"তোদের একটা গল্প বলি শোন" মেহেদী বলে। আমরা ওর গল্প শুনতে যে খুব আগ্রহী তা না। ব্যাটা আমাদের ইশপ। কথায় কথায় গল্পের বাণ ছড়ে।
"বুঝলি, একটা সাপ আর একটা ব্যাঙের একবার চরম বন্ধুত্ব হইল"
কোন বেরসিক যেন বলে উঠল, "সাপ আর ব্যাঙের বন্ধুত্ব হয় কেমনে? ব্যাঙ কি রাজাকার যে সাপের সাথে দোস্তি লাগাবে"
"তোকেই লাগায় রে শালা। তুই চুপ থাক"
মেহেদীর আর গল্প বলার মুড নাই বোধহয়। কিন্তু কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সে নিজে থেকেই আবার বলা শুরু করে-
"তো বুঝলি, একটা সাপ আর একটা ব্যাঙের বন্ধুত্ব হইল। তো তারা মহা খুশী। একদিন সাপে আর ব্যাঙে, বুঝলি, একসাথে হাটতেছে। তো এমন সময় ব্যাঙ বলে উঠল, "বন্ধু, তোমার সব কিছুই আমার ভাল্লাগে। কিন্তু একটা জিনিস খারাপ লাগে।"
সাপ তো জানবার চায়, কি খারাপ লাগে ব্যাঙের। ব্যাঙ হইলেও তো বন্ধু। তার মতামতের একটা দাম আছে।
সে জিগাইল, "দোস্ত, আমাদের দোস্তির কসম, তুমি বল, আমার কি তোমার খারাপ লাগে"
ব্যাঙ কিছুক্ষণ ভাবল বলবে কিনা। সাপ জাইতটা বড়ই বেহায়া। কখন রেগে যাবে কখন ঠাণ্ডা থাকবে কোন ঠিক নাই।
ইতস্তত করে, মেলা ভাবনা চিন্তা করে, বুঝলি, বলল, "দোস্ত, তোমার সব ঠিক আছে। তুমি ভাল, মহৎ তোমার মন, তোমার দিলে হিরার লাহান বাত্তি জ্বলে কিন্তু তুমি এমন আঁকাবাঁকা হাঁটো কেন? সোজা হাঁটতে পার না? ভদ্রলোক ভদ্রলোকের মত হাটবা। এমন নায়লা নাইমের মত দোলায় দোলায় হাঁটো কেন?"
প্রথমে সাপ কিছুই মনে করে নাই। কিন্তু যখনই নায়লা নাইমের মত হাঁটার কথা কইছে, তখনই ওর মেজাজ গেছে বিগড়ে। কি আমি লাইলা নাইমের মত হাঁটি?
সাপ রেগে মেগে কইল, "শালা আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। তোরে আইজ খাইছি"
সাপের এই এক্সাইটেড শরীর মানে মূর্তি দেখি, ব্যাঙ দিল পানিতে লাফ। সাপ যতই লাফাক না কেন, পানিতে ব্যাটারা ফেলটু। ব্যাঙরে ধরতে না পেরে বুঝলি। ব্যাটা কাল্লা ভাসায়া ফোঁসফাঁস শুরু করলো। এমন সময় পাশ দিয়া যাচ্ছিল এক রাখাল।"
গল্প ক্লাইম্যাক্সে চলে এসেছে। মেহেদী এবার দম নেয়। দাড়ির মাঝে ওর ঠোঁটের হাসি দেখা যায়। আর আমরাও গল্প শোনার উত্তেজনায় ইয়ে আরকি আগ্রহে দম ফেলি।
"তো, বুঝলি, রাখাল যাচ্ছিল। এখন রাখাল দেখে রাস্তার মধ্যে সাপ। কাল্লা ভাসায় পানি দেখতেছে। তো সেই রাখাল কি করলো- সাপটারে ধরে দিল আছার। এক আছারা সাপ হইল চৈত। তারপর রাখাল করলো কি, সাপটারে সোজা করে রেখে চলে গেল।
কিছুক্ষণ পর ব্যাঙ পানি ছেড়ে উঠল। উঠে দেখে সাপ সোজা হয়ে মরে পরে আছে।
তখন ব্যাঙ কইল, "সোজা হইলি, কিন্তু মরার পর"
গল্প শেষ।
মেহেদী কিসের প্রেক্ষিতে এই গল্প বলল বুঝতে পারিনা আমরা। সে নিজেই শানে নযুল বলে- "এই নাস্তিকরা হইল সেই সাপ, বুঝলি। সোজা হয়। কিন্তু মরার পরে"
কোন বেরসিক আবার বলে উঠল, "আর তোরা হইলি সেই রাখাল। মারামারি আর কপাকুপি ছাড়া কিছুই বুঝিস না"
২
কয়েকদিন ধরে মুজতবা আলী পড়ছি। হাসছি। পেটে ব্যাথা ধরে গেছে। তো দুইএকখান চোস্ত মাল শেয়ার করছি। অবশ্যি নিজের জবানে। একবার ভাবলাম বইয়ে যা লেখা আছে তাই মেরে দেই। পরে ভেবে চিন্তে ঠিক করলাম যে, "নাহ, নিজের ট্যালেন্ট দেখাইতে হবে"
কাহিনীটা নাসিরুদ্দিন খোজাকে নিয়ে। এখন যদি জিজ্ঞেস করেন, "কে এই নাসিরুদ্দিন খোজা?"
তবে বলব, 'আপনার শৈশবের ষোল আনাই মিছে"
সে যাই হোক।
একদিন খোজা মানে নাসিরুদ্দিন খোজা বন্ধুর বাড়ি গেলেন। জানে জিগার, কলিজার হাফ, যার জন্যে সাতাশ খুন মাফ, সে এসেছে বাড়িতে। বন্ধু চরম খুশী। সেইরকম আনন্দিত।
সে দোস্তকে খাওয়াল মিশরি কাবাব। খোজার এতোই ভাল লেগে গেল যে টুকে নিলেন রেসিপি কাগজে। সেই সময়ে মেবি কাগজ ছিল না। থাকতেও পারে। আচ্ছা হোক, ধরে নেই তিনি কাগজেই টুকে নিয়েছেন। সেই রেসিপি রাখলেন বুক পকেটে।
বন্ধুর বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চললেন বাজার পানে। মাংস কিনলেন। এতো সুন্দর কাবাব একাই খেয়েছেন "এটা কিছু হইল"। গিন্নীকে খাওয়ালে খুশী হবেন।
তো মাংস নিয়ে হাঁসি মুখে চললেন বাড়ি। হটাত চিল এসে মাংস নিয়ে ফুড়ুৎ। খোজা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছুটলেন চিলের পিছে। চিল ততোক্ষণে "ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে"।
খোজা চিৎকার করে বললেন, "আরে শুধু মাংস নিলে চলবে, রেসিপি তো আমার কাছে। সেটা নিলে না যে বড়"
খোজা আবার বলল, "হায় চিল, সোনালী ডানার চিল!"
৩
এটাও খোজার গপ্পো। নাসিরুদ্দিন খোজা।
খোজা ছিলেন তুরস্কের পণ্ডিত( মুজতবা আলী একবার বলেছেন, যে সবকিছু পণ্ড করেন, তিনিই পণ্ডিত। অবশ্য বাংলা সাহিত্যে তার চেয়ে পণ্ডিত সাহিত্যিক খুব কমই আছেন। পণ্ডও তিনি করেছেন বটে। চিরাচরিত রম্যের স্টাইল তার হাতেই নিহত হয়)। তিনি ছিলেন কবি। এবং নিঃসন্দেহে রসিক। অতিরসিক।
তো একবার তিনি দেশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে চলে এলেন ওমর খৈয়ামের দেশ ইরানে। তখন খৈয়াম কোথায় ছিলেন, আদৌ জন্মেছেন কিনা, কিংবা মরে গেছেন তা জানিনা। কিন্তু তিনি যে ইরানে আসলেন এটা জানি। (ভায়া মুজতবা আলী)
ইরানের বাদশা যখন শুনলেন খোজা ইরানে, সাথে সাথেই পাইক পেয়াদা পাঠালেন তাঁকে দরবারে নিয়ে আসার জন্য। নারিরুদ্দিন খোজা- যার নাম এতদিন তিনি শুনেই এসেছেন। এবার তিনি নিজেই পা দিলেন ইরানের মাটিতে আর তিনি রাজদরবারে আসবেন না এটা কি হয়!
তো খোজাকে নিয়ে আসা হল দরবারে। খোজা আসা মাত্রই বাদশা তখৎ ছেড়ে উঠে এসে জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। মাথায় পরিয়ে দিলেন বাদশাহি পাগড়ি, গায়ে জড়িয়ে দিলেন কাশ্মীরি শাল। খোজাও খুব খুশী । তিনি ঠিক করলেন থেকেই যাবেন ইরানে।
কিন্তু ইরানে থাকতে চাইলেই তো আর থাকা যায় না, রুজিরুটির ব্যাপার না। খোজা তো আর খৈয়ম না যে হুটহাট বলে বসবেন-
"এক সোরাহি সূরা দিও, একটু রুটির ছিলকে আর
প্রিয়া সাকী, তাহার সাথে একখানি বই কবিতার,
জীর্ণ আমার জীবন জুড়ে রইবে প্রিয়া আমার সাথ,
এই যদি পাই চাইব নাকো তখৎ আমি শাহানশার!"
তাছাড়া খোজা তখন রীতিমত বাচ্চার বাপ। তাঁকে রাজদরবারেই কাজ দেয়া হল। বেতন? খোজা! নাসিরুদ্দিন খোজা তার নাম। তার স্যালারি কি কম হতে পারে? বাদশাহ তার বেতনও ঠিক করে দিলেন। না শোনাই ভাল কত । জানলেই টাস্কি খেতে হবে( আসলে আমি জানি না)।
কিন্তু খোজা তাতে রাজি না। তিনি বললেন, "হুজুর, আপনি যখন বলছেন তখন তো ফেলতে পারি না। কিন্তু ঐ সামান্য বেতনে আমার পোষাবে না'
বাদশাহ মুখ অন্ধকার। কিন্তু তিনি কিছু বললেন না, শুধু জিজ্ঞেস করলেন কী তার চাই!
খোজা এবার বললেন, "হুজুরের যখন নিতান্তই বাসনা তবে হুকুম জারি করে দিন, যারা বউকে ডরায় তারা যেন কাল সকাল থেকে আমার বাড়িতে একটা করে ডিম নিয়ে আসে। সেই ডিম বেচেই আমি চলব"
বাদশাহ তাজ্জব। বলে কী বাছাধন! তিনি বললেন, " ওতে আপনার কি হবে? আপনি তো শুনেছি দানখয়রাতেও বিদ্যাসাগর!"
খোজা শুধু বললেন," আগে আগে দেখ, হোতা হেয় কেয়া!"
পরদিন তার বাড়িতে ডিমের স্তুপ এসে জমতে লাগল। অজস্র ডিম। এমনকি যাদের মুরগী নেই তারাও এনেছে, কিনে এনেছে। ডিম ডিলারের আঙুল ফুলে বটগাছ।
যারা প্রথম দিন ডিম দিয়ে যায়নি, তাদের বউ বলল, "কি! তুমি আমাকে ডরাও না?"
সেই কালীমূর্তি দেখে, তারাও পরদিন ডিম নিয়ে হাজির।
কিছুদিনের মধ্যেই খোজা ইরানে মহল বানিয়ে ফেললেন। কী আলিসান বাড়ি! বাড়ির বর্ণনা দিতে অপারগ আমি।
বাদশাহ তাজ্জব বনে গেলেন।
রুক্কে জনাব। পিকচার আভি বাকি হেয়।
তার কিছুদিন পর খোজা গেলেন বাদশাহর দরবারে। এবারে তার ছুটি চাই। তিনমাসের ছুটি। ততদিনে খোজা বাদশাহর বন্ধু হয়ে গেছেন। দিলের টুকরা। বাদশাহ তাঁকে ছাড়বেন কেন । কিন্তু তাঁকে ছাড়তেই হল । কারণ খোজা এবার পারমানেন্টলিই চলে আসবেন ইরানে। তাই বউ বাচ্চা আনতেই ইরানে প্রত্যাগমন।
তবুও তিনমাসের ছুটি হল না। হল একমাসের।
একমাস পর ফেরে এলেন খোজা।
মধ্যরাত। বাদশাহ আর খোজা গল্প মশগুল। সামনে সূরার সোরাহি। হটাত খোজা বলে উঠলেন, "জাঁহাপনা, আপনার জন্য একটা গিফট এনেছি। আপনার মর্জি হলে কাল আপনার সামনে পেশ করব।"
বাদশাহর তো লম্ফ দিয়ে ওঠার মত অবস্থা। এতবড় জীবন গুজার করে ফেললেন, কেউ তাঁকে গিফট দেয়া তো দুরের কথা, বলেনি পর্যন্ত।
তার আর তোর সয় না। তিনি বললেন, "ফ্রেন্ড, আমাদের দোস্তির কসম, আমাকে বল কী এনেছ আমার জন্য। আমার আর সইছে না। প্লিজ ..............."
বাদশাহর ঠ্যালাঠেলিতে আই মিন চাপাচাপিতে খোজা বলতে বাধ্য হলেন।
"আপনার জন্য এক তুর্কি রমণী এনেছি হুজুর। একেবারে যাকে বলে ড্রিমবোট"
সেকালে তুর্কি রমণীর খুব কদর ছিল। ওমর খৈয়ামের একটা রুবাইয়াৎ আছে। আমার ঠিক মনে নেই। স্মৃতি থেকে লিখছি। (রুবাইয়াৎ মূলত হয় চার লাইনের। আমার মেমরির স্টোরেজ কম। তাই দুই লাইন মনে আছে। সেটাকেই টেনে টনে চার লাইন করলাম- শুনুন)
"দেয় যদি সেই তুর্কি প্রিয়া
আমার প্রেমের প্রতিদান,
তাহার গালের তিলের জন্য
করতে পারি বুখ্রা আর সমরখন্দ দান"
সে যাই হোক। খোজা বাদশাহর জন্য আনা সেই তওফার মানে সেই তুর্কি রমণীর রুপ বর্ণনা করতে থাকেন, উচ্চস্বরে।
"তাঁকে দেখলে মনে হয়, হাজার বছর তাহার সনে ছিল পরিচয়। তার সেকি চুল। চুল না তো সাপ। হার হিপস ডাজেন্ট লাই। তার গাল... উহ তার গাল... দেখলে আরণ্যক রাখালের কবিতা মনে পরে"
"এই আবালটা আবার কে?"
"সে যেই হোক। তুর্কি এই নারীর গাল দেখে আরণ্যক রাখালের মত কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে-
"বালিকা তোর ফুলা ফুলা গাল
দেখে আমি হয়েছি বেসামাল!
একবার যদি ছোঁয়াতে দিস ঠোঁট
ইনাম পাবি কোটি টাকার নোট"
খোজা খুব জোরে জোরে তুর্কি নারীর রুপের প্রশংসা করতে লাগলেন। এদিকে বাদশাহর অবস্থা নাজেহাল।
তিনি বললেন, "উহহহহহহ, আস্তে বল। পাশে বেগম সাহেবা আছেন। শুনতে পেয়ে যাবেন তো!"
এবার আসলি মজা! আসলি খেল। নাসিরুদ্দিন খোজা কেন দুনিয়া ব্যাপি পরিচিত এখন বুঝতে পারবেন। তিনি কী বললেন জানেন? বললেন-
"কাল সকাল থেকে আমার ওখানে প্রতিদিন একটা করে ডিম পাঠিয়ে দেবেন। ওটা আমার প্রাপ্য!"
৪
মুজতবা আলীর "ধূপছায়া" পড়ছি। অসাধারণ এককথায়। পড়ে দেখতে পারেন।
৫
কিছুদিন আগে কপাকুপি হল। রণদিপম বসু ও আরও কয়েকজনের উপর হামলা হয়েছে। ব্লগার প্রকাশক দীপনকে হত্যা করা হল কুপিয়ে। তিনি সামুতে "অন্ধকার" নিক নিয়ে লিখতেন।
এই হামলা নিয়ে কিছু বলার নেই। যারা হামলা করেছে, তারা শুনবে না আমার কথা। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।
কিন্তু জল ঘোলা করা হচ্ছে খুব, খুবই হচ্ছে। এমনিতেই কাদার জন্য হাঁটা যায়না রাস্তা ধরে, পা পিছলে যায় , সেটা অবশ্য বর্ষাকালে। এখন এই শীতেও কাদা জমছে। টিভি টকশোর কথা বাদই দিলাম, পেপার গুলোতেও কাদা।
আর বেশি কিছু বলার সাহসও নাই। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে ৫৭ ধারা আর ধর্মের বিরুদ্ধে তো দূরের কথা ধর্ম নিয়ে কথা বললেই ধড়ের উপর মুণ্ডু নেই।
তাই সুকুমার রায়ের একটা ছড়া সেয়ার করছি। কোপালে সুকুমার রায়কে কোপাক।
"শিবঠাকুরের আপন দেশে
আইন কানুন সর্বনেশে!
কেউ যদি যায় পিছলে প'ড়ে
প্যায়দা এসে পাকড়ে ধরে,
কাজির কাছে হয় বিচার-
একুশ টাকা দণ্ড তার।।
সেথায় সন্ধ্যে ছটার আগে
হাঁচতে গেলে টিকিট লাগে
হাঁচলে পরে বিন টিকিটে
দমদ্মাদম লাগায় পিঠে,
কোটাল এসে নস্যি ঝাড়ে-
একুশ দফা হাঁচিয়ে মারে।।
কারুর যদি দাঁতটি নড়ে,
চার্টি টাকা মাশুল ধরে,
কারুর যদি গোঁফ গজায়,
একশো আনা ট্যাক্সো চায়-
খুঁচিয়ে পিঠে গুঁজিয়ে ঘাড়,
সেলাম ঠোকায় একুশ বার।।
চলতে গিয়ে কেউ যদি চায়
এদিক ওদিক ডাইনে বাঁয়,
রাজার কাছে খবর ছোটে,
পল্টনেরা লাফিয়ে ওঠে,
দুপুর রোদে ঘামিয়ে তায়-
একুশ হাতা জল গেলায়।।
যে সব লোকে পদ্য লেখে,
তাদের ধরে খাঁচায় রেখে,
কানের কাছে নানান সুরে
নামতা শোনায় একশো উড়ে,
সামনে রেখে মুদীর খাতা-
হিসেব কষায় একুশ পাতা।।
হটাত সেথায় রাত দুপুরে
নাক ডাকালে ঘুমের ঘোরে,
অম্নি তেড়ে মাথায় ঘষে,
গোবর গুলে বেলের কষে,
একুশটি পাক ঘুরিয়ে তাকে,
একুশ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখে।।"
-সুকুমার রায়
৪/১১/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮