somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহেড়ায় মজা ! সাথে কি চমচম ? .........

১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






ভ্রমণ বাংলাদেশ এর আপকামিং ইভেন্ট

“তাড়াহুড়োর লেখা কিছু বাদ গেলে প্রশ্ন করবেন বা জানাবেন আশা করি” ।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়ে ছিল ভ্রমণ পাগল মানুষ গুলোর । দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুরো সিজনটা মাটি হয়ে গেল ।
কি আর করা ?
দূর্ভাগ্যকে সংগী করে অপেক্ষা করতে লাগলাম । দেশ এক শান্ত কিন্তু গরমটা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত না । তারপরও ক্লাবের মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হল কয়েকটি ইভেন্টের । ইভেন্ট ঘোষনা হল । কিন্তু আগ্রহী বন্ধুর সংখ্যা হতাশাজনক । মাত্র নয় জন । কি আর করা যেতেই হবে । তাহসিন ইব্রাহিম ভাইকে বলে মাইক্রোবাস ঠিক করে রাখলো । রাতে সবার সাথে কথা বলে জায়গা ও সময় বলে দিলাম ।

সকাল সকাল সময় মত সবাই হাজির হয়েছিল । যাত্রার শুরুটাও ছিল ভাল । গাড়ির এসিটা ঠিকমত কাজ করছিল ।
নাস্তার খিচুড়ি সাথে গরুর গোস্তটা ছিল চমৎকার । ভুল ছিল প্রথমে মহেড়া যাবার প্লান করা । কিন্তু ভুলটা যেন প্রকৃতি ঠিক করে দিল ।

পথ ভুলে চলে গেলাম “করটিয়া সাদাত কলেজ”
করটিয়া সাদাত কলেজ অবিভক্ত বাংলায় মুসলমানদের প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ। ১৯২৬ সালে আটিয়ার চাঁদ ওয়াজেদ আলী খান পন্নী পিতামহ সাদাত আলী খান পন্নীর নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডের উপরে ঢাকা থেকে ৫৫ মাইল দূরে এবং টাঙ্গাইল থেকে ৫ মাইল আগে ৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ জন্ম লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রিন্সিপাল ইবরাহিম খাঁ এই কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৯২৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ একুশ বছর তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৩৮ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যখন অবিভক্ত বাংলার প্রধান মন্ত্রী তখন তিনি কলেজটি পরিদর্শন করতে আসেন এবং কলেজের জন্যে মোটা অংকের অনুদান বরাদ্ধ করেন। ঐ বছরই কলেজটি ডিগ্রি কলেজে উন্নিত করা হয়। কথিত আছে শেরে বাংলার সফরের সময় করটিয়ার জন সাধারণ প্রধান মন্ত্রীর কাছে করটিয়াকে একটি আদর্শ গ্রামে পরিণত করার জন্যে আবেদন করেছিল। প্রতি উত্তরে তিনি বলেছিলেন করটিয়াকে আর কি করে আদর্শ করবো, এ গ্রামতো আদর্শ গ্রামেরও আদর্শ।


এরপর দেখলাম ডেপুটি স্পিকার (প্রাক্তন) হুমায়ুন খান পন্নির পূর্ব পুরুষদের নিবাস । বিশাল বাড়ির তিনটি অংশ এখন । সম্ভবত তিনভাইেয়র বা তিন অংশীদারের নামে । একটি অংশ দেখা নিষেধ ।

এরপর চলে গেলাম “আতিয়া জামে মসজিদ” । “আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের” টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষড়োশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।

টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.) দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.) উল্লেখ করা হয়েছে।

আরবি ‘আতা’ থেকে ‘আতিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি, যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘দান কৃত’। আলী শাহান শাহ্‌ বাবা আদম কাশ্মিরী (রঃ)-কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিযোগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু হরেন; সেসময় তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের এবং আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য আফগান নিবাসী কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকেসংলগ্ন এলাকা দান বা ওয়াকফ্ হিসাবে লাভ করেন। এবং এই এলাকাটি তাঁকে দান করায় এই অঞ্চলটির নাম হয়েছে ‘আতিয়া’।

পরবর্তীতে বাবা আদম কাশ্মিরীর পরামর্শক্রমে সাঈদ খান পন্নী নামক সূফিজীর এক ভক্তকে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর উক্ত আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই ১৬০৮ সালে বাবা আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।

মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন। লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)। এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।
সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।



“আতিয়া জামে মসজিদ” দেখা শেষ করে গেলাম জুম্মার নামাজে । নামাজের জায়গাটাও ঐতিহাসিক । বাংলার মজলুম জননেতা ভাসানীর স্মৃতি বিজড়িত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Mawlana Bhashani Science and Technology University)” বাংলাদেশের অন্যতম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাঙ্গাইলের সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের কিংবদন্তী রাজনৈতিক নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামানুসারে। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকল্যে ১৫০ জন। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত প্রভুত উন্নতি হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে নতুন এ্যাকাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য নতুন বেশ কয়েকটি আবাসিক হল ইত্যাদির কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছায়ঘেরা মসজিদের পাশেই শুয়ে আছে মাওলানা ভাসানী ও তার স্ত্রী ।
আবদুল হামিদ খান ভাসানী (ডিসেম্বর ১২, ১৮৮০-নভেম্বর ১৭, ১৯৭৬) বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের মানুষের কাছে 'মজলুম জননেতা' হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশীরভাগ সময় মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাঁকে "লাল মওলানা" নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের 'ওয়ালাকুমুসসালাম' বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

এরপর গেলাম খেতে নিরালা মোড়ে বাইম/বাইন মাছ দিয়ে ভাল । চমৎকার ছিল মাছটি ।

“গোপালের চমচম” কিনলাম লাইন ধরে ।
দাম অন্য দোকানের তুলনায় বেশি । কারন তারা নাকি ভাল জিনিস বানায় । এর প্রমান পেলাম খেয়ে। দাম মাত্র ১৮০ টাকা কেজি আর রসমালাই আছে৩০০টাকা কেজি ।

এরপর গেলাম ইভেন্টের মূল আর্কষন মহেড়া জমিদার বাড়ি ও পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে । অসাধারন .......

বর্ননা করে শেষ করা যাবে না । তাই সকাইকে যাবার অনুরোধ রইল ।
জমিদারবাড়ি ভ্রমণের শেষ পর্যায়ে বাতাস বইতে শুরু করলো ।

গরুর দুধের চা শেষ করা আগ পর্যন্ত সারাদিন ছিল প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম । চা শেষ করার সাথে সাথে শুরু হল দমকা বাতাস । এরপর গাড়ি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড বৃষ্টি । আমরা বৃস্টির হিমেল হাওয়ার ঝাপটায় ফিরে এলাম নীড়ে ।
ধন্যবাদ মহান আল্লাহ ও দলের সবাইকে ।



তথ্যঃ- http://bn.wikipedia.org/wiki

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×