somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ৪র্থ পর্ব

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদি বাংলাদেশের রূপরেখা কিছুটা অস্পষ্ট হলেও তা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায়নি। উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন বিদগ্ধজনের লিখিত বর্ণনা, বিবৃতি এবং পুরাতত্ত্ব ও প্রাচীন গ্রন্থাদির সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশের আদি চেহারার কিছুটা হলেও কাঠামো দাঁড় করাতে চাই। একদিন হয়ত কোনো পণ্ডিতব্যক্তি বা ব্যক্তিরা এতে ইতিহাসের রক্ত-মাংসের প্রলেপ দিয়ে আদি বাংলার সত্যিকার রূপ প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন। এই রূপের মাঝেও হয়তো বিভিন্নতা প্রকাশ পেতে পারে, কিন্তু তাতে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, বহু রূপ মিলিয়েই হবে একের আত্মপ্রকাশ, আর তখনই গড়ে উঠবে একটি মাত্র জাতীয়তাবাদ- বাংলাদেশী। সেদিন হয়তো আজকের অনেকেই বেঁচে থাকব না। আমাদের পূর্বপুরুষরাওতো বেঁচে নেই। তাতে কি? দেশটাতো বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে হাতের কাছে যেসব বিষয়বস্তু সহজভাবে সংগ্রহ ও গ্রহণ করতে পেরেছি তাই কাজে লাগিয়েছি। বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় তুলে ধরতে আরও বহু উপাদানের প্রয়োজন আছে, সেগুলি খুঁজে বের করার দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মের। বর্তমান পুস্তকের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে নিন্মরূপ:
এই পুস্তকে নব্যপ্রস্তরযুগ থেকে (আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার সাল) ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়ের পরিধিতে দেশের পরিচিতি অর্থাৎ ১) বাংলার ভূ-গঠন ২) বাংলার ভূ-প্রকৃতি ৩) ভূ-পরিচয়, জলবায়ু ও তার প্রভাব ৪) বাংলাদেশের নদ-নদী
৫) উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণী ৬) বাংলাদেশে মানব বসতি ৭) বাংলার আদিবাসী ৮) বাংলা নামের উৎপত্তি ও জনপদের পরিচিতি ৯) ইতিহাসের ধারা ও ইতিহাসের উপাদান ১০) রাজা মহারাজা রাজাধিরাজ ১১) ধর্ম ১২) বর্ণ ও শ্রেণী বিভাজন ১৩) প্রশাসন ১৪) সামরিক ব্যবস্থা ১৫) বাংলাদেশে চাষী ও চাষবাস ১৬) শিল্প, বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সামগ্রী ১৭) বাণিজ্যপথ ১৮) বাংলাদেশের প্রাচীন মুদ্রা ১৯) আদি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ২০) ভাষা ও সাহিত্য ২১) শিল্পকলা ২২) বাংলাদেশে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ২৩) শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৪) চিকিৎসা ২৫) পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক ২৬) নারীসমাজ ২৭) বিনোদন, মেলা ও পূজাপার্বণে আনন্দ উৎসব ২৮) সমাজ ও সংস্কৃতি ২৯) দাস প্রথা ৩০) ব্যক্তি ও জাতীয় স্বভাব-চরিত্র ৩১) দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হলো।

রাজা মহারাজা রাজাধিরাজ অধ্যায়ে এদেশের আদি গোত্র, গোষ্ঠী, রাষ্ট্র, সৈন্যবাহিনী, বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ ও সংঘর্ষ, রাষ্ট্রের উত্থান-পতন প্রভৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়গুলি পরিস্ফুটনে প্রয়োজনীয় তথ্য, তত্ত্ব, ঐতিহাসিক নিদর্শন, ইতিবৃত্ত, সভ্যতার নিদর্শন, লিখিত সাহিত্য ইত্যাদি যা পাওয়া যায় তা যথেষ্ট নয়। তবে কিছুই পাওয়া যায় না আবার এমনও নয়। কাজেই পূর্বের কিছুই যেন হারিয়ে না যায়, আবার যাচাই-বাছাই করে যতটুকু ইতিহাসের নিরিখে টিকে তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনিন্দ্য সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই বাংলাদেশ গত ৫০০০ বছরের রূপ-চিত্র নিয়ে সাধারণের দৃষ্টির সামনে ভেসে উঠুক, এটাই এই প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য। বাংলার সঠিক চিত্র পরিস্ফুটনে যদি ত্রুটি থাকে তবে তা এই লেখকের অক্ষমতা। যা কিছু নতুনভাবে সংগৃহীত বা সংযোজিত হলো তা বিভিন্ন পণ্ডিত-মনিষীর অবদান। অবশ্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে ইতিহাসের কোনো তথ্য যেন অবহেলিত না হয়। এভাবেই গঠিত হবে এবং এগিয়ে যাবে চিরযৌবনা বাংলাদেশের ইতিহাসের চলমান ধারা।

মানুষ ইতিহাস জানতে চায় ইতিহাস সৃষ্টির জন্য। অতীতের ভুল থেকে ভবিষ্যত নির্ভুল হওয়া, অতীতের অন্ধকার থেকে ভবিষ্যৎকে আলো দেখা ইতিহাসের লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভবিষ্যতের প্রতিটি বিষয় ও বস্তুতে আমরা হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি, আমাদের সামনে কোন কিছুই আলোকিত নয়। কারণ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের কয়েক হাজার বছরের ধারাবাহিকতা আমরা এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। এখানো আমরা বিশ্বাস করি, মুষ্ঠিমেয় লোকের ও শ্রেণীর জাগতিক ও পারলৌকিক উন্নতিই সমগ্র জাতির উন্নতি। সংখ্যাগরিষ্ঠরা এই উন্নতির বাহক ও উচ্ছিষ্টভোগী, কিন্তু অংশীদার নয়। এজন্যই বাঙালি সকল যুগে সকল কালে শ্রেণী হিসেবে গড়ে উঠেছে, জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। কাজেই এই ভুলের শিকড় উপড়িয়ে ফেলার জন্য ইতিহাস জানা দরকার।

মোঃ শহীদুর রহমান
১ লা আশ্বিন, ১৪১৪ বাংলা।
আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ)৩য় পর্ব
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×