somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তর্কের প্রয়োজনীয়তা

১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





প্রকৃতিগতভাবে মানুষ নিজের মতের সমর্থনে কথা শুনতে পছন্দ করে । প্রশংসা শুনতে অনেক পছন্দ করে থাকে । অথচ এ প্রশংসা ও শুধু নিজ পছন্দের কথা শুনতে থাকায় নিজের ক্ষতির মুল কারন । আয়না আপনার মুখের সমালোচনা করে দেখিয়ে দেয় কোথায় দাগ আছে । আপনার মুখের দাগ দেখানোর জন্য আপনি আয়না ভাঙ্গতে উদ্যত হলে আপনি যে কেমন বুদ্ধিমান মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
একজন হিন্দু তার ধর্মের অসারতা জীবনেও দেখতে পারবে না যতদিন না সে তার নিজ ধর্মের সমালোচনা কে সহ্য করতে পারবে । সে জন্ম থেকে নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব শুনে আসছে আর যে বা যারা এর শ্রেষ্ঠত্ব বলে তাদেরকে পরম শ্রদ্ধা করে এবং তাদের কথায় শুনতে পছন্দ করে এবং সমালোচনাকে শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে ।
কিছু লোক সন্নাসীর জীবন অবলম্বন করে তার পুরো জীবন বহু ত্যগ তিতিক্ষায় বিলিয়ে দেয় । আফসো ! যদি সে তার সমালোচকের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনতো তাহলে হয়ত সে তার জীবনের ভূল সিদ্ধান্তগুলো খুজে পেত।
কোন মুসলমান মাজারে গিয়ে ব্যপক অর্থকড়ি নষ্ট করে, কেউ পীরের পিছনে জীবন কাটায়, কেউ আত্মঘাতি বোমা মেরে ধর্মের জন্য নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে তার পিতা-মাতাকে অসহায় করে দিয়ে এ ধরা থেকে চলে যায়, কেউ ইসলামী রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে নিজের জীবনটা উক্ত দলের পিছনে নিজ জীবন বিলিয়ে দিয়ে শ্রষ্ঠার সন্তুষ্টি খুজে ফেরে, কেউ তাবলিগিতে যোগ দিয়ে মাসের পর মাস পরিবার ছেড়ে মসজীদে মসজীদে কাটিয়ে দিয়ে নিজ জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে, বার্ধক্য বয়সে ইজতেমায় গিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে । কেউ তার নিজ বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার সমালোচনা শুনতে পছন্দ করে না ।
আর যদি সমালোচনাটি হয় আস্তিকতা-নাস্তিকতা বিষয়ে তাহলে তো কথায় নেই । নাস্তিকের সাথে আবার কিসের কথা । আপনি যদি কোন মতবাদের সমালোচনা আপনের পক্ষের মতের লোক থেকে শুনে মনে ঘৃনা আগে থেকেই জমে থাকে, তাহলে যার সমালোচনা শুনেছেন তা যদি ভূলও শুনে থাকেন তাহলে তা ঠিক করার সুযোগ আপনি হারাবেন । কারন প্রথম থেকেই আপনি মন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছে । আপনি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় তাহলে তার সঠিক দিকগুলো আপনি কখনও দেখতে পাবেন না ।
যিনি সমালোচনা করে তিনি যদি শত্রুতামি করেও আপনার সমালোচনা করে তথাপিও আপনি তার কথাকে গুরুত্ব দিন । কারন সে আপনার ত্রুটিগুলো অনেক কষ্ট করে খুজে বের করে দিবে যা আপনি হয়ত দেখতে পেতেন না । তার সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে পর্যালোচনা করে আপনি আপনার চিন্তা, দর্শন ও জীবন পদ্ধতিতে সংশোধন এনে আলোকিত জীবন গড়ুন ।
আপনি যদি সমালোচনাকে নেতিবাচকভাবে ব্যখ্যা করে তবে মনে রাখবেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ধারনারও নেতিবাচক কিছু ব্যখ্যা বের করা সম্ভব । আপনি তো আপনার নিজের ক্ষতি চান না, চান কি? তাহলে সমালোচনাকে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে নিজের ভূলকে সংশোধন করে নিন।
সুতরাং তর্ক বিতর্কই আপনার নিজ মতাদর্শের ভূল খুজে পাওয়ার সবচেয়ে সহজতম ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি । তর্ক বিতর্কের ক্ষেত্রে যারা বাজে ভাষা ব্যবহার করে পরিবেশ নষ্ট করে তারা সেটা করে তাদের মুর্খতাহেতু । সবাই তো এরুপ মুর্খ নয় । কয়েকজন মুর্খ বিতার্কিকের কারনে আপনি তর্ক বিতর্ককে খারাপ বলতে পারেন না । যারা পরিবেশ নষ্ট করে তাদেরকে এড়িয়ে চলুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×