প্রশ্ন: শহীদ বুদ্ধিজীবী বলতে আমরা কাদের বুঝি?
উত্তর: জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বুদ্ধিচর্চার মধ্য দিয়ে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যাঁরা দেশ ও জাতির সেবা করে থাকেন, তাঁদের বলা হয় বুদ্ধিজীবী। জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নতিতে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, আইনজীবীসহ অনেক বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। দেশ ও জাতির জন্য প্রাণ দেওয়া এসব বরেণ্য ব্যক্তিই শহীদ বুদ্ধিজীবী। শহীদ বুদ্ধিজীবী বলতে আমরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এসব জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের বুঝে থাকি।
প্রশ্ন: পাকিস্তান গণপরিষদে কে, কখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিলেন?
উত্তর: বাংলা ভাষা বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা। প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিলেন। বলা যায়, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উত্থাপিত এই দাবির মধ্য দিয়েই ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়।
প্রশ্ন: দর্শনের অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব কেমন মানুষ ছিলেন?
উত্তর: অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের যশস্বী শিক্ষক। তিনি নিরহংকার, সহজ-সরল ও অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তাঁর মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকত। সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। সবার শ্রদ্ধার পাত্র এই জ্ঞানতাপস অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেবও পাকিস্তানি সেনার হাত থেকে রেহাই পাননি। তারা নির্মমভাবে হত্যা করে আত্মভোলা, নিরংহার অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেবকে।
প্রশ্ন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’—গানটির সুর করেন কে?
উত্তর: ভাষাশহীদদের স্মরণে রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’—গানটি এক ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত এই কালজয়ী গানটিতে সুরারোপ করেছেন প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদ। পাকিস্তানি সেনাদের নীলনকশার শিকার শহীদ আলতাফ মাহমুদ এ গানটিতে সুর দিয়ে অমর হয়েছেন।
প্রশ্ন: পাকিস্তানি সেনারা কখন কোণঠাসা হয়ে পড়ল?
উত্তর: পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে এ দেশের বহু মানুষ শহীদ হন। কিন্তু রণেভঙ্গ দেন না। বরং তাদের উল্টো মার দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দেখতে দেখতে যুদ্ধের প্রায় নয় মাস কেটে যায়। শেষের দিকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তানি সেনারা বিপাকে পড়ে যায়। অবশেষে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ল।
প্রশ্ন: তিনজন শহীদ সাংবাদিকের নাম কী কী?
উত্তর: পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা জানত, সাংবাদিকরাও তাদের জন্য বিপজ্জনক। তাই তারা খ্যাতনামা বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজন শহীদ সাংবাদিকের নাম হলো: ১. শহীদ সাবের, ২. সিরাজ উদ্দীন হোসেন, ৩. সেলিনা পারভীন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




