হয়তো,
সেই রাত ছিল আগামীর স্বাধীন সূর্য
ছিল স্বপ্নে বিভোর হওয়া এক জাতির ঘোরলাগা লগ্ন
ছিল শঙ্কিত মায়ের প্রশ্ন-
পারবো কি শুনাতে আপন ভাষায় খোকাদের ঘুমপাড়ানি গল্প।
হয়তো,
সেই রাত্রিতে পাখিরা কাটিয়েছিল নির্ঘুমে
সেই রাত্রিতে কুকুরেরা ডাকেনি অতিপ্রাকৃতের দর্শনে
সেই রাত্রিতে মৎস্যেরা পুকুর মাতিয়ে রেখেছিল শিশে
সেই রাত্রিতে শিয়ালেরা হুক্কা হুয়া ডাকে জেগেছিল পূর্ণিমা স্নানে ।
হয়তো,
ওই রাত্রিতে শত বাবা আদুরে বকেছিল সন্তানদের
ওই রাত্রিতে শত বোনের আবদার পূরণের প্রতিজ্ঞা ছিল ভাইদের
ওই রাত্রিতে শত গল্পের আকুতি জাগিয়ে রেখেছিল লেখকদের
ওই রাত্রিতে শত চরণ উদ্বেলিত করে রেখেছিল কবিদের ।
সেই ভোরের সূর্য কি জানতো-
আজ লিখা হবে ভাষা স্বাধীনের এক অবিসংবাদিত গল্প
যেই গল্পের কালি হবে অমর তরুণের ধোঁয়া উঠা রক্ত
যেই গল্পের কাগজ হবে রাজপথে পড়ে থাকা দুর্বার আত্মার দেহ
যেই গল্পের কাহিনী হবে এক সাহসী জাতির মনে জন্ম নেওয়া হাজারও কথা
সেই গল্পের শিরোনাম হবে ‘কালজয়ী একুশে ফেব্রুয়ারি ঊনিশশত বাহান্ন’ ।
সেই দিবসের সূর্য ডুবেছিল নিশ্চিন্তে বাংলা হয়ে ফুটবে বলে ।
ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অজস্র শুভেচ্ছা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






