পারসোনা থেকে জব্দ করা গোপন ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক থেকে এখনও পর্যন্ত আপত্তিকর কোনো কিছু পাওয়া যায়নি ঠিক তবে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছে জব্দ করা হার্ডডিস্ক থেকে কিছু ফুটেজ ডিলিট করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার রাতে গুলশান থানার এসআই মেহেদী মাসুদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ তিনি হার্ডডিস্ক থেকে আপত্তিকর অংশ ডিলিট করার সুযোগ দিয়েছিলেন। একারণেই এখন পারসোনা কর্তৃপক্ষ পল্টি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সোমবার দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস খান দাবি করেছেন, অভিযোগকারী ওই ডাক্তার দম্পতি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটি করেছেন। তাদের কাছে এর কোনো প্রমাণ নেই। তারা থানায় কোনো অভিযোগও করেননি। এমনকি তিনি দাবি করেছেন, পারসোনার বনানী শাখায় স্পা নেই। তাই সেখানে গোপন ক্যামেরা থাকার কোনো প্রশ্নই উঠে না।
ঘটনার পরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই নারী চিকিৎসকের স্বামী বলেছেন, সামাজিক সম্মান হারানোর ভয়ে তারা থানায় অভিযোগ করছেন না। কারণ এতে তাদের সম্মান হানি হবে।
সাক্ষাৎকারে কানিজ আলমাস দাবি করেছেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মনিটর শুধু তার কক্ষে থাকে। অথচ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের খবরে দেখা যাচ্ছে একটি ডেস্কে বসে দুজন পুরুষ কর্মী দুই কম্পিউটারে তা তদারকি করছেন। এমনকি ভিডিওকৃত অংশটুকু কপি করে পেনড্রাইভে নেওয়ার অভিযোগে ওই নারী চিকিৎসকের স্বামী তাদের গালি ও মারধর করছেন। প্রশ্ন উঠেছে যদি কম্পিউটার মনিটর কানিজ আলমাস নিজেই তদারকি করেন তাহলে ওই দুই পুরুষকর্মী কারা?
প্রত্যদর্শী সূত্রগুলো বলছে, ঘটনার পরপরই ওই নারী চিকিৎসকের কাছে অনুনয়-বিনয় করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিল পারসোনা কর্তৃপক্ষ। রাতেই গোপন ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক ওই নারী চিকিৎসক নিজের বাসায় নিয়ে আপত্তিকর অংশটুকু ডিলিট করেছেন। পরে পুলিশ সেটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
সূত্র মতে, পারসোনা কর্তৃপক্ষ যখন বুঝতে পারছে ভিডিওকৃত আপত্তিকর অংশটুকু এখন আর প্রমাণের জন্য হাজির করার উপায় নেই তখন তারা পল্টি নিতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, ভিডিওতে আপত্তিকর কিছুই ছিল না, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পারসোনা কর্তৃপক্ষ এখন দাবি করবে -খোদ থানা পুলিশও আগ বাড়িয়ে এটি মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, পারসোনা কর্তৃপক্ষের এই দাবির মুখে গুলশান থানা পুলিশও কিছুটা বিব্রত। ভিডিওকৃত অংশ ডিলিট করে ফেলায় পুলিশ কর্তৃপক্ষও কোনো অ্যাকশনে যেতে পারছে না। একারণে ডিলিট করার সুযোগ দেওয়ায় এসআই মেহেদী মাসুদকে শাস্তি স্বরুপ কোজ করা হয়েছে।
পারসোনার ঘটনা তদন্তে এরইমধ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিকল্প মিডিয়া'র জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করে দিয়েছেন সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবু

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



