প্রশ্ন: দোয়েল পাখি কুমড়োর কী উপকার করে?
উত্তর: কুমড়োগাছের প্রধান শত্রু পোকামাকড়। ওরা কুমড়োগাছের সব ফুল খেয়ে ফেলে। পোকামাকড়ের জ্বালায় কুমড়োর ফুলগুলো ফলে পরিণত হতে পারে না। দোয়েল পাখি এসব ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কুমড়োর উপকার করে। এ ছাড়া দোয়েল পাখি কুমড়োর পরাগায়নেও সাহায্য করে থাকে।
প্রশ্ন: মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখি কী কী অভিযোগ করেছে?
উত্তর: ‘কুমড়ো ও পাখির কথা’ নাটিকার অন্যতম চরিত্র দোয়েল পাখি। সুসভ্য ও বুদ্ধিবিবেকসম্পন্ন মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখি এই নাটিকায় সংলাপের মধ্য দিয়ে অনেক অভিযোগ করেছে। মানুষের বিরুদ্ধে দোয়েল পাখির অভিযোগগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক) মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী বনের গাছপালা কেটে সাফ করে ফেলছে।
খ) প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ পাখি ও জীবজন্তু মানুষ খেয়ে ফেলে।
গ) মুক্ত প্রকৃতির পাখি ও জীবজন্তু ধরে ধরে মানুষ খাঁচায় ভরে রাখে।
ঘ) মানুষ মানুষকে মারার জন্য নানা রকম অস্ত্র বানাচ্ছে এবং বোমা মারছে।
প্রশ্ন: টুনটুনি কুমড়োকে কী খবর দিল?
উত্তর: টুনটুনি কুমড়োকে খবর দিল যে বনের ভেতর কে যেন চাষ করার জন্য গাছপালা কেটে জমি করেছে। তারপর সেই ডালপালা পোড়ানোর জন্য আগুন দিয়েছে। আর সেই আগুন চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বৈশাখ মাসের শুকনো পাতা ও ডালপালায় ছড়িয়ে পড়া আগুনের মধ্যে হাওয়াও এসে জুটেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে সবকিছু। বনের টিয়ে, ফিঙে, দাঁড়কাক, বানর, ভালুক—সবাই মিলে ছোটাছুটি, চেঁচামেচি করে বন তোলপাড় করে তুলেছে। পশুপাখিদের চেঁচামেচিতে মানুষজন ছুটে এসেছে এবং আগুন নেভাচ্ছে। টুনটুনি কুমড়োকে আরও খবর দিল যে দোয়েলের গায়ে আগুনের একটু আঁচ লেগেছে। টোনা দোয়েলকে সেবা করছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




