রবি ঠাকুরের আজ মন মোটেও ভাল নেই। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। খেলেই বদহজম হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে তিনি দুধ খেলেন, কী মিষ্টি- এক ভক্ত পাঠিয়েছেন। তাও কিনা বদহজম হলো! তিনি নিজের পেটের উপরই ক্ষেপে গেলেন। এই গরম পেটের জন্যই তিনি কবিতা লিখতে পারছেন না।
একবার ভাবলেন, ব্লগে ঘুরে আসি একটু, কিন্তু দেখলেন ওয়াইফাই কানেক্সন ভাল মত পাচ্ছে না। তিনি চরম রকম বিরক্ত হয়ে পড়লেন। বাধ্য হয়েই রবি'র থেকে ফ্রি ফেসবুকে ঢুকলেন তিনি। রবি রবি ঠাকুরকে বি নে পয়সায় ফেসবুক চালাতে দিয়েছে। কারণ তিনি খুশি হয়ে একটা কবিতা লিখে দিয়েছিলেন তাদের।
তার তখন একটাই সিম ছিল। গ্রামীন। সকালে উঠে নেট কানেক্সন অন করলেন। দেখেন জি! মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল তার। রাগ করেই তিনি রবি সিম কিনলেন। বাহঃ হেব্বি স্পিড তো। সর্বদা H+। তিনি খুশি হয়ে লিখলেন-
"আজি এ প্রভাতে রবির কর
কেমনে পশিল প্রাণের 'পর,
কেমনে পশিল গুহার আধারে প্রভাতপাখির গান!
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।"
এটা লিখে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে দিলেন। ফেসবুকে তার দশ লাখ ফলোয়ার। সাথে সাথে সব যায়গায় রবি সিমের কদর বেড়ে গেল আর রবীন্দ্রনাথকে রবি সীম দিল আজীবন ফেসবুক ফ্রি!
কিন্তু আজ তিনি কাবু হয়ে পড়েছেন। পেট ভাল না থাকলে কিছু ভাল লাগে না। এমনকি মহাকবি মধুর অসাধারণ কাব্যটাও তার অসহ্য লাগছে।
তিনি বিরক্ত হয়েই ফেবুতে ঢুকলেন। ঢুকেই তার মনে হলো, "ফেবু জিনিসটা যতোটা খারাপ ভেবেছিলাম ততোটা নয়, মাঝে মাঝে কাজের জিনিসও পাওয়া যায়"
তিনি একটা স্টাটাসে লাইক দিলেন। সাধারণত তিনি খুব ভাল না লাগলে লাইক দেন না। এটা তার খুব ভাল লেগেছে।
হামা ভাই একটা চুটকি লিখেছিল একবার, সেটাই মেরে দিয়ে আরণ্যক রাখাল লিখেছে,
"পেট গরম যখন,
পাতলা হয়ে যায় মল
বালিকা, তোমার চুমু!
চুমুই. সম্বল"
তিনি ভাবলেন, " না, ব্যাপারটা একবার ট্রাই করাই যায়"
তিনি অন্তঃপুরের দিকে গেলেন।
তারপর আবার কী? তার পেট ভাল হয়ে গেল। কবিতা লিখতে বসলেন একটা।
#সিরিয়াস্লি নেবেন না। আমার রবি ঠাকুরকে নিয়ে রসিকতা করার অধিকার আছে। তিনি কি আপনার একার নাকি?
চন্দ্রবিন্দু দিতে পারছি না