somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে কিতাব মানুষকে বিশ্বাসের জন্য জোর করে তা স্রষ্টার হতে পারে না (কুরআন মানব রচিত):

২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্বাস বাংলা শব্দ আর ঈমার এর আরবী প্রতিশব্দ।বিশ্বাস মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বিশ্বাস মানুষের কর্মকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে । যেমন বিশ্বাস তেমন কর্ম। বিশ্বাস প্রধাণত দু’প্রকারের হয়ে থাকে:
ক)যথার্থ বিশ্বাস
খ)অন্ধ বিশ্বাস (ধর্মীয় বিশ্বাস,সমাজের বিভিন্ন কু’সংস্কার ইত্যাদ)
না দেখে কি বিশ্বাস করা যায়?
বিশ্বাস কখনো না দেখে হয় না-হোক সে দেখা বাহ্যিক চোখ দ্বারা বা অন্ত:চক্ষু দ্বারা। প্রত্যেক মানুষের ৪ টি চক্ষু আছে-দুটি বাহ্যিক চক্ষু অপর দুটি অন্ত:চক্ষু।আমকে আম, কাঠালকে কাঠাল বলে আমরা বিশ্বাস করি বাহ্যিক চোখ দ্বারা দেখে।কেউ আপনার কাছে টাকা ধার চাইলে আপনার টাকা তাকে দেয়া না দেয়া নির্ভর করে আপনি তাকে কতটুকু বিশ্বাস করেন। এ বিশ্বাস/অবিশ্বাস নির্ভর করে আপনি তাকে কতটুকু চেনেন ও তার পূর্বের কার্য্যাবলি পর্যালোচনা করে। আপনি অন্তচক্ষু দ্বারা তার অতীত কার্যাবলী বিশ্লেষণ করে উপরে উল্লেখিত ৪ প্রকারের এক প্রকার বিশ্বাস আপনি করেন।
বিশ্বাস পরিবর্তন করা কি খারাপ?
আপনি আজকে যা বিশ্বাস করেন তা যদি কেউ ভূল প্রমাণিত করে, তাহলে সে ভূলকে আকড়ে ধরে রাখা তো কোনক্রমেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।বরং যে আপনার চিন্তার ভূল ধরে দিল সে তো আপনার অনেক বড় উপকার করল।জ্ঞান পিপাসুদের বিশ্বাস প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হতে পারে। নতুন নতুন জ্ঞানে পূর্বের অর্জিত ভূল বিশ্বাস পরিবর্তন করে সত্যের দিকে এগিয়ে যায় বুদ্ধিমানেরাই। আর যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিতে লিপ্ত তারাই পূর্ব পুরুষ থেকে পাওয়া বিশ্বাসকে যাচাই বাছাই ছাড়া অন্ধভাবে কঠোরভাবে আকড়ে ধরে থাকে।
বিশ্বাস কি জোর করার বিষয়?
বিশ্বাস/অবিশ্বাস হয় স্বত:স্ফুর্তভাবে।মানুষ তার ৪ চক্ষু দ্বারা কোন কিছু দেখে তা বিশ্বাস করে। কেউ যদি কোন কিছু অবিশ্বাস করে তার অর্থ হল সে তার ৪ চক্ষু দ্বারা উহাকে দেখতে পাচ্ছে না। সুতরাং না দেখে বিশ্বাস সম্ভব নয়।যা চার চক্ষুর কোন চক্ষু দ্বারা না দেখে বিশ্বাস করা হয় তা চরম মুর্খতা, অজ্ঞতা।কেউ যখন কোন কিছু তার চার চোখের কোন এক চোখ দ্বারা কোন কিছু দেখতে পায়, তখন সে স্বাভাবিকভাবেই তাতে বিশ্বাস করে।বরং যা সে দেখল তা অবিশ্বাস করানোই অতি কঠিন।
তাই আপনি কাউকে কোন কিছু বিশ্বাস করাতে হলে তাকে চার চক্ষুর কোন এক চোখ দ্বারা দেখান, সে এমনিতেই বিশ্বাস করবে।যারা সত্যে ও সঠিকের পক্ষে থাকে তারা আপনাকে কখনও কোন কিছু বিশ্বাস করতে জোর করবে না, বরং সে তার সঠিকত্ব আপনার কাছে প্রমান করবে যুক্তি ও বাস্তবসম্মত প্রমান দ্বারা।
কারা বিশ্বাস করতে জোর করে
যা মিথ্যা, অসার, ভন্ডামি তা কাউকে বিশ্বাস করাতে হলে তখন যুক্তিকে এড়িয়ে জোর করতে হয়।কারন যুক্তির কাছে গেলে মিথ্যার অসারতা ও ভন্ডামি ধরা পড়ার নিশ্চিত সম্ভাবনা।
যারা বিশ্বাস করতে জোর করে তারা কি যুক্তি এড়িয়ে চলে?
না, পৃথিবীর কেউ পুরোপুরি যুক্তি এড়িয়ে চলে না।ধরুন, আপনাকে আমি বিশ্বাস করতে বললাম যে আমার মাথার উপর যে ফ্যন ঘুরতে দেখছেন এটা কিন্তু আসলে ফ্যন না, এটা হল একটি গরু যা ফ্যনের আকৃতিতে আপনারা দেখছেন।এমন কথা স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাস করার কথা নয়, তাই আপনাদের আমি কিছু ছাগল মার্কা তেনা পেচানো যুক্তি দিলাম।আমি কিন্তু পুরোপুরি যুক্তিকে এড়ালাম না।
তাহলে কখন যুক্তি দিতে নিষেধ করি? যখন কোন বুদ্ধিমান কেউ এসে আমার কথা অসারতা প্রমান করে তখন আমার শেষ আশ্রয় হয় –জোর করে বিশ্বাস করানোর হুমকি। বিশ্বাস না করলে কি কি সর্বনাশ!!!
তখনই আমি বলি-বিশ্বাসে মুক্তি মেলে তর্কে বহু দূর। এবং -----।
যে কিতাব মানুষকে বিশ্বাসের জন্য জোর করে তা স্রষ্টার হতে পারে না (কুরআন মানব রচিত):
কুরআন স্রষ্টার কিতাব বলে মিথ্যা দাবি করা হয়, এ কারনেই আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য এত হুমকি দেয়া হয়। এটা বিশ্বাস না করলে ভয়ংকর শাস্তি। এর অনুসারীদের শুরুতেই শেখানো হয় অমুক অমুক বিষয়ে মুসলমান থাকতে হলে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে। আকিদা (বিশ্বাস)যাতে কোন ক্রমে ছুটে না যায় সেদিকে নজর রাখতে শিক্ষা দেয়া হয়।কুরআন আসলে স্রষ্টার কিতাব কিনা তা কল্পনায় করা যাবে না যাচাই-বাছাই তো দুরের কথা।
আমি ফ্যানকে গরু বলেছি, আসলে তা যৌক্তিক কিনা তা চিন্তা করাই মহাপাপ, গরু কিনা তা যাচাই করাতো দূরের কথা।আমার অনুসারীদের মাথায় শুধু এতটুকু ভাল করে প্রবেশ করাতে পারলেই তো কেল্লা ফতেহ। কারন আমার কথা ঠিক কিনা তা চিন্তা করারই সুযোগ নেই, এবার আমার সব ভন্ডামি সুন্দরভাবে বিশ্বাস করানো যাবে।


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
২৫টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×