অনেকদিন হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখা হয় না। ডিজিটাল সিনেমা মুক্তির নামে কি হচ্ছে তা জানতে গত দিন হরতালের সন্ধ্যায় এক সিনেমা হলে ঢুকে পড়ি! কম্পুটার, প্রজেক্টর এবং পেন ড্রাইভ দিয়ে কি করে ছবি চলে তা দেখার ইচ্ছা ছিল!
ছবি ছিল 'পূর্ন দৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী'! ছবির একটা গান আগে থেকে শুনে আসছিলাম বলে আগ্রহটা ছিল বেশ। ছবি দেখা নিয়ে একটা পূর্নাংগ চিত্র সমালোচনা লিখে ফেলা যায়, সময় পেলে লিখবো! ছবিটার কিছু অংশ আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও ছবির কাহিনী এবং ধারাবাহিকতা ভাল লেগেছে।
সাকিব অভিজ্ঞ অভিনেতা হিসাবে মন্দ করেন নাই, সবাই তার ঠোঁটের লিপিষ্টিক নিয়ে কেন কথা বলেন তা এই ছবি দেখে বুঝতে পারছি! বেশি সাজুগুজু করা উচিত নয় এটা তিনি এত পুরানো অভিনেতা হয়েও বুঝতে পারছেন না! দুইকানে দুল না দিলেও একজনকে স্মার্ট লাগে, এটা এখনো তিনি বুঝতে পারছেন না! কে আসলে কাকে বুঝাবে!
ছবির নায়িকা জয়াকে দেখে মনে হল, তিনি আরো কিছু ছবি করতে পারেন! ফিগার জিরো সাইজ থেকেও নিচে নামিয়ে এনেছেন কি করে তা নিয়ে গবেষনা চলতে পারে। অভিনয়ে তিনি চাইলে আরো ভাল করতে পারেন, তবে তার নিজের ইনোভেটিভ আইডিয়া তেমন একটা নেই বলেই মনে হয়। তাকে দেখে কেমন জানি সেলফিস সেলফিস মনে হয়!
যাই হোক, আজ অন্য কোন বিষয় নিয়ে নয়। লিখতে বসেছি,এই ছবির অন্য একজন অভিনেতা 'আরেফিন শুভ'কে নিয়ে। এই ছবিতে ছেলেটাকে তেমন সময় দেয়া হয় নাই প্রথম দিকে! শুধু একটা গানে ছিলো, যে গানটা হিটের তালিকায় আছে! শেষের দিকে শুভের কিছু অভিনয় ছিল। আমি তার অভিনয়, স্টাইল, নাচ এবং আঁচার ভাল করে লক্ষ করেছি!
আমি নিশ্চিত ছেলেটা যদি পরিশ্রম করে, নিজকে একটু কয়েকটা বছর ধরে রাখে, নারী ঘটিত কোন ব্যাপারে জড়িয়ে না যায় তবে এই ছেলেই হবে আমাদের আগামী দিনের বাংলা ছবির এক নাম্বার হিরো। ছেলেটা যদি একটু মনোযোগী হয়, তার পিতা মাতার ও তার নিজের পরিবারের কথা মাথায় রেখে চলে তবে এই ছেলেই হবে আমাদের বাংলা ছবির নাম্বার ওয়ান হিরো।
আমি আরেফিন শুভ'র সার্বিক সাফল্য কামনা করি। আর বলি, নারীদের গোপন প্রেম থেকে দূরে থাকুন, আপনার সামনে সুদিন, কাজে লাগান। হেলায় ফেলে দেবেন না! আপনিই হবেন আমাদের আগামী দিনের স্টার! আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি।