somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৩৮

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৩৮


অতি পরিচিত এবং আঙিনায় বনবাদাড়ে বিরাজমান বৃক্ষরাজির বর্তমান অবস্থা থেকে কতগুলি দেশীয় এবং কতগুলি বহিরাগত নিন্মে তা তুলে ধরা হলো।


বৃক্ষের নাম——-শ্রেণী—–দেশজ———–বহিরাগতের আদিনিবাস

কুল————ফলবান————ভারতের উত্তর অঞ্চল,চীনের দক্ষিণ অঞ্চল ও মালয়েশিয়া
লেবু————ফলবান—————– দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
জাম———–ফলবান——————-থাইল্যান্ড
কালো জাম—–ফলবান
কালিজাম——-ফলবান
খেজুর ———ফলবান——————-আরব দেশ/ভারত/পাকিস্তান
সফেদা———ফলবান——————- আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চল
চালতা ——–ফলবান ––বাংলাদেশ——নেপাল/সিংহল
আমড়া——–ফলবান———-অজানা
কামরাঙ্গা ——ফলবান——————–অস্ট্রেলিয়া/আমেরিকা
ডালিম ——–ফলবান——————–আমেরিকা/ইরান
জামরুল —— ফলবান——————–সিঙ্গাপুর/ইন্দোনেশিয়া
দেশী বাদাম—- ফলবান—————মালয়েশিয়া /আন্দামান দীপপুঞ্জ
জংলী বাদাম—-ফলবান——————–আফ্রিকা
নারিকেল——-ফলবান—–বাংলাদেশ——ভারত/এশিয়ার পূর্বাঞ্চল
বুদ্ধনারিকেল—-ফলবান—–বাংলাদেশ(চট্টগ্রাম)—ভারত(আন্দামান)
আমলকী——-ফলবান——————–পাকিস্তান/ভারত/সিংহল
তেঁতুল———ফলবান——————–আফ্রিকা
করন্জা———ফলবান —–বাংলাদেশ—–ভারত/অস্ট্রেলিয়া/চীন
কাঁঠাল ———ফলবান——————ভারতবর্ষের পশ্চিম ঘাট অঞ্চল
বেল ———–ফলবান——————- ভারতের শুষ্ক অঞ্চল
লিচু————ফলবান———————–চীন
আম———–ফলবান——বাংলাদেশ———ভারত
গাব————ফলবান—বাংলাদেশ——-ভারত/মালয়েশিয়া/অস্ট্রেলিয়া
তাল————ফলবান———————-আফ্রিকা
চিনে-চেরি——-ফলবান———————-আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চল
লিয়্যুইয়া এণ্ডোপোগন—ফলবান—————–সম্ভবত ইন্দোচীন৭২
আতা ফলবান ——————–অজানা
ডুমুর————ফলবান———–অজানা
বন কাঁঠাল——-ফলবান———–অজানা
বহেড়া———–ফলবান———–অজানা
বিলাতি গাব——ফলবান———–অজানা
সুপারি———–ফলবান———–অজানা
হরিতকী————–ফলবান—————-অজানা
আঙ্গুর—————–ফলবান—————-অজানা
কাউ—————–ফলবান——————অজানা
উড়িগাব———— ফলবান——————অজানা
কাঠবাদাম——— ফলবান
__________________________________
দেবদারু————–দারু———————– সিংহল
নাগেশ্বর—————–দারু—————হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল/আন্দামান
বেরিয়া কর্ডিফোলিয়া-দারু————————-সিংহল/দক্ষিণ ভারত
পরশ-পিপুল————দারু———————-আদিনিবাস জানা যায়নি
কৃষ্ণচূড়া—————–দারু———————-মাদাগ্যাস্কার
ক্যাশিয়া নডোজা——দারু———বাংলাদেশ মালয়েশিয়া/বার্মা/আসাম
সোনাইল—————-দারু—————————-পূর্ব এশিয়া
পেল্টোফোরাম ইনার্মি-দারু—–আন্দামান/সিংহল/মালয়েশিয়া/উত্তর অস্ট্রেলিয়া
অশোক——————দারু————————–ভারত/মালয়েশিয়া
রক্তকাঞ্চন—————দারু————————–ভারতের শুষ্ক অঞ্চল
রেইনট্রি——————দারু————————–ব্রাজিল
শিরীষ——————–দারু——বাংলাদেশ
অ্যালবিজিয়া————দারু—————————মাদাগ্যাস্কার
আকাশিয়া মনোলিফর্মিস-দারু———————অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণ অঞ্চল
দক্ষিণী বাবুল————দারু—————————-দক্ষিণ আমেরিকা
গিরিসিডিয়া————দারু——————————দক্ষিণ আমেরিকা
মিলেশিয়া ওভেলিফলিয়া—দারু—————————-বার্মা
শিশু———————-দারু————————হিমালয়ের পাদদেশ
মান্দার——————-দারু——-বাংলাদেশ
পাদাউক————— দারু ———-বাংলাদেশ বার্মা/মালয়েশিয়া
বিলাতি ঝাউ——–----দারু——————————অস্ট্রেলিয়া
বট—————-------দারু————— ভারতের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল
অশ্বত্থ—————----দারু—————————-মালয়েশিয়া
নিম———————-দারু————————–বার্মা
মেহগনি—————–দারু———————জ্যামাইকা/মধ্য আমেরিকা
কুসুম——————–দারু———————মধ্য ভারত/বার্মা/সিংহল
আকরকন্ট————-দারু———-বাংলাদেশ
ছাতিম——————-দারু———বাংলাদেশ———চীন/ভারত
কুর্চি———————-দারু——— বাংলাদেশ——–ভারত/বার্মা
ট্যাবেব্যুইয়া ট্রিফিলা—দারু————————— ব্রাজিল
গামারি——————–দারু———-বাংলাদেশ
সেগুন———————দারু————————–বার্মা/মালয়েশিয়া
পান্থপাদপ———–দারু————————–মাদাগাস্কার
সুপারি———————দারু————————- মালয়েশিয়া
রয়্যাল পাম্প————-দারু————————-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বনসুপারি—————–দারু————বাংলাদেশ————ভারত
লিভিস্টনা চাইনেন্দিস----দারু——————মালয়েশিয়া/ফিলিপাইন
ইপিল ইপিল————–দারু——————আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চল
বাওবাব——————–দারু———————–আফ্রিকা
শাল————————দারু————————মধ্যভারত
আকাশনীম—————দারু———————–বার্মা
মুচকুন্দ————–দারু——— বাংলাদেশ—–বার্মা/আসাম
____________________________________
চাঁপা———ফুল——————————মালয়ের উষ্ণাঞ্চল
কনক চাঁপা—ফুল—- বাংলাদেশ———–বার্মা
শিমুল——---ফুল ———————————- ভারত/মালয়েশিয়া
পলাশ——---ফুল—-বাংলাদেশ——–ভারত
বকফুল—–---ফুল———————— মালয়েশিয়া
কামিনী ——-ফুল—–বাংলাদেশ——ভারত/মালয়েশিয়া/অস্ট্রেলিয়া
তমাল ——–-ফুল ————————— বার্মা/মালয়েশিয়া/অস্ট্রেলিয়া
মহুয়া—— ---ফুল ——————————– ভারতের শুষ্ক অঞ্চল
বকুল——----ফুল ————————ওয়েষ্টইন্ডিজ/আন্দামান/বার্মা
শেফালী —----ফুল ——————————— উত্তর ও মধ্য ভারত
গুলাচি ——--ফুল ————————গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো
কলকে —-----ফুল —————————— ওয়েষ্টইন্ডিজ
কদম ——----ফুল ——————————ভারত/চীন/মালয়েশিয়া
স্পেথোডিয়া ---ফুল -
স্কারলেটকর্ডিয়া -ফুল —————————পেরু
পারুল ——----ফুল ——————————ভারতের ছোটনাগপুর
জাকারাণ্ডা–------ফুল ———————————– ব্রাজিল
পুত্রঞ্জীব----------ফুল------------- বাংলাদেশ ৭৩

দারুবৃক্ষ: আগর, আদালিয়া, আমুর, আসার, উদাল, উড়িয়াম, হরিনা, কনক, কাইঞ্জল, কাউ, কাটা সিংগ্রা, কাঞ্জল, কাঞ্জল ভাদি, কামদেব, কালি কড়ই, কালাহুজা, কালো কড়ই, কালি গর্জন, কালাউজা, কুর্তা, কুম্বি, কেওয়া, কেলিকদম্ব, কোম,কৈপুরা, খাশিয়া জাম, খাড়ি জাম, গর্জন, গনোরি, গান্ধি গজারি, গোদা, গুলসিংড়া, গুটগুটিয়া, গেঁওয়া, গোরা, চাকুয়া,
চাপালিশ, চুকা, চুণ্ডুল, চিকরশি, চৈলা, ছেচরা কড়ই, জঙ্গুরিয়া, জাতবাটনা, জিওলভাদি, জিয়ল ভাদি, জোনাকি জাম,টালি, টিক, ডাকরুম, ডাকরাম, ডাকিজাম, ডেলবার্জিয়া, ঢাকরাম, ঢাকি জাম, ঢালি গর্জন, তিলা জারুল, তিপালি, তুন,তুলা, তেজবহাল, তেতুয়া কড়ই, তেলবন, তেলি, তেলিয়া গর্জন বা কালি গর্জন, তোতায়া কড়ই, ধারমারা, ধুনারাতা, নালা জাম, পশুর, পাকুর, পানি ডুমুর, পারুল, পাহাড়ি শিমুল, পিটালি, পিতরাজ, বট হিজল, বদরুক, বনকার্পাস,বনস্পতি, বনশিমুল, বলফই, বলফৈ, বলাশ, বহাল, বহেড়া, বড় রাতা, বড় মেহগনি, বাইন, বাটনা, বাজনা, বান্দুরলুলা,বান্দর হোলা, বারমালা, বাঁশপাতা, বিক্সা, বিলিম্ব, বুইরঙ্গ, বুরা, বুতুম, বুরি, বেল, বৈলাম, ভারা, ভেচি ডুমুর, মালাকনা কড়ই, মটর কড়ই, মাকড়ীশাল, মান্দানী, মেনজারুল, মোস, রক্ত চন্দন, রঙ্গিরতা, রাকতন, রাম তেঁজপাতা, লাচুয়া গর্জন, লোহাকাঠ, শিমুল, শিল গর্জন, সিভিট, সুন্দরী, হরিনা, হলুদ।ছোট বৃক্ষ: কাঞ্চন, কান্তা কড়ই, কুমারীবুরা, কুরচি, কুলঞ্জন, কুকুরচিতা, কেয়াবঙ্গ, কোস্টোমা, গান্দিলতা, গুনদ্রৈ, জাম্বো, জিগরা, জিগা, জিবন, জিলেনিকাম, জুমুরজা, ডাকুর, ঢেপা জাম, দুধরাজ, দেব কাঞ্চন, ধানুরা, ননিয়া গাছ, নোনাঝাউ ,পটকা, পরগাছা, পাইনে জাম, পাতা খারালা, পানাং, পানীয় মান্দার, পানি কুসুম, পারাজাম, পালিতা মান্দার, পুনাং, বনজ: আলু, বন কাঞ্চ, বনজাম, বনবরই, বনলিচ, পানিয়ালা, বরই, বান্দরলাঠি, বান্দুফুল, বারুন, বেঙ্কুছ, ভাতলাঠি, ভাদি, ভুঁই কদম, ভেলা, মদনমস্ত, মরিসা বাইন, মান্দার, মারিয়ম, মিনজিরি, যজ্ঞডুমুর, রক্ত কম্বল, রঙ গাছ, রস কাউ, রিঠা, লাক্ষা, লাল ঝাউ, লিচ, শইয়া, শমী,শালবিহলম, শিল কড়ই, শিল ভাদি, শিল বাটনা, শিল বাটনা, শিল ভাতি, শীতলী, শেওড়া, সমুদ্রপাল, সিধা জারুল, সিন্দুর, সুতাগোলা, সুলতান চাপা, সোনালু, হানসাক, হালদু, হারগাজা, হুয়ারা, হন্তাল, হোরা;
ফলবান বৃক্ষ: ক্ষুদি জাম, গাব, গোলাপজাম, চৈত বরই, জাম চটল, দেশী গাব, ডেউফল, ডেউয়া চাম, ডেফাজাম।


লতা, গুল্ম, বীরুৎ, ঘাস:
অনন্তকান্তা, আসামলতা, এলিফ্যান্ট গ্রাস, উলু, উচণ্ডি, করুসপাতা, কাঁকড়া, কাকজঙ্গা, কাকডুমুর, কাচাই, কান্তাকুই, কামকুই, কালিলতা, কাশ, কালা বাইল, কেওড়া, কেওনরা, কেচুয়া, কেয়াগুরু,কাশ, কুশা, খলদা, খলসি, খলিসা, খাগড়া, গহর, গোরান, গোড়াচাঁদ, চান্দা লতা, জংলী আদা, জংলি কলা, ঝিঝির, ওয়াক্স পান্ট

টুবামূল, ডেসমোডিয়াম, ঢেকি লতা , ঢোলকলমী, তারা, দাঁতমাজন, দ্রাচিনা, ধুলিয়া, ধানশি, ধুন্দুল, নল খাগরা, নল ঘাস, হাড় কাট, নারকোচই, নামুতি, পাটিপাটা, পানাতা, পিণ্ডি, পুলটি বেগুন, ফুটুলি, ফুলঝর, বন পেঁয়াজ, বনজই, বন নটে, বনবকুল, বন হলদি, বর কুকশিম, বরমালা, বহাট, বড় ইনজাবাতি, বড় সালপান, বড় আকন্দ, বানμা, বার্নিল, বান্দারিফুল, বামুনহাতি, বাসক, বিসোয়াল, বেনেবৌ, বৈঞ্ছি, ভাট, ভুঁই ডুমুর, ভায়েন্ট, ভোলা, মরিচা, মাখনা, মানকচু,মারিছা, ম্যান কানটা, মুক্তোঝুরি, মৈনাকট, রক্তকরবী, লটকি, রেন্ড্রি, লাট বাবুল, ল্যান্টানা, শটি, শামধুলন, শিয়ালবুকা, শিয়াল কাঁটা, শিংগ্রা, শিংগ্রি লতা, শ্বেতপলি, সান গ্রাস, সালপানি, সিটকা, সুন্দরী লতা, হোগলা ,পানা; ভেষজ ও রোহিণী: অনন্তমূল, আইলা, ঈশ্বর মূল, কাঞ্চন লতা, কাঞ্চলতা, কাসি, ক্যারোলা, কুমার লতা, কুমারী লতা, কেওড়া, গউচালতা, গদি লতা, গজ পিপুল, গলগতি লতা, গাছপিপুল, গিলা, গিলাগচ, গিলা লতা, গুলঞ্চ, গোলা বেত,
গোয়ালিয়া লতা, চাগুল কুরি, চালমুগরা, জলি বেত, জার্মানি লতা, জিনাইগোট, ঝুম আলু, ডিগলালট, ডুমরা, তেঁজপাতা, দয়াল, ধলাহুজা, ধুপ, নিলাতা, নিশিন্দা, নীল নিশিন্দা, নীল লতা, পলাশী লতা, পাটানি, পাতা করলা, পান লতা, বনচাঁদ, বড় কুমারিয়া লতা, বানর কলাই, বারান্দা, বিড্রিপাতা, বিড়িঙ্গ, বীজতাড়ক, বেত,বোয়ালী লতা,ভুঁই কুমড়া, ভেলুতিনা,
ভুলাম বেত, মহাজনীলতা, মারমারিয়া লতা, মালতি, মৌ আলু, শথমূলী, শামু লতা, শ্যাম লতা, সাদা কলমি, হরিনা লতা, হাড়জোড়া।
বাঁশ ও বেত: ওরাহ, ওরাবন, কান্তাবন, কদম বেত, কালিবন, কারাক বেত, কেরাক বেত, কেলিসেরি, কৈতা, গোলক বেত, জই বেত, জংলি বাদাম, ডালুবন, পাচাবন, পেঞ্চা বন, ফরুয়া, বন, বেটুয়া, ভূতুম বেত, মিতিংগা, মুলিবন, মূলী, মূলিবাঁশ, লাথিবন, শিয়াল বড়–য়া, সুন্দি বেত; ফুল ও অর্কিড: অর্কিড, কনক চাঁপা, কুকি তেঁতুল, কঁনক, চাম্পা ফুল, জই, জলপাই, জিবন্তি, টগর, নাটা, রাসড়বা, হোপা।৭৪


বাংলাদেশের আদ্র উষ্ণ জলবায়ু এবং জলাভূমিতে প্রধানত চিরসবুজ বনেরই প্রাধান্য ছিল। অবশ্য পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের উচ্চভূমিতে সবুজ বন ও পত্রমোচী এই দু’রকমের গাছের উপস্থিতি দেখা যায়। দুই থেকে তিন হাজার বছর পূর্বেও উষ্ণ ও শুষ্ক অঞ্চলের কোনো গাছ এদেশে প্রায় ছিল না বললেই চলে। অবশ্য দু’একটি ব্যতিক্রম ছিল; যেমন, তাল ও খেজুর; যদিও দু’টিই উষ্ণ অঞ্চলের অধিবাসী, বাংলাদেশে কিন্তু নিবাস ছিল না। তবে বাংলাদেশে প্রায় তিন হাজার বছর পূর্ব থেকেই এদের আগমন বুঝা যায়। যেমন, দুই হাজার বছরের অধিককাল আগে তালপাতায় লেখা পুস্তকের অস্তিত্ব জানা যায়। খেজুরও অনেকটা তেমনি; চার থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে, যখন বিদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাছ এদেশে আসেনি, এদেশের সমস্ত বৃক্ষরাজিই ছিল জলাভূমিতে জন্মানো ঝোপ-ঝাড় জাতীয় পুরো পত্র ও নরম কাণ্ডের গাছ। অবশ্য উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের উচ্চভূমিতে ব্রহ্মদেশ, মালয়েশিয়া, চীন, ইন্দোচীন প্রভৃতি দেশে উৎপন্ন বৃক্ষের মতো শক্ত কাঠের বৃক্ষ তখনো জন্মাত; বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফলের মধ্যে কাঁঠাল উচ্চ ভূমিতে জন্মাত। কিন্তু নিন্মজলাভূমিতে একমাত্র কলা ছাড়া দেশে জনপ্রিয়

আর কোনো ফলের সন্ধান পাওয়া যায় না। জাতীয় ফল কাঁঠালও বহিরাগত। তবে ভারতের উত্তরাঞ্চলে কাঁঠাল বহু পূর্ব থেকেই পাওয়া যায়; আম যদিও বাংলাদেশের একটি ফল, কিন্তু সারা ভারতেই এর ফলন ছিল বলে জানা যায়। গ্রীক বীর আলেকজান্ডার ৩২৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু উপত্যকায় আমবাগানের কথা উল্লেখ করেছেন; তিন হাজার বছর পূর্বে অর্থাৎ বেদের পূর্বে বাংলাদেশের বৃক্ষরাজি সম্পর্কে কোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন এ পর্যন্ত আমাদের কাছে পৌঁছেনি।

৭২ দ্বিজেন শর্মা- শ্যামলী নিসর্গ।
৭৩ দ্বিজেন শর্মা- শ্যামলী নিসর্গ।
৭৪ তপন চক্রবর্তী- বাংলাদেশের বন ও বনাঞ্চল। পৃষ্ঠা ৬৩

ক্রমশ চলবে-------------

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×