আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে মোবাইল ফোনের কলচার্জের্ উপর ও সীমের উপর আরোপিত ট্যাক্য মওকুফ করানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে প্রথম আলো।
গতকালকের প্রথম আলোর লাভ-ক্ষতি নামে একপাতা জুড়েছিল মোবাইল ফোন অপরেটরদের তথাকথিত দৈন্য দশার বর্নণা। একমাত্র গ্রামিন ফোনই কিছু লাভ করতে পারছে আর কেউ পারছে না- এরকম আজগুবি সব কাহিনিতে ভরপুর ছিল পৃস্টা জুড়ে। দেশের অর্থ নিয়ে যাচ্ছে- প্রচলিত এরকম কথার তীব্র বিরোধীতা করেছে প্রথম আলো।যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছে - লভ্যংশই শুধু নিতে পারে। আর লাভ না হলে অর্থ কিভাবে নিবে ? আহা কি অদ্ভুৎ যুক্তি! তারমানে প্রত্যেক কোন কোম্পানিই ভিওআইপির ব্যবসা করে না- অনুমতি না থাকলে কিভাবে করবে-আহাঃ
সোজা সাফটা একটা হিসাব দিলেই বুঝতে পারবেন কি পরিমান টাকা তারা নিয়ে যাচ্ছে- অপরেটর গুলোর ভাষ্যমতে দেশে একটিভ গ্রাহক ৪কোটি ৫৭লাখ। প্রত্যেক গ্রাহক গড়ে দিনে ১০টাকার কথা বললে অপরেটর গুলো পাচ্ছে -৪৫কোটি ৭০লাখ। সুতরাং বছরে -১৬৬৮০কোটি ৫০লাখ। এখান থেকে সরকার পাবে ১৫% এবং অপারেটিং কস্ট সর্বচ্চো ২০% হলে কোম্পানি গুলোর পকেটে যাচ্ছে- ১০৮৪২কোটি টাকা। এছাড়া আছে ভিওআইপি ও ডাটা ট্রান্সফারের ব্যবসা। যেখান থেকেও প্রায় সমপরিমান আয় হচ্ছে কোম্পানি গুলোর।
এখন আসেন তাদের বিনিয়োগ কি পরিমানে আছে? সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে বাংলালিংক- প্রায় ৭০০০কোটি টাকা, গ্রামীন ফোনের প্রায় ৬০০০কোটি টাকা অন্যসব গুলোর- আর ১০০০০কোটি টাকা মোট-২৩০০০কোটি টাকা।
এখন আপনাদের ছোট একটা প্রশ্ন করবো- বছরে ২০০০০কোটি টাকার মত লাভ করলে ২৩০০০কোটি টাকার বিনিয়োগ উঠাতে কতদিন লাগবে?