গত ৩০ মে ২০১৪ ইং তারিখে ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) এর সদস্যদের সাথে মানিকগঞ্জ এর বালিরটেক, সানবান্ধা, সুলতানপুর হয়ে কান্ঠাপাড়া, বলড়া দিয়ে আবার বালিরটেক হাটা পথে সফলভাবে ভ্রমন করলাম। এই ভ্রমনের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) এর প্রতিটি সদস্য অত্যান্ত আপনপ্রিয়। মূহুর্তের মধ্যেই অচেনা লোককেও আপন করে নেবার অসীম ক্ষমতা দলের প্রতিটি সদস্যের। প্রথমবারেই এরা যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে বিশেষ করে ভিজিট বাংলাদেশ (বেড়াই বাংলাদেশ) দলনেতা, ইভেন্ট আয়োজনকারী এবং বাংলাদেশ পর্য টন শিল্পকে যিনি বর্হিবিশ্বে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরার আপ্রান প্রায়াশ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি মাহমুদ হাসান খান আমাকে যেভাবে আপন করে নিয়েছেন যে জন্য আমি তার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
আমি এই ভ্রমনে বালিরটেক হতে অংশগ্রহন করি। দলটি ঢাকা হতে তাদের ভ্রমন শুরু করে।
বালিরটেক ফেরিতে ভ্রমন বাংলাদেশ এর সদস্যরা
বালিরটেক ফেরি পার হয়েই আমরা স্থানীয় এক হোটেলে দুপুরের খাবার অর্ডার করি। খাবারের আইটেম ছিল দেশি মুরগির ঝোল, আলু ভর্তা, ডিম ভুনা, ডাল ও খাটি কাসুন্দি। খাবার অর্ডার করেই আমরা বেরিয়ে পরি আমাদের ভ্রমনে।
গ্রামের কাচা রাস্তা করে হাটতে হাটতে রাস্তার পাশে এই বাঁশ ঝার টা দেখে সেখানে সবাই গ্রুপ ছবি তোলার জন্য পোজ পোজ দেয়।
গ্রামের অপার নৈর্সগিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের হাটা চলতে থাকে। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে এই বাছুরটি দেখে দলের তিন আপু ছবি তোলার জন্য দৌড়ে চলে যায়।
গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে আমাদের এগিয়ে চলা।
ফসলি ক্ষেতের আঁকা বাঁকা মেঠো আইলে আমাদের হাটতে থাকা।
এক সময় আমরা এই জায়গায় থেমে যাই বিশ্রামের জন্য এখানে গ্রামের কেউ অনেকগুলো গাছ সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে রেখেছে। প্রচুর অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমাদের মনকে শীতল করে দিলো। আমাদের এক অতি উৎসাহি সদস্য আশে পাশে খুজে খুজে ১টি আম সংগ্রহ করল। আমরা দলের ১৮ জন সদস্য সেই আম ভাগ করে খেয়েছি।
গ্রামের ফসলের মাঠ দুরে গাছপালা সমৃদ্ধ গ্রাম।
ফসলি ক্ষেতের পাশে একটি বাড়ি। আমাদের হৈচৈ দেখে বাড়ির সদস্যরা হয়তো ভাবছে এই পাগলরা আবার এলো কোথা থেকে।
ক্ষেতের আইলে বেড়ার গায়ে গাঁয়ের কৃষকেরা ধুন্দুল চাষ করে।
লাল টুকটুকে মরিচ। একদম ফ্রেশ। ফরমালিনমুক্ত।
তিল ক্ষেত।
রাস্তার পাশে বাঁশ ঝাড়।
হাটতে হাটতে একসময় আমরা তৃঞ্চার্ত ও ক্লান্ত হয়ে পরি। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে টিউবওয়েল দেখতে পেয়ে আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পরি হাত মুখে পানির ছিটা দিতে ও পানি পান করতে।
গ্রাম বাংলার চিরায়ত দৃশ্য।
পারভেজ ভাই এসেছিলেন স্ব-পরিবারে সাথে তাদের ছেলে ও মেয়ে। গ্রামের এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে এই ছোট্র দুটি শিশু ও তাদের হাটার ক্লান্তি ভুলে গেছে।
হাটতে হাটতে একজায়গায় মাঠের পাশে এমন ছায়াময় ও ঘাসের কার্পেট বিছানো দেখে পারভেজ পাই শুয়েই পড়লেন।
ছাগল ছানা আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে খাচ্ছে ও খেলা করছে।
নাম না জানা ফল।
পাতার গায়ে লেডি বার্ড বিটল পোকা।
নাম না জানা ফুল।
গ্রামের রাস্তার ধারে ধারে এমন অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ফুলে ফুলে সুশোভিত গাছ।
রাস্তার পাশে এক লোক ঘুরি উড়াচ্ছিল। আমাদের মাহমুদ ভাই ঘুড়িটি নিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করছে।
দলের ক্লান্ত দুজন সদস্য গাছের ছায়ায়। এমন সুন্দর গাছের ছায়ায় থাকলে মুহুর্তেই সব ক্লান্তি দুরে চলে যায়।
তালগাছে বাবুই পাখির বাসা। এমন মনোমুদ্ধকর সুন্দর দৃশ্য কেবল আমাদের বাংলাদেশের গ্রামেই দেখতে পাওয়া যায়।
আমাদের হাটতে হাটতে এগিয়ে চলা।
ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।
খেজুর গাছ। খেজুর সহ-
ছায়া ঢাকা শান্ত গ্রামের রাস্তা। সবধরনের কোলাহল, দুষন ও কালিমা থেকে মুক্ত।
বালিরটেক ফেরিঘাট। ঘুরতে ঘুরতে প্রায় ৪টার সময় আমরা আবার এসে পৌছি বালিরটেক ফেরিঘাট। এখানে যে হোটেলে আমরা খাবারের অর্ডার দিয়েছিলাম সেখানে দুপুরের খাবার বিকাল ৪ টায় খাই। খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়েছি। দলের প্রতিটি সদস্যই মন-প্রান ভরে খেয়েছিলাম।
খাবার খাওয়া শেষ হলে নদীর পাড়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আমরা নৌভ্রমনে বের হলাম।
পড়ন্ত বিকেলের চমৎকার ছবি।
নদীর পাড়ের মনোমুগ্ধকর ছবি।
নৌভ্রমন শেষ হলে আমরা পাড়ে নেমে পরি। আমাদের মাহমুদ ভাই ঘাটে ভিড়ানোর আগেই। ঝাপ দিয়ে নেমে পরে নদীতে জলকেলি করার জন্য।
সন্ধ্যার ঠিক আগমুহুর্তে আমাদের দলের বেশ কিছু সদস্য নদীতে নেমে সাতার কাটার জন্য ।
নদীতে সাতার কেটে ক্লান্ত হয়ে আমরা উঠে পরি নদী থেকে তার পর কাপড় পাল্টিয়ে আমরা আমাদের ফিরতি পথ ধরি।
ছবি ব্লগ - মানিকগঞ্জের বালিরটেক, সানবান্ধা ভ্রমন (ভিজিট বাংলাদেশ এর সদস্যদের সাথে)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছবির গল্প, গল্পের ছবি
সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!
কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন