somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদুৎ প্রবাহের পরিমাপ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিভিন্ন কাজে বিদুৎ-সরবরাহের জন্য বিদুৎ শক্তি পরিমাপের প্রয়োজন হয়।আসুন বিদুৎ পরিমাপের কয়েকটি একক সর্ম্পকে কিছু জানার চেস্টা করি।

অ্যাম্পিয়ারঃ ফরাসী বিজ্ঞানী আদ্রেঁ অ্যাম্পিয়ার (1775-1836) এর




নামানুসারে বিদুৎ প্রবাহের এককের নাম অ্যাম্পিয়ার দেয়া হয়েছে।
সিলভার নাইট্রেটের দ্রবে স্থাপিত রুপার ক্যাথোডের উপর প্রতি



সেকেন্ডে 1.12 মিঃগ্রাঃ প্রলেপের সৃস্টি করতে যে পরিমান বিদুৎ প্রবাহ ব্যায় হয়-উহাই হইল অ্যাম্পিয়ার। বিদুৎ প্রবাহের মাত্রা সরাসরি পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যাবহার করা হয় তার নাম অ্যামি্টার।



ভোল্টঃ পানি প্রবাহি একটা নলের খোলা মুখে আঙ্গুল রাখলে পানির চাপ অনুভব করা যায়।এই চাপের জন্যই নলের মধ্যে পানি প্রবাহিত হয়।তদ্রুপ বৈদ্যুতিক চাপের ফলেই তারের মধ্যে বিদুৎ প্রবাহিত হয়।এই চাপ যত বেশী হইবে বিদুৎ প্রবাহ তত প্রবল হইবে। তারের মধ্যে বৈদ্যুতিক চাপ বিদুৎ-উৎপাদক যন্ত্র বা বিদুৎত কোষের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।বিদুৎ কোষের সাহায্যে উৎপন্ন বৈদ্যুতিক চাপের ফলে বর্তনীতে বিদুৎ প্রবাহিত হয়।



চাপকে কোষের বিদুৎ-উৎপাদক শক্তি বলে।বৈদ্যুতিক চাপের পার্থক্য সরাসরি বিদুৎ কোষের সাহায্যে উৎপন্ন বৈ্দুৎতিক পরিমাপের জন্য যে যন্ত্র ব্যাবহার করা হয় তার নাম ভোল্টমিটার।

ওহমঃ কোন পরিবাহী্র মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় ঐ পরিবাহী পদার্থ বিদুৎ প্রবাহের পথে বাধা সৃস্টি করে,বিদুৎ-প্রবাহের এই বাধাকে বৈদ্যুতিক রোধ বলে।



জার্মান বিজ্ঞানী সাইমন ও্হম (1787-1854) এর নামানুসারে রোধ পরিমাপের একককে ওহম বলা হয়।



বিজ্ঞানী ওহম বৈদ্যুতিক চাপ,বৈদ্যুতিক প্রবাহ এবং বৈদ্যুতিক রোধের মধ্যে সর্ম্পক নির্নয় করিয়াছেন।ইহা ওহমের সুত্র নামে পরিচিত।নীচে সুত্রটি দেয়া হলো।

সংক্ষেপে, ওহম= ভোল্ট
----------------- বা ভোল্ট=অ্যাম্পিয়ার X ওহম
অ্যাম্পিয়ার ভোল্ট এবং অ্যাম্পিয়ার জানা থাকলে এই সুত্র হইতে ওহম জানা যায়।

ওয়াটঃ বিদুৎ শক্তির মাপের একটি সাধারন একক ওয়াট।বৈদ্যুতিক বাতিতে কত শক্তি ব্যায় হয় তা বোঝার জন্য 40,60,100 প্রভৃতি ওয়াট লেখা থাকে।ওয়াট একটি ছোট একক,সুতরাং বড় বড় যন্ত্রপাতি ইঞ্জিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিলোওয়াট এককটি ব্যাবহার করা হয়।বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটের নামানুসারে বিদুৎ শক্তি পরিমাপের এককের নাম ওয়াট হইয়াছে।



বৈদ্যুতিক চাপ এবং মোট বিদুৎ - শক্তির মধ্যে একটা সর্ম্পক রয়েছে।এই সর্ম্পকটি হইল;ওয়াট=অ্যাম্পিয়ার X ভোল্ট। ভোল্ট।এই সর্ম্পক হইতে বুঝা যায়,কোন বর্তনীর দুই প্রান্তের মধ্যে বৈদ্যুতিক চাপ 1 ভোল্ট ও বর্তনীতে প্রবাহিত বিদুৎ যদি 1 অ্যাম্পিয়ার হয় তবে ঐ বর্তনীতে প্রতি সেকেন্ডে যে শক্তি ব্যায় হয় উহার মান 1 ওয়াট।1 ওয়াট বিদুৎ শক্তি 1 ঘন্টা চলিতে থাকিলে যে পরিমান শক্তি ব্যায় হয় তাহাকে 1 ওয়াট ঘন্টা বলে।ওয়াট Xঘন্টা=ওয়াট-ঘন্টা।



2 ওয়াট শক্তির বিদুৎ প্রবাহ 3 ঘন্টা ধরে যদি চলিতে থাকিলে 2 ওয়াট X 3 ঘন্টা= 6 ওয়াট ঘন্টা বিদুৎ খরচ হইবে।1000 ওয়াট ঘন্টা = 1 কিলোওয়াট-ঘন্টা 1 ওয়াট ঘন্টা বিদুৎ শক্তিকে আমরা 1 ইউনিট বা বিদুৎতের 1 ব্যাবহারিক একক বলি। 120 ভোল্ট বিদুৎ সরবরাহ ব্যাবস্থায় কোন পরিবাহীর মধ্যে 3 অ্যাম্পিয়ার বিদুৎ প্রবাহিত হইলে ঐ তারের রোধ হবে। রোধ=ভোল্ট ভাগ অ্যাম্পিয়ার=120 ভোল্ট ভাগ 3 অ্যাম্পিয়ার= 40 ওহম।

ছবি গুগল।
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×