somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিউশনঃ হোয়াট টু ডু!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিউশন প্রবলেম! আপনি কেন টিউশন পান না অথবা পেয়েও টিকাইতে পারেন না! ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত অনেক শিক্ষার্থী। দেখা যাক এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কোন সমাধান পাওয়া যায় কিনা!


বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই অনেক অনেক শিক্ষার্থী টিউশনীর পিছনে হন্য হয়ে ছুটে বেড়ান। কেউ কেউ ধ্যান-জ্ঞান করে নেন টিউশনীকেই। কেউ কেউ এই ভাই, ওই ভাইয়ের পিছনে ছুটে বেড়ান। একটা কোন ভাবে ম্যানেজ হলেও দেখা যাচ্ছে বেশি দিন টিকাইতে পারছেন না। তাহলে কী করণীয়?


প্রথমে মনস্থ করুন যে টিউশনটা আপনার দরকার। খুব ভাবে দরকার। এরপর ছুটুন। টিউশন কিভাবে পাবেন এর আসলে কোন সমাধান নেই। বিভিন্ন মিডিয়া, হলের বড় ভাই, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এখন বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সেগুলো দেখতে পারেন। এখন আলোচনা করা যাক টিউশনটা কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায়।


মনে রাখবেন, ভাল ছাত্র মাত্রেই যে ভালো শিক্ষক হবেন এমন কোন কথা নায়। টিউশন টিকিয়ে রাখার জন্য লাগে ডেডিকেশন। এর জন্য কী-ফ্যাক্টর হলো অভিভাবক। আপনাকে মনে রাখতে হবে ঢাকা শহরে আপনি শুধু একজন স্টুডেন্ট পড়াবেন না, পড়াতে হবে অভিভাবককেও।


শুরুর দিকে আপনাকে বোঝাতে হবে যে, ইউ প্রিফার ফ্যামিলারিটি রাদার দ্যান প্রোফেশনালিজম! স্টুডেন্টকে আপন করে নিন। মনে করুন ও খারাপ করলে আপনি খারাপ করবেন, ও ভালো করলে আপনিও ভালো। কেমন পড়ালেন সেটা মুখ্য না, দিনশেষে সবাই রেজাল্টটাই দেখে, যেমনটা ছাত্রাবস্থায় আপনাকেও দেখা হয়।


এক্ষেত্রে সময়ের দিকে নজর দিন। আপনি লেইটে যান সেটা ব্যাপার না। আপনার জন্য নির্ধারিত সময়ের পুরাটা পড়াবেন। এক মিনিটও কম নয় বরঞ্চ বেশি। আমি তো মাঝে মাঝে দুই ঘন্টার জায়গাতে চার ঘন্টাও পড়িয়েছি, শুধু রেজাল্টটার জন্য। ফলও পেয়েছি।


এরপর রেগুলারিটি। আপনার জন্য নির্ধারিত দিনের এক দিনও কম পড়াবেন না। এমন হতে পারে যে স্টুডেন্ট অসুস্থ অথবা আপনি, নো ম্যাটার কে! আপনার ১৬ দিন মানে ১৬ দিন। যেভাবে পারেন পুষিয়ে দিবেন। অভিভাবক এই জিনিষটা খুবই গুরুত্বের সাথে খেয়াল করে।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রতিটা স্টুডেন্টকে একটা ডায়েরী রাখতে বলি। আমি যেদিন যেদিন যায় তারিখসহ তার পরেরদিনের পড়া লিখে দিয়ে আসি। আপাত দৃষ্টিতে এটা পড়া দেওয়ার খাতা মনে হলেও এটা আপনার এটেন্ডেন্স হিশেবে কাজ করবে। বেতন দেওয়ার আগে অভিভাবক যে এটা দেখবেই এ ব্যাপারে সন্দেহ নাই।


প্রথম দিকে অনেক অভিভাবক আড়াল থেকে নজরদারি করেন, কি পড়াচ্ছেন! কি বলছেন! এগুলোর উপর। সো বি কেয়ারফুল। অপ্রাসঙ্গিক কথা কম বলবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন বইয়ের ভাষায় নয়, সহজ সহজ উদাহরণ প্রয়োগ করে বোঝানোর। স্টুডেন্টের দুর্বল জায়গাগুলোতে আপনি থাকবেন সবচেয়ে তৎপর! একটা জিনিষ না বুঝলে বার বার বোঝাবেন! কোনভাবেই বিরক্ত হবেন না।


পড়ানোর সময় কোন কাজ না থাকলে অবশ্যই ফেইসবুকিং করবেন না। এটা খুবই বাজে অভ্যেস। ডায়েরীর পিছনে একটা শিডিউল তৈরী করে নিন, আপনি কতটা ক্লাস পাবেন আর সিলেবাসের কতটা বাকি। নির্ধারিত দিনের আগেই সিলেবাস শেষ করুন। বাকি সময়টা দুর্বল অংশগুলো ভালোভাবে দেখান এবং রিভিশন করান।


স্টুডেন্ট পড়া অথবা হোমওয়ার্ক না করলে প্রথম দিনেই কমপ্লেইন করবেন না। তাকে বোঝান আপনি তাকে স্নেহ করেন বিধায় আজ মাফ করে দিলেন। স্টুডেন্ট খুশি হবে। ভালো বোঝাপড়া থাকাটা জরুরী। দ্বিতীয় দিন না করলে আভিভাবককে জানান। কেননা খুব ফাঁকিবাজ হলে অন্তত আপনি সেইফ লাইনে থাকবেন। কেননা আপনি নিয়মিত অভিভাবককে অবহিত করেছেন এজন্য।


সুন্দরী মেয়ে স্টুডেন্ট হলে ফ্লার্টিং করবেন না, ইভেন সামান্যতম প্রশ্রয়ও দিবেন না। খুবই স্ট্রিক্ট থাকবেন। এগুলো খুবই সেন্সিটিভ ইস্যু। কেননা যে পাতে খাচ্ছেন সে পাত সজ্ঞানে ফুটা করে দেওয়ার কোন মানে হয় না। স্টুডেন্টের থেকে যথাসম্ভব একটা ডিসটেন্স রাখুন। বেশি ফ্রি হলে মাথায় চড়ে বসবে। বি কেয়ারফুল।


স্কুলের সিলেবাস, স্কুলের টিচার, উনাদের অংকের নিয়মকে প্রাধান্য দিন। ক্লাস টেস্ট, সাডেন টেস্ট সম্পর্কে ধারণা রাখুন। বোর্ডের প্রশ্নগুলো ঘেটে দেখুন কোনটা ইম্পরটেন্ট আর কোনটা না। আপনার নিজ পড়াশোনার ব্যঘ্যাত না করে দিনে অল্প কিছু সময় স্টুডেন্টকে কি পড়াবেন, কিভাবে পড়াবেন তার একটা স্ট্রাকচার দাড়া করান।


হোপফুলি ইউ উড বি এ গ্রেট টিউটর। কারো কাছে টিউশন চেয়ে বেড়াতে হবে না। রেপুটেশন ভালো থাকলে ভালো-ভালো সুযোগ-সুবিধা সমেত টিউশন আপনার দোরগোড়ায় এসে হাজির হবে। আর আপনি যথারীতি ফাটিয়ে দিবেন। বেস্ট অব লাক। :)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৮
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×