somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু প্রিয় ভিডিও , পুরো ডকুমেন্টারি আকারে দিতে পারলে ভালো লাগতো

২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

" জিয়াকে (জিয়াউর রহমান) আস্তাকুঁড় থেকে তুলে এনে তাকে দিয়েছিলাম শ্রেষ্ঠ সম্মান , সে আস্তাকুঁড়েই ফিরে গেছে।"



"সর্বশেষে ট্রাইবুনাল আমার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করে বেত্রাহত কুকুরের মত তাড়াহুড়া করে বিচারকক্ষ ত্যাগ করলো।"
" আমার কান্না এজন্য যে একজন বাঙ্গালী আপনার ফাঁসির আদেশ দিতে পারলো!"

" এই দেশদ্রোহীদের কাছে আমি প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারি না।"
" বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া (জিয়াউর রহমান) দেশবাসীর সামনে আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে । "



" জেল গেটের ভিতরে তাবু গেড়ে সশস্ত্র বাহিনীর লোক মেশিন গান বসিয়ে পাহারা দিত, মেশিন গানের মুখ থাকতো জেলের ভিতরের বন্দীদের দিকে। এই সশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা জেলের বন্দীদের সাথে উর্দুতে কথা বলতো (সাল ১৯৭৬, স্বাধীনতার ৫ বছর ও বঙ্গবন্ধু হত্যার ১ বছর পর) "

" বৃটিশের শাসিত ও বৃটিশের প্রকল্পিত সেনাবাহিনী নয় , একটু গনমুখী সেনাবাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে দেখতে চেয়েছিলেন। এটিই কর্নেল তাহেরের অপরাধ, আর কিছু নয়"



"এমনই একজন অকুতোভয় যে ফাঁসির দিন ব্লাড প্রেশার মাপতে গেলে দেখা যায় তার ব্লাড প্রেশার সম্পূর্ণ নরমাল।"

" ডাক্তার , আমি একজন যোদ্ধা , আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা , ১৯৭১ এই আমার মৃত্যু হয়ে গেছে।"

" আমি আমার পেশাগত জীবনে গত ১০০ বছরে বিশ্বের কোথাও , এক কর্নেল তাহেরের হত্যাকান্ড ছাড়া , একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুদন্ডের আদেশ খুঁজে পাইনি।"



" বঙ্গবন্ধু কিলিং এর পর কেউ বলে ১৭, কেউ বলে ২২ টি অভ্যুত্থান ঘটে । আসলে এগুলোর অধিকাংশই সাজানো ।"

"সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী , জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কোন বন্দী সেনা সদস্যকে এক্টিভ সার্ভিসে ফিরিয়ে নেওয়া হয় না যেটা এই বাংলাদেশে হয়েছে ।"

"পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা রিপ্যাট্রিয়টদের সংখ্যাই ছিলো বেশি । মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সংখ্যা ছিলো নগন্য। সেনাবাহিনীর ভালো ভালো পোস্টগুলা তাদের হাতে যায়। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ২ বছরের সিনিয়ারিটি দেওয়ায় একই কোর্সে পাশ করা রিপ্যাট্রিয়ট অফিসারদেরকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের স্যালুট করতে হচ্ছিলো । সেইটা তারা ভালোভাবে নেয়নি। ফলে প্রকাশ্যেই "মুক্তিযোদ্ধা অফিসার" ও " রিপ্যাট্রিয়ট অফিসার" - সেনাবাহিনীতে দুটি বিপরীত্মুখী দলের সৃষ্টি হয় । এবং রিপ্যাট্রিয়ট অফিসাররা ব্লু প্রিন্ট বানায় সেনা বাহিনী থেকে যেভাবেই হোক মুক্তযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার । এতে সহযোগিতা করে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স আই এস আই। "

" বঙ্গবন্ধুর কিলিং এর পরে জিয়াউর রহমানের কিছু পলিসির কারনে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারেরা ক্ষেপে যায়। রিনাউন্ড রাজাকার যে কিনা জাতিসংঘে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভাষন দিয়ে এসেছে , জিয়া তাকে বানায় প্রধানমন্ত্রী । জয়পুরহাটে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী আব্দুল আলিমকে বানায় মন্ত্রী । মুকুল কমান্ডারের মত রাজাকারকে বানায় মন্ত্রী। পাকিস্তানের দালাল মসিউরকে বানায় সিনিয়ার মন্ত্রী । মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে এরশাদের মত কুলাঙ্গার যে মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে যোগ দেওয়া এরশাদকে বানায় আর্মির সেনাপ্রধান । ক্লাস্মেট ফ্রেন্ড বলে চৌধুরীকে বানায় ডি জিএফ আই ( তিন বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ) এর প্রধান। "

" মুক্তিযোদ্ধাদের এলিমিনেশনের জন্য তাই নাটক সাজাইতে থাকে"।



"ভাগ্য আমার ভালো আমার কোর্ট মার্শাল ছিলো একটা টেস্ট কেস যে বাইরের লইয়ার রাখতে দিলে কি হয় সেইটা স্টাডি করার জন্য । "
"যেমন ১৯৭৭ এ জাপানী প্লেন হাইজ্যাক করে সিপাহী বিপ্লবের নাটক সাজানো হয় যাতে সেনাবাহিনীর ভিতরে থেকে কোন বিপ্লবী জার্ম আছে কিনা , মুক্তিযোদ্ধাদের এলিমিনেশনের প্রসেসের অংশ হিসেবে ।"

" তোমার নাম কি? বাপের নাম কি? ইউনিট কত? যাও তোমার ফাঁসি।"

" সব ক্যুতে দেখা যায় শুধু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরই ফাঁসি হয় আর চাকরী চলে যায় , কিন্তু একটাও রিপ্যাট্রিয়ট অফিসারের ও ফাঁসি হয় না , চাকরী চলে যায় না।"

" চিটাগাঙের ঘটনায় (জিয়াউর রহমান হত্যা) তো বহু রিপ্যাট্রিয়ট অফিসার পোস্টিং ছিলো , কারো তো চাকরী গেলো না । কারো তো ফাঁসি হলো না । হলো কাদের? মুক্তিযোদ্ধাদের ।"

" বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যত ক্যু / অভ্যুত্থান হয়েছে , ইনক্লুডিং বঙ্গবন্ধুর কিলিং , তার সবগুলাই পূর্ব পরিকল্পিত এবং সব গুলার ভিক্টিম হলো মুক্তিযোদ্ধারা।




---------------------------------------------

এই ভিডিও গুলি দেখার পরে আর বেশি কিছু বলা লাগে না । আপনারা নিজেরাই তো বুঝতে পারছেন যে এই সমস্ত তথাকথিত "ক্যু " এর নামে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমিক অফিসারদের সম্পূর্ন নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে ঘটনা গুলো ঘটেছে , শাস্তির নামে যত গণহত্যা হয়েছে সেই সবগুলা ঘটনার তদন্ত দরকার । সমস্ত সত্য প্রকাশ করা দরকার ।
-----------------------------------------------

আমার মনে অনেক দিন ধরে একটা প্রশ্ন ছিলো যে গোলাম আযমের মত স্বঘোষিত পাকিস্তান প্রেমী , বাংলাদেশ বিদ্বেষী , যুদ্ধাপরাধীর ছেলে কি করে বাংলাদেশকে রক্ষা করবে যেই বাহিনী , সেই সেনাবাহিনীতে চান্স পায়?

এর উত্তর মনে হয় আপনারাও এখন জানেন । কারণ পাকিস্তান থেকে যেই সব সেনা অফিসার রিপ্যাট্রিয়ট হয়ে এসেছিলো , জেনেভা কনভেনশনের সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের আবার সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়া হয় । ( জেনেভা কেন দিতে মানা করে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন!) এরাই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মোটামুটি মুক্তিযোদ্ধা মুক্ত করেছে । যে কয়টা প্রাণে বেঁচে গেছে , তারা কিছু করার ক্ষমতা রাখে না । গো আর ছেলেকে সেনাবাহিনীতে ঢুকানোর কৃতিত্বও এদের । একটু মনে করিয়ে দেই , কর্নেল তাহের , মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ১১ এর কমান্ডার, কে বিচারের নামে হত্যার সময় যে সমস্ত সেনাবাহিনীর লোক জেল খানা পাহারা দিত , তারা উর্দুতে কথা বলতো । সালটা ১৯৭৬ । দেশটা বাংলাদেশ ।
-------------------------------------------

অনেক দিন গেছে । আমি কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে গেছি। বার বার ভেবেছি , বাংলাদেশের কপালে এমন শনির দশা কেন? কেন বাংলাদেশে এত অশান্তি ? কেন বার বার দিন বদলের স্বপ্ন কেবল রাতের পায়ে থুবড়ে পড়ে ?

আজকে আমি জানি কেন । শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার বিচার আমরা করিনি । তাদের রক্ত হাড় চুষে খেয়ে চলেছি শুধু। তাদের বিধবা স্ত্রীদের কান্না , তাদের অকালে এতিম সন্তানের বুক ভাঙা কষ্টের প্রতি ফোটায় আমাদের গায়ে অভিশাপ লেগেছে ।

যতদিন না যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে , যতদিন না মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার বিচার হচ্ছে , ততদিন বাংলাদেশ শান্তি পাবে না । আমরা শান্তি পাব না । এ পাপ মোচন হবে না !




----------------------
আপলোডারদের ধন্যবাদ , ইউটিউব ধন্যবাদ ।
৩০টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×