গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে ঢুকে গেলো একটি বর্ষণধারা.
সাথে একটি খড়ও ভাসতে ভাসতে ঢুকে গেলেও
হায় আবার তৎক্ষণাত বের হয়ে লাফ দিয়ে পড়লো
পথের উপর, পথ বয়ে যাচ্ছিলো বাড়ির দিকে।
একটি সন্ধ্যা জলকাদা পায়ে ছুঁটতে ছুঁটতে পৌঁছে গেলো
তাহার প্রিয়তমা বাড়িটির দরোজায়,
অনেকক্ষণ একটানা হাঁকডাক করা চলতে থাকলো;
ঘরে ঘরে বাতি জ্বললো, জানালায় উঁকি দিলো
সারি সারি পরিচিত মুখ,
পড়শী জানালায় পরিচিত মুখগুলো দপ করে জ্বলে আর নেভে,
একসময় সব মুখ নিভে যায়, সব বাতি নেভে অবিরাম,
বাতাসের হাহাকার দুলতে থাকে ধুধু মাঠের
হঠাৎ একাকি ঝোপের ভেতর,
একটি রাত কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এলো,
রাত গড়িয়ে যাচ্ছে সবগুলো ফেরার পথ মাড়িয়ে।
ঘাসের উপর সটান গড়িয়ে আছে খড়টি,
গর্তের অনেক গভিরে তলিয়ে গেছে বর্ষণধারা।
রাত্রি গভির, পায়ের নিচে মাটি দু'ভাগ ক'রে ঢুকে যায়
আঁধার তাঁবুতে,
অদুরে আঁধার গুহামুখ বাদুড় ডানায় উড়ে উড়ে উল্লাস করে।
জেদী শৈশবটা গাল ফুলিয়ে বসে থাকে চিত্রা নদীর ঘাটে,
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গভির হলেও কেউ আর উদ্বিগ্ন হয় না।
মুক্ত বাজারের আধুনিকা বন্ধুর মুখে চপ্পল ছোঁড়ে,
ভিসা কার্ডের শিশ্ন চুষতে চুষতে পলিটিক্স চাই-না বলতে বলতে
বিবমিষা ছড়ায়, ডাষ্টবিন উপচে সারা শহর থৈ থৈ,
বিচি কাটা হুলো ঘুমায় সশস্ত্র গোবরে কীটের পাহারায়,
এখন আমাদের ঘাসের উপর সটান গড়িয়ে আছে খড়গুলো,
রাত গড়িয়ে যাচ্ছে সবগুলো ফেরার পথ মাড়িয়ে।
০২.
এক ঝাঁক গোবরে পোকার কালোরা সুপ্রিম কোর্টের ছাদ
থেকে লাফিয়ে পড়ে ছড়িয়ে যেতে লাগলো,
পুষ্প বর্ষণ করতে থাকলো জাতীয় স্মৃতিসৌধে, আর
শহীদ মিনার, আর তামাম মৃত আত্মাদের পায়ে পায়ে,
গোবরে পোকার কালো রঙের থোকা ছড়িয়ে
গেলো সবখানে, জীবিত কাকেদের রঙ আর
কালো রইলো না, শুধু মৃত কাকেদের রঙই কালো,
আর নিহত পুরুষদের রঙ কালো হতে লাগলো,
ফেরার সব পথ মাড়িয়ে এক একটি গভির রাত
গড়িয়ে চলে মৃত পুরুষদের প্রিয়তমা বাড়ির দরোজায়,
আর তখন নিহতদের বাড়িতে মেয়েদের গায়ের রঙ
কালো হতে থাকে, আর তখন আর তবুও
প্রসাধন কোম্পানীগুলো পর্ণনারীর উল্লাস ছড়াতে ছড়াতে
ঢুকে পড়ে বিশ্বমন্দার অথৈ পবনের ভেতর।
দলে দলে যুবকেরা পর্ণমুভির চিকুরে গোলাপ গুজিতেছে,
বোকা বোকা লোকেরা মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি দেখিতেছে।
৩১.০৫.২০০৯, ঢাকা।