আজকের হরতালের পক্ষে যুক্তিঃ
দেশের প্রধান বিরোধী দলের প্রায় ১০০জন টপ নেতাকে সরকার আদর করে জেলে নিয়ে যাবে,আর তাঁরা হরতাল না দিয়ে আঙ্গুল চুষবে সেইটা হইতে পারে না।
বিপক্ষে যুক্তিঃ
বিএনপি নিজেদের দাবি নিয়া হরতাল দিক,সারা দেশে টং দোকানের চা ৫টাকা থেকে বারাইয়া ৬ টাকা করা হইছে,এরকম স্পেসিফিক সাবজেক্ট,যেটায় জনগণ সরাসরি ভুক্তভোগী সেরকম বিষয় নিয়ে হরতাল দিক।সেটা না করে জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হয় এরকম তেনাপ্যাঁচানো হরতাল নিয়ে মাঠে নামলে ফেসবুক-ব্লগ পড়া তরুণদের কাছ থেকে গালি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না।জামাত যে বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমাদের একের পর এক হত্যা করতেছে, সেইটা বুঝতে তো আইনস্টাইন হইতে হয় না,নাকি?
আর সরকার ক্যান বুঝে না,বিএনপিআলাদের জেলে ভরলে আপনাদেরকে যে তাঁরা বাকশালী বইলা গালি দেয় সেইটা আরো জোরালো হয়।শাহবাগ আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে যে কয়েকটা সিউর ভোট আপনারা পাইতেন,সেইটা যে আস্তে আস্তে হারাইতেছেন এই গণগ্রেপ্তারের কারণে,সেইদিকে খেয়াল আছে?আপনারা পারেন ও!আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলদের মতো সাক্ষীদের নিরাপত্তায় দুইচারটা পুলিশ না দিয়া আপনারা হাজারখানেক পুলিশ দিয়া ঘিরা রাখেন বিএনপির কার্যালয়ে।দুই চারটা পটকা-ককটেলের জন্য বিএনপির প্রথম সারির নেতাগো আটক করেন অথচ ঘোষনা দিয়ে গৃহযুদ্ধের কথা বলা জামাতশিবিরদের বিরুদ্ধে খালি চুদুরবুদুর ডায়ালগ দিয়া বেড়ান আপনেরা।হ্যাঠম থাকলে জামতিদের হেডঅফিস ঘেরাও করেন, যেমনে বিএনপিরটা করছেন। আপনাদের কাজকর্মে মনে হয়, জামাত না,বিএনপিই এইদেশের সবথেকে বড়শত্রু।
এই প্রজন্ম বেকুব না।ভুংচুং বুঝাইয়া এঁদের বিভ্রান্ত করার দিন আর নাই।লীগ কিংবা দল,আউলফাউল যেই করুক,গালি একটাও মাটিতে পড়বে না সিউর থাকেন।