somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাস্থানগড়ে একদিন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশ্ন: মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে কত দূরে?
উত্তর: প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন মহাস্থানগড়। এটি প্রাচীন বাংলার অন্যতম প্রাচীন নগর। আগে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। প্রাচীন আমলে পুণ্ড্রবর্ধনকে ‘পুণ্ড্রনগর’ও বলা হতো। ইতিহাসের স্বর্ণপুরী মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে আট মাইল উত্তরে অবস্থিত। প্রাচীরঘেরা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই মহাস্থানগড়ে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর রয়েছে।
প্রশ্ন: মহাস্থানগড় জাদুঘরের পাশে কী আছে?
উত্তর: ইতিহাসের স্বর্ণপুরী মহাস্থানগড়। বগুড়া শহর থেকে আট মাইল উত্তরে অবস্থিত মহাস্থানগড়ে রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। মহাস্থানগড় জাদুঘরের পাশেই রয়েছে গোবিন্দভিটা। গোবিন্দভিটা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি টিলার মতো উঁচু জায়গা। মাটির ঢিবি খুঁড়ে বের করা হয়েছে প্রাচীন যুগের স্থাপত্য এই গোবিন্দভিটা।
প্রশ্ন: প্রাচীন বাংলার অন্যতম প্রাচীন নগরের নাম কী?
উত্তর: ‘মহাস্থানগড়ে একদিন’ রচনায় বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ও লেখক মনসুর মুসা প্রাচীন বাংলার অন্যতম নগরের নাম উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন বাংলার অন্যতম এই প্রাচীন নগরের নাম ‘পুণ্ড্রবর্ধন’। একসময় এই নগর জনকোলাহলে মুখরিত ছিল। এখন এটি একটি জনশূন্য বিরান ভূমি। প্রাচীনকালের বস্তুসামগ্রী ও ভগ্নাবশেষ ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা প্রাচীন বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখার জন্য এখানে এসে থাকেন। বর্তমানে এটি ‘মহাস্থানগড়’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: পুণ্ড্রবর্ধনকে আর কী বলা হয়?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার অন্যতম প্রাচীন নগর পুণ্ড্রবর্ধন। একসময় এখানে রাজা ছিল, রানি ছিল, রাজকন্যা ছিল; ছিল মন্ত্রী, পাত্রমিত্র, অমাত্য, সেনাবাহিনী, প্রহরী, দ্বাররক্ষক। হাতিশালে হাতি ছিল, ঘোড়াশালে ঘোড়া। দেশ-বিদেশের বণিকেরা এখানে ব্যবসা করতে আসত। তীর্থযাত্রীরা আসত। জনকোলাহলমুখর এই পুণ্ড্রবর্ধনকে ‘পুণ্ড্রনগর’ও বলা হয়। এ দেশের সভ্যতার বিচিত্র উপাদান এখানে সঞ্চিত আছে।
প্রশ্ন: প্রাচীন নগরীতে কী কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার অন্যতম প্রাচীন নগর পুণ্ড্রবর্ধন। একসময় এই নগরীতে রাজা ছিল, রানি ছিল, রাজকন্যা ছিল; মন্ত্রী, পাত্রমিত্র, অমাত্য, সেনাবাহিনী, প্রহরী ও দ্বাররক্ষক ছিল। হাতিশালে হাতি ছিল, ঘোড়াশালে ঘোড়া ছিল। প্রাচীন নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ঘাটে নৌকা ভিড়ত। দেশি-বিদেশি বণিকেরা এখানে আসত। ব্যবসা করতে। আসত তীর্থযাত্রীরা ও দেশ-বিদেশের পর্যটক। জনকোলাহলে মুখরিত ছিল এই নগর। প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ এই নগরী এখন জনশূন্য বিরান ভূমি।
প্রশ্ন: জলাধার দুটোর নাম কী?
উত্তর: মহাস্থানগড় একটি ঐতিহাসিক স্থান। প্রাচীন ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এখানে দুটো জলাধারের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। জলাধার দুটোর মধ্যে একটির নাম জীয়ত কুণ্ড বা জীবন কূপ। আর অন্যটির নাম মানকলির কুণ্ড। লোকশ্রুতি আছে, জীয়ত কুণ্ডের পানি পান করলে মৃত ব্যক্তি প্রাণ ফিরে পায়। মানকলির কুণ্ড সম্পর্কে বলা হয়, এর নাম হয়েছে জৈনধর্মের প্রচারক গোশালা মানকলির নামানুসারে। মহাস্থানগড়ের এই জলাধার দুটোও ইতিহাসে প্রসিদ্ধ।
প্রশ্ন: পাথরটির ওজন কত?
উত্তর: প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত। এই নগরের উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত প্রাচীরটির উচ্চতা সমতল ভূমি থেকে ৪.৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। আবার কোনো কোনো জায়গায় ১০.৬৭ মিটার (৩৫ ফুট) উঁচু। দুর্গের ভেতরে দুটো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। একটি ধ্বংসাবশেষ বৈরাগীভিটা নামে পরিচিত। আরেকটির নাম খোদার পাথরভিটা। এখানে একটি বিরাট পাথর রয়েছে। এই পাথরটির ওজন প্রায় সাড়ে তিন টন।
প্রশ্ন: কে কে মহাস্থানগড়ের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন?
উত্তর: ইতিহাসের স্বর্ণপুরী মহাস্থানগড়। এর ধাপে ধাপে চাপা পড়ে ছিল আমাদের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। বুকানন হ্যামিলটন আর আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম এই মহাস্থানগড়ের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ধ্বংসাবশেষ খনন করে এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে, তা নিয়ে গড়ে উঠেছে মহাস্থানগড় জাদুঘর।
প্রশ্ন: ধ্বংসাবশেষ থেকে কী কী নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর: মহাস্থানগড়ের ধাপে ধাপে চাপা পড়ে ছিল আমাদের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। বুকানন হ্যামিলটন আর আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম এ সম্পর্কে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর ধ্বংসাবশেষ খনন করে এখন পর্যন্ত যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে: শিলালিপি, ভগ্ন জৈনমূর্তি, বুদ্ধমূর্তি, অলংকৃত ইট, ধাতুর তৈরি একটি চক্র বা সূর্য, একটি ষাঁড়, একটি বাঘ, একটি ঘোড়া, একটি সিংহ এবং আরও অনেক কিছু। এসব নিদর্শন মহাস্থানগড় জাদুঘরে সুন্দরভাবে সাজানো আছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭



সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪



২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্রপতি হিসাবে ড. ইউনুসের বিকল্প বাংলাদেশে নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৪


রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেবের মন ভালো নেই। জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তিনি রীতিমতো কোণঠাসা! শেখ হাসিনা ভারতে প্রস্থানের পূর্বে তাকে জানিয়ে যান নি। শেখ হাসিনা চুপ্পু সাহেবকে উনার দুরবস্থার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×