এই ভুমিকাটা দিলাম কারন এক পাছায় লাথি দিয়ে আবার চুমু দেয়ার রুচি শুধুই আমাদের সরকারেরই আছে। আফসোসের বিষয় তারা পাকি পাছাতে লাথি দেয় উঠতে বসতে, আবার তারাই আমাদের ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান পাঠাতে মিটিং করে। আবার এরাই পাকিস্তনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। হিনা রাব্বানীকে ধন্যবাদ ক্ষমা না চাইবার জন্য। কারণ ক্ষমা চেয়ে ফেললে সমুদ্র জয়ের মত, আজকে পাকিস্তান জয়ের উল্লাস দেখতে হোত । আর কোনদিন হয়ত দিপুমনিকে ক্ষমা করতে পারতাম না। লাখ লাখ শহীদের রক্ত শুধু ক্ষমায় মিটে যাবার নয়, এটা মুক্তিযুদ্ধের 'স্বপক্ষ' শক্তি কবে শিখবে?
আইসিসির পদ পেতে পাকি পুচ্ছ যদি চুমাতে পারেন তাহলে ড. ইউনুসের সাথে আপোষ করতে ক্ষতি কি? উনার জন্য নাকি সব উন্নয়ন পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। খালেদা ও ইউনুস বিদাশীদের আকথা কুকথা না বললে, এদ্দিনে উন্নয়ন ঘরের দরজা ভাইঙ্গা ঢুইকা পরতো মনে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের 'স্বপক্ষ' শক্তির এমন করুন দশা হয়ত আগে কখনো হয় নাই .... পুলিশ ড়েব ডিজিয়েফাই কোবরা চিতা আরো কত কি আছে। আছে জলকামান, লাঠি, টিয়ার গ্যাস, রাবার, অরিজিনাল বুলেট। তারপরেও পুলিশ নাকি জায়াত শিবিরের সাথে পাইরা উঠতেছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই যুবলীগকে মাঠে নামতে বলছেন। আগে বাংলা সিনেমায় পুলিশ বলতো, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আর এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতেছেন আইন নিজের হাতে তুলে নিন। তালে আর পয়সা দিয়ে পুলিশ ড়েব পোষার কি দরকার। হাতের চুড়ি কিনে দেই। গণভবনের সামনে লিপস্টিক মেখে বসে থাকেন। জনগণ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঝাপায়ে পরে তাহলে পাকিস্তানের সাথে আর পার্র্থক্য় কি থাকলো জনাব?
একটা গল্প দিয়ে শেষ করি। দু:ক্ষজনক হলো গল্পটা মোটেও হাসির না। পলিটিকালি কারেক্ট বেডটাইম স্টোরি--
হাসি ও খুশি দুই বোন। কিন্তু তাহারা একে অপরকে বিন্দুমাত্র সহ্য করিতে পারিতো না। তাহাদের মাতা দীর্ঘ রোগভোগে মৃত্যুশয্যায় কাতরাইতেছে। উহাদের অনেক জায়গা জমিন ছিল কিন্তু চাষবাস করিবার কেহ ছিলো না। প্রেম ভিন্ন আর কোন কিছুতে দুইবোনের নজর ছিল না।
হাসির সহিত প্রেম করিত ভরত দাস। আর খুশি বছর বছর শহরে গিয়া খান মিয়ার ফ্লাটে উঠিতো। তাহারা পরিকল্পনা করিতে লাগলো, কি করিয়া চলে-বলে-কৌশলে সম্পত্তি লিখাইয়া নেয়া যায় বৃদ্ধামাতার কাছে। হাসিকে কুমন্ত্রনা দিল ভরত দাস। আর খুশিকে কূটবুদ্ধি দিল খান সাব। দুই বোনের নানান প্যাচখেলা দেখিতে দেখতে পাড়াপড়শিরা অতিষ্ঠ হইয়া উঠিল।এক রাতে অসুস্থ মা পানির পিপাসায় অস্থির হইলেন। খুশি দৌড়াইয়া পানি আনিতে কুয়া পাড়ে গেল। পানি লইয়া ফিরিয়া দেখে হাসি আর ভরত লগি-বৈঠা লইয়া উপস্থিত। তাহারা কিছুতেই খুশিকে পানি নিয়া রাজনীতি করিয়া সম্পত্তি লইতে দিবে না। খুশি ডাকিয়া আনিলো খান সাবকে। শুরু হইয়া গেল দুই পক্ষের লড়াই। চিৎকার-কোলাহল শুনিয়া পাড়াপড়শি জড়ো হইলো। কিছুক্ষন পর খুশি আর হাসি দুইজনই আহত হইয়ে মাটিতে পড়িয়া গেল। লড়াই থামিলে বাড়ির ভিতর হইতে দেল্লু মিয়া বাতাসা হাতে হাসি মুখে বাহিরে আসিলো। সবাইকে বাতাসা বিলাইতে বিলাইতে দেল্লু মিয়া বলিল "আজ হইতে আমি তোদের বাপ। আর ঝগড়া করিয়া কাজ নাই। আমি তোদের মাকে মরনকালে পানি দিয়া সেবা করিয়াছি। সাথে শর্ত দিয়া কবুলও পড়াইয়া নিইয়াছি। পুরা সম্পত্তি এখন আমার। তোরা এখন আমাদের বিয়ার বাতাসা মুড়ি দিয়া মাখায়া খা।" হাসি আর খুশি চিৎকার করিয়া হয় হয় করিতে করিতে ঘরে ছুটিয়া গেল। তাহাদের মাতা ততক্ষনে মারা গিয়াছে। তাহারা দেল্লু মিয়াকে চাপিয়া ধরিলো। "শয়তান, কি করিয়াছিস আমার মায়ের সাথে"
দেল্লু মিয়া বলিল "বিবাহ করিয়াছি, সোহাগ করিব না?"
(লেখাটির বড় অংশ বাঙ্গাল পেইজ থেকে নেয়া)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





