somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৌর-অধিপতি (প্রথম পর্ব)।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সামুর সকল ব্লগার পাঠক এবং মডুদের প্রতি রইল ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মুবারক।


পৃথিবীতে এই যে প্রানের স্পন্দন,পাহাড়,সাগর,অরন্য,আকাশে মেঘের ভেলা,রাতে নক্ষত্রের আলোয় পথ চলা।কত না সুন্দর এই পৃথিবী,এর সব কিছুর মুলে আছে সূর্য এই সূর্য আছে বলেই এই পৃথিবীতে প্রানের এত স্পন্দন।সূর্য থেকে পৃথিবী যতুটুকু দূরে আছে,এর থেকে যদি আর একটু দূরে থাকতো তাহলে পৃথিবীতে পানের উৎপত্তি হতো না প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য।তেমনি যদি আর একটু কাছে থাকতো তাহলে প্রচন্ড গরমের কারনেও প্রানের উৎপত্তি হতো না।



সৌরজগতের কেন্দ্রঁবিন্দুতে রয়েছে সূর্য।আসুন সূর্য সর্ম্পকে কিছু জানার চেষ্ঠা করি।সূর্যের ব্যাস 1,392,684 km (865,374 mi),যা পৃথিবীর প্রায় 109 গুন। ভর (1.989×1030 kilograms, যা পৃথিবীর 330,000 গুন) সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় 5,500 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অথবা 9,932 ডিগ্রী ফারেনহাইট।এবং কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় 15.7 মিলিয়ন ডিগ্রী কেলভিন।





ছায়াপথের কেন্দ্রের চারিদিকে সূর্যের একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় 20 কোটি বছর।ছায়াপথে আবর্তনের সময় সূর্যের গতিবেগ থাকে সেকেন্ডে প্রায় 200 মাইল।পাশের তারকাদের সাপেক্ষে সূর্যের গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 12 মাইল।সূর্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 800 কোটি টন হাইড্রোজেন ধংস করে।আর এই ধংস হওয়া হাইড্রোজেন কিন্ত শক্তিতে রুপান্তরিত হয় এবং তাপ,আর আলো হিসাবে বিকিরিত হয়। আসুন দেখা যাক কিভাবে।





সূর্য গঠনকারী উপাদানের মধ্যে হাইড্রোজেনের পরিমান- 73.46% হিলিয়াম- 24.85% আর অন্য গ্যাসীয় পদার্থ আছে অক্সিজেন-0.77% কার্বন-0.29% আয়রন-0.16% নিয়ন-0.12 নাইট্রোজেন-0.09% সিলিকন-0.07% ম্যাগনেসিয়াম-0.05% সালফার-0.04% এর মধ্যে হাইড্রোজেনের পরিমান সব থেকে বেশী।সূর্যে স্থিত দুটি হাইড্রোজেন পরমানু পরস্পর বিক্রিয়া করে ডিউটোরিয়াম তৈরী করে,সেই হিসাবে ডিউটোরিয়ামে দূটি প্রোটন থাকার কথা।কিন্তু ডিউটোরিয়ামে থাকে একটি প্রোটন বাকি একটি প্রোটন পজিট্রনে রুপান্তরিত হয়,এবং শক্তি হিসাবে নির্গত হয়।এভাবে একটি ডিউটোরিয়াম,আর একটি আর একটি হাইড্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে হিলিয়াম আইসোটোপ পরস্পর বিক্রিয়া করে হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেন পরমানু উৎপন্ন করে।



একটি হিলিয়াম পরমানুর নিউক্লিয়াসে 4 টি প্রোটন থাকে।আবার 4 টি হাইড্রোজেন পরমানুতে আলাদাভাবে 4 টি প্রোটন থাকে। 4টি হাইড্রোজেন পরমানু মিলেই একটি হিলিয়াম পরমানু তৈরী করে।কিন্তু দেখা যায় 4 টি হাইড্রোজেন পরমানু বিক্রিয়ার মাধ্যমে হিলিয়াম পরমানুতে পরিনত হলে 0.0277 একক ভর হারায়।আর এই হারানো ভরই সূর্য হতে শক্তি হিসাবে নির্গত হয়।একইভাবে কার্বন চক্রের মাধ্যমেও কার্বন ও নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়ায় কার্বন অপরিবর্তিত থাকে এবং প্রভাবক হিসাবে কাজ করে তবে হাইড্রোজেন পরমানুর প্রোটন অবক্ষয়ের ,মাধ্যমে সূর্য হতে শক্তির
বিকিরন ঘটে থাকে।



আবার হাইড্রোজেন কেন্দ্রকনীয় রুপান্তরে হিলিয়ামে পরিনত হইলে প্রতি হাইড্রোজেন পরমানুর জন্য 2X10 এর পরে তেরটি শূন্য বসালে যে সংখ্যা পাওয়া যায় সূর্য সেই পরিমান ক্যালারি মুক্ত করে।এর ফলে সূর্যের অভ্যন্তরে তেজ উৎপন্ন হয়।এই কেন্দ্রকনীয় বিক্রিয়া প্রায় 2 কোটি ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপে সংগঠিত হইয়া থাকে।কিন্তু ভারী কেন্দ্র কনাসমূহের ভেতরে বিক্রিয়া সংঘঠিত করিয়া যথেস্ট পরিমানে ভারী মৌলিক পদার্থ উৎপাদনের পক্ষে এই তাপ যথেস্ট নয়।



তেজের প্রধান উৎস হাইড্রোজেন নিঃশেষিত হইয়া গেলে ইহা পর্যায়ক্রমে কতকগুলো অবস্থার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করে।ইহার ফলে কেন্দ্রকনীয় তাপও ঘনত্ব যথেস্ট পরিমানে বৃদ্ধি পায়।ইহা একটি জটিল প্রক্রিয়া যার ফলে আর অগ্রসর হলাম না।কিন্ত শুধু এইটুকু বলি তেজের প্রধান উৎস হাইড্রোজেন নিঃশেষিত হতে থাকে আর এদিকে সূর্যের অভ্যন্তরে ভারী হইতে অধীক ভারী পদার্থ উৎপন্ন হইতে থাকে।এবং অবশেষে লৌহে পরিনত হয়।আর এই লোহার কেন্দ্রকনা সর্বাপেক্ষা স্থায়ী।আর সূর্যের ভেতরে যখন এই লোহার কেন্দ্রকনা উৎপন্ন হবে,ঠিক সেই মূর্হত থেকে সূর্যের মৃত্যু ঘন্টা বেজে উঠবে।এই সর্ম্পকে বিস্তারিত অন্য এক পোষ্ঠে দিবো।

চলবে...........................

ছবি গুগল।


১৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×