরের যীশু’, মোস্তফা কামালের ‘প্রত্যাবর্তন’, আবু সাইয়ীদের ‘ধূসর যাত্রা’ প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্যরে আলোচিত ছবি। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তানভীর মোকাম্মেলের ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ ছবিটিতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরা হয়।
একাত্তরে মার্কিন সাংবাদিক লিয়ার লেভিনের ধারণ করা ফুটেজ নিয়ে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মাণ করেন প্রামাণ্য ছবি ‘মুক্তির গান’।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে কয়েকটি শিশুতোষ মুক্তিযুদ্ধের ছবি নির্মিত হয়। যার মধ্যে দেবাশীষ সরকারের ‘শোভনের একাত্তর’, রফিকুল বারী চৌধুরীর ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে’, জাঁ-নেসার ওসমানের ‘দুর্জয়’, হারুনুর রশীদের ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, বাদল রহমানের ‘ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ’, ছটকু আহমেদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জীবন’, মান্নান হীরার ‘একাত্তরের রঙপেন্সিল’ উল্লেখযোগ্য।
লম্বা বিরতির পর নব্বই দশকের প্রথমার্ধে আবার নতুন করে যাত্রা শুরু মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র। ১৯৯৪ সালে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত প্রথম ছবি ‘আগুনের পরশমণি’। ১৯৯৮ সালে নির্মিত হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় ছবি ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক না হলেও এতে মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ এসেছে। কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে নির্মাণ করেন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ নির্মিত ‘মাটির ময়না’ ছবিটিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত একটি উল্লেখযোগ্য ছবি।
পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করেন ছবি ‘মেঘের পর মেঘ’। হুমায়ুন আহমেদ তৈরি করেন ‘শ্যামলছায়া’ এবং অভিনেতা তৌকীর আহমেদ নির্মাণ করেন ‘জয়যাত্রা’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া তানভীর মোকাম্মেলের ‘রাবেয়া’ মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নির্মাণে নবযুগ সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে রনাঙ্গনে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সম্প্রতি নির্মাণ করেন ‘গেরিলা’ ছবিটি। এ বছর পহেলা বৈশাখ মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (নেটপ্যাক) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। দর্শকদের কাছেও ‘গেরিলা’ পেয়েছে ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা।
এ বছর মুক্তি পেয়েছে আরো দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি। একটি হলো মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং অন্যটি হলো তরুণ পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত ‘মেহেরজান’।
বিজয়ের পর গত চল্লিশ বছরে যেখানে চল্লিশটি ছবি নেই, সেখানে এ বছর দেশে মুক্তি পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩টি ছবি। আরো বেশ কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি নির্মাণের অপেক্ষায় । আমরা আরো কিছু মহৎ ছবি দেখার অপেক্ষা্য় রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





