কেন মেসিন রিডেবল পাসপোর্ট - যারা নতুন পাসপোর্ট করাবেন, তারা তো অবশ্যই MRP ই করবেন। আগের পাসপোর্ট থাকলে নিয়ম অনুযায়ী তা ২০১৫ পর্যন্ত ভ্যালিড। কিন্তু কিছু কিছু দেশ, যেমন আরব আমিরাতে এখন থেকেই হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহন করে না, আর কোন দেশের বিষয়ে আমি এখনো জানি না, আপনি যে দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের কি নিয়ম এখনি জেনে নিন। আর অতি জরুরী (১ দিন /৩ দিনে ) MRP পাওায়া যাবে না, ১ বছরের মেয়াদ সম্বলিত হাতে লেখা পাসপোর্ট নিতে হবে (যদি কারও প্রয়োজন হয়)
মেসিন রিডেবল পাসপোর্ট সম্পরকিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
১। সাধারন - প্রদানের সময় ৩০ দিন (ছবি তোলার দিন থেকে) , ফি - ৩০০০ টাকা
২। জরুরি - প্রদানের সময় ১৫ দিন (ছবি তোলার দিন থেকে) , ফি - ৬০০০ টাকা
ফি প্রদান - সোনালী ব্যাংক এর নির্ধারিত কিছু শাখা (কোন কোন শাখা আপাতত জানা নাই, তবে পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন শাখা গুলো তো অবশ্যই)
ফর্ম - http://www.dip.gov.bd/sites/default/files/MRP Application.pdf প্রিন্ট করে / ফটোকপি ব্যাবহার বৈধ।
ফর্ম পূরণ একেবারে দুধ ভাত, অতএব এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই...। কিন্তু যাদের এটি প্রথম পাসপোর্ট, তারা অবশ্যই দুই সেট ফর্ম পূরণ করে নিয়ে যাবেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদের শুধু ছবি সত্যায়িত করতে হবে। ফর্মের ভেতরে অংগীকার নামা পূরণের প্রয়োজন নেই, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে এ অংশ পূরন ও সত্যায়িত করতে হবে। ছবি সত্যায়িত করার নিয়ম অনেকেই জানেন, তাও আবার বলি, ছবি প্রথমে নির্ধারিত অংশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে তার উপর স্বাক্ষর ও সীল দিতে হবে, এমন ভাবে যেন উভয়ের কিছু অংশ ছবি এবং ফর্মে থাকে।
জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তার ফটোকপি (সত্যায়িত) সংযুক্ত করতে হবে। না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ / TIN Certificate এর ফটোকপি (সত্যায়িত) সংযুক্ত করতে হবে। আগের পাসপোর্ট থাকলে তার ফটোকপিও (সত্যায়িত) সংযুক্ত করতে হবে।
টাকা জমাদানের পর সেটির রশিদ নাম্বার ফর্মের নির্দিষ্ট ঘরে লিখতে হবে এবং ফর্মের উপর আঠা দিয়ে (পুরো রশিদ এ আবার আঠা লাগাবেন না… উপরের একাংশে লাইন করে লাগিয়ে দিবেন, যাতে করে ফর্মের কোন তথ্য আটকে না যায়)
ফর্ম জমাদানের সময় পুরোনো পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে যেতে হবে, ওরা দেখে ফেরত দিয়ে দিবে।
ফর্ম জমার প্রথমে ফর্ম টি ভেরিফাই করাতে হবে, পাসপোর্ট অফি্সে গেলে আপনি নিজেই কোথায় যেতে হবে পেয়ে যাবেন। এর পর আপনাকে ছবিতোলার জন্য সিরিয়াল নিতে হবে (অন্য একটি বুথ থেকে)।সৌভাগ্যবান হলে ওইদিন ই আপনার সিরিয়াল থাকতে পারে (না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি)। যেদিন ছবি তোলার তারিখ দিবে সেদিন আপনাকে গিয়ে ছবি তুলে আসতে হবে। ফর্মের উপর সিরিয়াল লিখে আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে, আপনি ছবি তোলার দিনে ফর্ম সাথে করে আনবেন। সেদিন ফর্ম জমা রাখবে।
টাকা জমা দেয়া এবং ছবির জন্য সিরিয়াল নেয়ার কাজটি একদিনে করে ফেলবেন, ভাগ্য ভাল থাকলে সেদিন ছবি তুলেও আসতে পারেন (সেক্ষেত্রে আপনার একটি দিন বেঁচে যাবে)।
প্রদানের দিন কিন্তু ছবি তোলার দিন থেকে ১৪ (জরুরী) / ৩০ (সাধারন) দিন পর হবে।
ছবি তোলা – প্রয়োজনীয় সাজগোজ তো আপনি করবেন
পাসপোর্ট প্রদানের দিন সকাল ৯ টার মধ্যে চলে যাবেন। পুরোনো পাসপোর্ট থাকলে সাথে নিয়ে যাবেন, ওটাতে একটি সীল,স্বাক্ষর দিয়ে আপনাকে দিয়ে দিবে, অবশ্যই এই কাজটি করবেন, না হলে পরবর্তীতে ভিসা নিতে গেলে ঝামেলা হবে।
অতিগুরুত্বপূর্ন টিপস-
১। আগারগাঁও ছাড়াও ঢাকাতে উত্তরায় এবং যাত্রাবাড়ী তেও এখন MRP করার অফিস আছে। আগারগাঁও তে সময় বেশি লাগে এবং ছবিতোলার সিরিয়াল অনেক দেরিতে দেয়, ফলে পাসপোর্ট পেতেও দেরি হবে। তাই, উত্তরা / যাত্রাবাড়ী থেকে করালে সময় বাচঁবে।
২। অনেকের পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য পাসপোর্ট নির্ধারিত দিনে প্রদান করা হয় না। তাই নিতে যাওয়ার পুর্বে ফোন করে যাও্য়া উচিত। (নাম্বার ওরা দিয়ে দিবে।) যাদের আগের পাসপোর্ট আছে, তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় না, তাদের চিন্তা কম।
৩। পাসপোর্ট অফিসে গেলে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা সময় হাতে নিয়ে যাবেন। কম লাগলে সেটা আপনার কপাল ভাল।
৪। আর্মিদের সাথে পারতপক্ষে বাত-বিতন্ডায় জড়াবেন না, তবে কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে নির্ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারবেন।
৫। কোন প্রকার দালালের সাহায্য নিবেন না।
৬। আঠা, কলম সাথে নিয়ে যাবেন।
৭। পাসপোর্ট গ্রহনের সময় যার পাসপোর্ট, সে যাওয়াই উত্তম।
লেখাটা আমার এক বড় ভাই (মোমেল ভাই) এর লেখা। উনার অনুমতি ছাড়াই কপি-পেস্ট মারলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




