সূর্য বিলায় আলো আমায়, আঁধার
ঘোচে তাতে
স্নিগ্ধ-কোমল চাঁদের আলোয় মনটা
নাচে রাতে।
ঝিকমিকানো জোনাকজ্বলা,
ঝিনিক ঝিনিক ঝিঁঝিঁ
ঘুম এনে দেয়, স্বপ্নে আমি
ঝুমদেয়াতে ভিজি।
ভোরটি হলে পাখির গানে দোরটি
খুলে দাঁড়াই-
সবুজ মাঠের হাতছানিতে হাত
দু’খানা বাড়াই।
মনটা তখন যায় হারিয়ে মানতে
নারাজ মানা
পাখির মতো মনের তখন যায়
গজিয়ে ডানা।
মাঠ পেরিয়ে নীলচে পাহাড়, মেঘ
ছুঁয়েছে চূড়ো
ঠিক মনে হয় পাহাড় তো নয়
আদ্যিকালের বুড়ো।
ডাক শোনা যায় নীল সাগরের,
ঢেউরা ওঠে ফুলে
নোনতা পানির গন্ধ ভাসে
হাওয়ায় দুলে দুলে।
এই তো আমার দেশরে আহা!
মায়ায় মায়ায় মাখা
শীতল মাটির প্রাণের ছোঁয়া
ছায়ায় ছায়ায় আঁকা।
ভাইবোনেরা মিলেমিশেই এই
মাটিতে থাকি-
রাতটি এলে ঘুমিয়ে চোখে স্বপ্ন ধরে
রাখি।
হাসিখুশির, স্বপ্ন দেখার প্রিয়
স্বদেশভূমি-
বছর শেষে ঈদের খুশির বার্তা
আনো তুমি।
সেই খুশিতে সবাই মাতি হারাই
মনে-মনে
প্রজাপতির দুলদুলুনি ফুলের বনে
বনে।
সবাই এদিন এক হয়ে যাই, কেউ
থাকি না দু’টি!
লক্ষ গোলাপ সবাই তখন একটি
বোঁটায় ফুটি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৪