ভ্রমণ বাংলাদেশের কাছে ভারত ভ্রমণের তথ্য ?
হা হা হা ....... হি হি হি..........
প্রথমে দেখুন---ভিসার তথ্য !
১. ভিসা---- সঠিক কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা নিন ।
২. যাতায়াত---আমার মতে ঢাকা থেকে রাতের বাসে কলকাতা যাওয়া ভাল ।
৩. কলকাতা নেমে ফেয়ারলি প্লেস থেকে টিকেট কাটবেন বিদেশীদের
( ফরেনার ) কোটায় । একটা ফর্ম পূরণ করতে হবে । তাই পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে ।
৪. পাসপোর্ট, ভিসার পাতা সহ শেষ পাতা যেখানে এন্ডোস করা থাকে তা ফটোকপি করে নিন কমপক্ষে ৩ কপি । এছাড়া যত রকমের কাগজ আছে তার ফটোকপিও নিন । কাগজ গুলো আলাদা জায়গায় রাখুন ।
৫. ভুলেও রুপি নিবেন না । এটা অবৈধ । ডলার নিবেন ও তা অবশ্যই বর্ডার থেকে ভাঙ্গানোর চেষ্টা করবেন । বর্ডারে টাকা বেশি দেয় । ডলার ভাঙ্গানোর পর একটা রশিদ দিবে তা সযত্নে রাখুন অনেক সময় কাষ্টমের অফিসার গুলো দেখতে চায় । ( পারলে ৫০০/- আর ১০০/- টাকার নোট নিবেন । ১০০০/- টাকার নোট না নেয়া ভাল ।)
৬. ভেত বাঙ্গালী হবেন না । অনেক মজাদার খাবার পাওয়া যায় ভারতে । সব খাবারের স্বাদ গ্রহন করার চেষ্টা করবেন । ( গত এপ্রিলে ৫জনকে নিয়ে গিয়েছিলাম কলকাতা,শিলিগুড়ি আর দার্জিলিং -এ ওরা শুধু ভাত খোজেঁ এটা করবেন না, করতে দিবেন না । )
৭. যা কিনবেন ভাল করে দরদাম করে কিনবেন ।
৮. সিম-- পাসপোর্টের ফটোকপি আর এক কপি ছবি দিয়ে খুব সহজে কেনা যায় সিম । একটা ইউনিনর আর একটা এয়ারটেল সিম কিনবেন । এয়ারটেল দিয়ে ১.৯৯টাকায় বাংলাদেশে কথা বলার প্যাকেজ চালু করে দিতে বলবেন দোকানদারকে । আর ইউনিনর দিয়ে লোকার কল করুন । সিম ১০০-১৫০ রুপি ।
৯. দিল্লির মানুষের দিল নাই । শালারা ১০ টাকার রিকসা ভাড়া চায় ৫০ টাকা । সবকিছু সাবধানের সাথে দরদাম করে কিনবেন দিল্লিতে বিশেষ করে ।
২০০৫ আমি ট্যুরিষ্ট বাসে করে ঘুরে ছিলাম ৯০ রুপি নিয়েছিল । ২৪ জায়গা দেখায় । আপনার দরদাম করে একটা ট্যাক্সি বা মাইক্রোবাস নিতে পারেন ।
১০. কোথাও বাংলাদেশী পরিচয় দেয়ার দরকার নেই । যে কোন প্রয়োজনে অবশ্যই পুলিশের সহযোগীতা নিন । সাথে পাসপোর্ট ভিসার পাতা সহ দিতে পারেন না হলে সাথে রাখুন ।
১১. ট্রেনে কম টাকায় খাবার পাওয়া যায় তা খাবেন । বিভিন্ন ষ্টেশনেও খাবারের স্বাদ বদল করবেন । রাম পেয়ারি চা পান করবেন অবশ্যই ।
১২. বম্বে ( মুম্বাইয়ে ) কম টাকার হোটেল দিতে চায় না বাংলাদেশীদের । আর মুম্বাই পুলিশও বাংলাদেশীদের নেতিবাচক চোখে দেখে ।
১৩. টাকা সব সময় আলাদা আলাদা জায়গায় রাখবেন । এক সাথে রাখবেন না ।
১৪. অনেক সময় বাংলাদেশীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের মুখোমুখি হতে হয় । সব সময় ঠান্ডা মাথায় জবাব দিন ।
১৫. ট্রেনে ধূমপান নিষেধ ! তাই ভুলেও সেই কাজটি করবেন না ।
১৬. পানির বোতল রাখুন সাথে ।
১৭. আপনারা যারা সিম কিনবেন নাম্বার গুলো একটি কাগজে লিখে ফটোকপি ( জেরক্স ভারতীয়দের ভাষায় ) করবেন । সবার কাছে তা দিয়ে দিবেন ।
১৮. দিল্লির লাল কেল্লার লাইট এন্ড সাউন্ড শো হয় সন্ধ্যায় তা মিস করবেন না । হিন্দিটা দেখবেন টিকেটের দাম কম পাবেন । ভারতীয় জাতীয় সংগীত হয় সেখানে । জাতীয় সংগীত শুরু হবার সাথে সাথে উঠে দাড়াবেন । আর্মি এরিয়া তাই কথা কম বলবেন । না বললে ভাল । দলবদ্ধ ভাবে সেখানে না যাওয়াটা আরো ভাল । শো শেষ হলে বাইরে এসে এক সাথে খাবেন ।
১৯. পাল্লা দিয়ে বিরিয়ানী মাপে দিল্লি জামে মসজিদের সাথের গতিতে থাকা দোকান গুলোতে । টেষ্ট করতে পারেন । কাবাব খাবেন অবশ্যই ।
২০. দিল্লির ষ্টেশন বিব...শাল বড় তাই যদি সেখান থেকে ট্রেনে উঠেন তাহলে কিছুটা সময় আগে যাবেন ।
২১. ভারতে কিন্তু সালাদের জন্য আলাদা দাম রাখে । তরকারী একবারই দেয় দ্বিতীয় বার নিলে আলাদা দাম নেয় । ব্রিটানিয়া কেক খেতে পারেন দাম কম কিন্তু স্বাদ ভাল ।
২২. ব্যাগ পিঠে না নিয়ে বুকে নিবেন । কারন ব্যাগের পেছন কেটে অনেক সময় অনেক কিছু গায়েব হয় ।
২৩. বাস কাউন্টারে বাংলাদেশী টাকা বর্ডারে রেখে যেতে পারেন ।
২৪ গড়িয়ার হাটে সস্তায় কেনাকাটা করতে পারেন । " বাজার কলকাতা " নামে একটি বড় দোকান আছে সেখানে যেতে পারেন । ফিক্সট প্রাইজ ।
২৫. ট্রেনে রির্জাভেশন অবশ্যই করে নিবেন না হলে রাতের ঘুম হারাম ।
২৬. সোনালী ব্যাংক , মতিঝিল শাখার ২৬ নাম্বার কাউন্টারে ট্র্যাভেল ট্যাক্স দেয়া যায় ।
আপনাদের যাত্রা শুভ, নিরাপদ ও আনন্দময় হোক এই কামনা ভ্রমণ বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে ।