somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হারামির ফোনের প্রতারণা : বিজ্ঞাপন বন্ধের হুমকীতে সংবাদ প্রকাশ করছে না মিডিয়া

১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী দেড় হাজার শ্রমিকের নিয়োগপত্র প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের শ্রমিকরা।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গ্রামীণফোন কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানববন্ধন কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচিতে প্রায় নয় শতাধিক শ্রমিক অংশ নিয়েছে। তারা বিভিন্ন ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে অফিসের সামনের সিড়িতে অবস্থান করছে।

কিন্তু হারামীর ফোন বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিবে এই ভয়ে মিডিয়াগুলো এই প্রতারণা ও মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার করছে না।

আন্দোলনরত গ্রামীণফোন লি. শ্রমিক ইউনিয়নের (প্রস্তাবিত) সাধারণ সম্পাদক মোসলেউদ্দিন বলেন, ‘নরওয়ে থেকে আসা টেলিনর গ্রুপের এমডি মি. বাকসাস বাংলাদেশে এসেছেন। শ্রমিকদের দাবি নিয়ে সকালে গ্রামীণফোনের অফিসে স্মারকলিপি দিতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।’

টেলিনরের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন বলে জানান তিনি।

এদিন সারা দেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের গ্রামীণফোন অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি শ্রমিকরা জানান, ১০ থেকে ১৪ বছর ধরে তারা গ্রামীণফোনের বিভিন্ন অফিসে কর্মরত আছেন। গ্রামীণফোনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে তারা নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিয়ে বিভিন্ন স্থায়ী পদে চাকরিতে যোগ দেন।

কিছু দিন পরে তাদেরকে একটি করে আইডি নম্বর এবং মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়।

এর কিছু দিন পরে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগপত্র চাইলে তারা কার্ডের উপরে স্মার্ট ও জ্যামসন এবং নিচে গ্রামীণফোন লেখা একটি করে পরিচয়পত্র দেন। স্মার্ট ও জ্যামসন্স লেখা বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোন তাদের জানায়, তারা গ্রামীণফোনের স্টাফ। সরকারি রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ের অজুহাত দিয়ে এ বিষয়ে তাদের মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়।

কর্মচারীরা বলেন, ‘বেতন তোলার আগে স্মার্ট ও জ্যামসন্সের কাগজে তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়, না দিলে চাকরি চলে যায়। এভাবে গ্রামীণফোন দাসত্ব প্রথা কায়েম করে চলেছে এবং শ্রমিকদের নির্যাতন করে আসছে।

কর্মচারীরা জানান, বেশ কয়েক বছর পর তারা জানতে পারে মি. পিটার পি সরকার এবং লতিফুস সামছ্ রিংকু গ্রামীণফোনের মধ্যস্বত্ত্বভোগী দালাল কোম্পানি। তারা শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থের বিরাট অংশ কৌশলে গ্রামীণফোন থেকে গ্রহণ করে। এতে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়।

গ্রামীণফোনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের দীর্ঘ দিন নির্যাতন করে আসছে। তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না- এমন অভিযোগ এনে তারা ২০০৮ সালের ২২ জুন প্রথম শ্রম আদালতে বেশকিছু মামলা করে।

চলতি বছরের ৩০ মার্চ আদালত শ্রমিকদের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপত্র প্রদান এবং আইন অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের রায় দেন। রায়ের বিপক্ষে গ্রামীণফোন ২৮ এপ্রিল আপীল করে। আপীলেও শ্রমিকদের ডিউটি, বেতন, মোবাইল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু গ্রামীণফোন আদেশ উপেক্ষা করেছে এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া তাদের উপর বাড়ানো হয়েছে নির্যাতনের মাত্রা।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের ডিউটি-বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অমানবিক জীবন অতিবাহিত করছে। শ্রমিকরা যাদের ডিউটি-বেতন বন্ধ আছে তাদের বকেয়া প্রদানসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া, নির্যাতন বন্ধ করা, বকেয়াসহ গ্রেড প্রদান, হয়রানিমূলক মালা প্রত্যাহার এবং আউট সোর্সের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি করেন।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×