somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণের জন্য ভয়ংকর শক্র অথচ সরকারের ঘনিষ্টতম বন্ধু!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমনটা কিভাবে হতে পারে যে, জনগণের কর্তৃক নির্বাচিত সরকারের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র সেই দেশের জনগণের ক্ষেত্রে জীবন হরনকারী ভয়ংকর শক্র? হ্যা, এমনটা হতে পারে, যদি সে দেশের জনগণ একটি মনস্তাত্তিক ঘোরের মধ্যে অবস্থান করে এবং সেই ঘোরের মধ্যে থেকে একটি বিশেষ দলকে ভোট দিতে গিয়ে, একদল বিশ্বাস ঘাতকদের ক্ষমতায় বসায়। ঠিক এমনটি ঘটেছিল এই উপমহাদেশের ছোট একটি স্বাধীনদেশ সিকিমের ভাগ্যে, সিকিমের জনগণ ব্যাপক মগজধোলাইয়ের কারনে একটি বিশেষ দলকে নির্বাচন করতে গিয়ে মূলত একদল বিশ্বাস ঘাতকদেরকেই নির্বাচিত করেছিল। সিকিমের সাধারন জনগণ যখন সীমান্তে ভারতীয় বি এস এফ কর্তৃক প্রতিনিয়ত হত্যা এবং নির্যাতিত হচ্ছিল। তখন ঐ বিশ্বাস ঘাতক দল সংসদে বসে ভারতেকে বন্ধুপ্রতিম, বন্ধুপ্রতিম বলে মুখে ফেনা তুলছিল। বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে এক একটা সুবিধা দিতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে ভারতীয় মুদ্রার প্রচলন এবং সর্বশেষে নিভু নিভু স্বাধীনতাটুকু বন্ধুপ্রতিম ভারতের কাছে হস্তান্তর

এখনও ঐ দেশের স্বাধীনচেতা, দেশ প্রেমিকরা লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রতিনিয়ত ডুকড়ে কাঁদে, তবে ভুল যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে ইতিহাসের পাতা উল্টানো অত্যান্ত কঠিন। আমরাও কিন্তু ১৯৭৪ সালের সিকিমবাসীর মত একটা ঘোরের মধ্যে অবস্থান করছি। এবারের নির্বাচনে বর্তমান দল পুনরায় ক্ষমতায় আসলে, ধরে নিতে হবে এটাই জাতির জন্য সর্বশেষ জাতীর নির্বাচন। কারন পরবর্তী নির্বাচনটি হয়তো হবে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে, রাজ্য সরকার নির্বাচন। মগজধোলাইকৃত, ঘোরের মধ্যে অবস্থানকারী একজন আওয়ামী সমর্থক হয়তো বলবে, “যদি আমরা পাকিস্তানী থেকে বাংলাদেশী হতে পারি তবে বাংলাদেশী থেকে ভারতীয় হতে সমস্যা কোথায়?”

এহেন ক্রান্তী লগ্নে যারা দলের চেয়ে দেশকে বেশী ভালবাসেন তাদের উচিৎ নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার পূর্বে নিজ স্ত্রী ও কন্যার দিকে একবারের জন্য হলেও চিন্তিত দৃষ্টিতে তাকানো। কারন বর্তমান আওয়ামী শাসনামলে এদেশের মুসলমান মেয়েরা যে ভাবে হিন্দুদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে তার চেয়ে শতগুণ বেশী তারা নির্যাতিত হবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে। এতে যদি কারো বিন্দু মাত্র সন্দেহ থাকে তার উচিৎ হবে একজন মানষিক রোগীর ডাক্তারের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করা।

গত প্রায় দীর্ঘ পাচ বৎসর যাবত ভারত বাংলাদেশী সীমান্তে নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যাকরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের উড়াল পাখী পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বিমান বালাদের সাথে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত যে, বছরে কে কত বেশী সময় আকাশে অবস্থান করতে পারে। উনি হয়তোবা বাংলা ছবির নায়িকাদের মত বিমানে চড়ে গুণ গুণ করে গানের কলি গেয়ে থাকেন, “ভাল আছি, ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।” কারন আমাদের মাননীয় দীপু মনির কাছে চিঠি পৌছাতে হলেতো আকাশের ঠিকানাতেই লিখা উচিৎ। উনিতো বেশীর ভাগ সময় ওখানেই থাকেন। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশীদের প্রতিনিয়ত হত্যার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত উনার কোন প্রতিক্রিয়া/প্রতিবাদ নেই। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীতো মুখে কুলুপ এটেছেন এ বিষয়ে। ভাবখানা এরকম যে, বন্ধুপ্রতিম দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের জনসংখ্যা কমিয়ে একদিক থেকে ভালই করছে, উপকারই করছে। আমাদের বঙ্গ মাতা/ বঙ্গ জননী তিনি গত পাচ বৎসরে এ বিষয়ে একটি শব্দ পর্যন্ত উচ্চারন করেননি। পূর্ব বঙ্গের কতইনা মমতাময়ী মাতা তিনি। পশ্চিম বঙ্গের মমতার চেয়ে তিনি অনেক বেশী মমতাময়ী।

তাই বলি, সিকিমের ভাগ্যবরন করতে চাইলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চাইলে, এদেশের মা বোনদের ইজ্জত হিন্দুদের দয়ার উপর ছেড়ে দিতে চাইলে চলুন সকলে মিলে আওয়ামীলীগকে ২য় বারের মত ক্ষমতায় নিয়ে আসি। অন্যথায় যে কোন একটি দলকে ভোট দেয়া যেতে পারে।

আওয়ামীলীগ এর সাথে যে দল জোট বাধবে সেই দলকেও প্রত্যাক্ষান করতে হবে, আমাদের মা/বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে। আজ আমরা পাকিস্তানি রাজাকারদের বিচার করছি, সে সময় দূরে নয় যেদিন আমরা ভারতীয় রাজাকারদেরও বিচার করবো। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়তা করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×