somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘প্রজন্ম চত্বরের দলীয়করণ হলে আমরা বসে থাকবোনা’

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থা থেকেই প্রজন্ম চত্বরের নাম দিয়ে এই আন্দোলন- একথা ভুলে গেলে চলবে না........সুতরাং- ‘প্রজন্ম চত্বরের দলীয়করণ হলে আমরা বসে থাকবোনা’

১. যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থা থেকেই যে এই আন্দোলন- একথা ভুলে গেলে চলবে না । সরকারের প্রতি অনাস্থা থেকে আন্দোলনে নেমে এখন অগাধ আস্থার ভাব নিয়ে বসে থাকলে, ‘সরকার কে কোন ভাবেই না ঘাটানো’র নীতি অটুট রাখলে বা মিঠা মিঠা কর্মসূচী দিলে আন্দোলন কোন দিনও সফল করা যাবে না।

২. জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার আন্দোলনকে নানা ভাবেই হাইকোর্ট দেখাচ্ছে। এটা কিন্তু একটা সিগনাল। এই সিগনালের অর্থ বুঝে সরকারকে সময় মতো চাপ দিতে না পারলে সরকার ইস্যুটা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। নিষিদ্ধ করার প্রকৃয়া শুরু করার আল্টিমেটাম দিয়ে কোন লাভ নাই, সোজা নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দিতে হবে।

৩.শুধু আলটিমেটাম দিলেই হয় না, র্নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবী না মানলে ‘ভবিষ্যতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব’ জাতীয় ফাকা আওয়াজ দিলেই হয় না, কঠোর কর্মসূচী যে আসলেই দিতে পারি আমরা, সেটাও আন্দোলনের শত্রু ও মিত্র উভয়কেই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া চাই। নইলে যুদ্ধাপরাধীরা ঝোলার বদলে আন্দোলনই ঝুলে যাবে। এর জন্য প্রয়োজনে অবরোধ, ঘেরাও জাতীয় কর্মসূচী দিতে হবে।

৪. আওয়ামি লীগের নেতা-কর্মীরা সাংগঠিনক সকল কাজেই অংশ নিতে পারেন কিন্তু নেতৃত্ব হিসেবে হাজির হওয়া বা মঞ্চ দখলে রাখার মানসিকতা বা কর্মসূচী নরম করার প্রবণতা বাদ না দিলে জনগণের সামনে এই আন্দোলন স্রেফ আওয়ামি লীগের নির্বাচনী আন্দোলন বলে প্রতিভাত হবে। তখন সংগঠন হিসেবে আওয়ামি লীগ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে সন্দেহ, অবিশ্বাস, ক্ষোভ, বিদ্বেষ তার ভার অযাচিত ভাবে এই নির্দলীয় আন্দোলনের উপর পড়বে যার ভার বহন করার ক্ষমতা এই আন্দোলনের নাই।

৫. সর্ব স্তরের মানুষ এই আন্দোলনের সাথে নানা ভাবে যুক্ত হতে চায়। কিন্তু বেলুন ওড়ানো আর মোমবাতি জ্বালানোর মতো কর্মসূচীর মাধ্যমে মানুষকে বেশি দিন ধরে রাখা যাবে না, আন্দোলনের দাবীও আদায় করা যাবে না- এর জন্য মানুষের স্বত:স্ফুর্ত আকাঙ্খাকে সাংগঠিনক শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এর জন্য শাহবাগের সাথে সারা দেশের আন্দোলনের বিভিন্ন কেন্দ্রের সম্পর্ক জোরদার করতে হবে, এলাকায় এলাকায় সংগ্রাম কমিটি গঠন করে নিয়মিত লাঠি মিছিল, মশাল মিছিল ইত্যাদি অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে সংগঠিত শক্তির মহড়া দিতে হবে, সরকার ও জামাত-শিবির উভয়কেই নিজেদের সাংগঠিনক শক্তির জানান দিতে হবে।

৬. স্থানীয় সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে নানা ভাবে সাংগঠিনক শক্তির মহড়া দেয়া ছাড়াও জামাত-শিবিরের অপপ্রাচার গুলোরও জবাব দেয়া সম্ভব। তার জন্য লিফলেট, ছোট ছোট সভা, এলাকায় এলাকায় গণ সংযোগ নানান কিছু্ই করা যেতে পারে। আমাদের অনেকের হয়তো ধারণাই নাই নানান ধরণের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি কত দূর পর্যন্ত পৌছেছে, কতটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই অপপ্রচার গুলোর সঠিক জবাব জনগণের কাছে সময় মতো পৌছে দিতে না পারলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে।

৭. যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীর দাবীর সাথে কিংবা যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবীর সাথে আন্দোলনকারীরা ডান হাত দিয়ে খায়, না বাম হাত দিয়ে খায়- এই প্রশ্নের যেমন কোন সম্পর্ক নাই, তেমনি সম্পর্ক নাই আন্দোলনকারীর ব্যাক্তিগত ধর্মবিশ্বাস/অবিশ্বাসের। এই বিষয়টি জনগণের সামনে দ্রুত পরিস্কার করতে হবে।

সৌজন্যে : তারেক মাহমুদ...
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×