অনেকে বলে থাকেন যে ধর্ম নিয়ে এত আপত্তির কি দরকার, যার যা মনে চাই তাকে তা পালন করতে দেয়া উচিত। আমি এর জবাব একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে দিতে চাই। দৃ্ষ্টান্তটি হল:
মনে করুন আপনি প্রতিদিন অফিসে যেতে সময় রাস্তায় একজন লোককে দেখেন যে সে একটি গাছের গোড়ায়ে এক কেজি দুধ ঢালে, আবার কখনও কখনও গাছের গোড়ায় তার ঢালা দুধ মিশ্রিত কাদা তার পুরো শরীরে মাখে। এ ধরনের বেশ কিছু পাগলামি সে নিয়মিত করে থাকে। এ কর্মগুলো করার পিছনে তার কিছু বিশ্বাস কাজ করে।তার এ কর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলে সে রেগে যায়, তার বিশ্বাসে আঘাত লাগে।যার ফলে লোকে তার এহেন কর্ম দেখে দূর থেকে শুধু হাসে, কিন্তু কিছু বলে না।
আপনি এ লোকের কর্ম সম্পর্কে কি বলবেন? কেউ কেউ হয়ত বলবেন যে উনি পাগলামি করে শান্তি পেলে তাকে তাই করতে দেয়া উচিত।কারো পাগলামি বাড়ানো উচিত না, তবে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত এটা সকল সুস্থ মানুষে শিকার করবে, নয় কি? যে এ ধরনের কিছু বিশ্বাস ধারা পাগলা হয়েছে তথা রোগি নিজে তো নিজের সমস্যা বোঝার কথা নয়, তার পাগলামি চেতিয়ে দিলে পাগলামি তো বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক।কিন্তু যারা সুস্থ তাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে। এ লোকদের চিকিৎসা করে সুস্থ করলে লোকটি নিজেও যেমন উপকৃত হবে সমাজও উপকৃত হবে।অতএব কেউ পাগলামি করলে তাকে তার পাগলামিতে ছেড়ে দেয়া দায়িত্ব ফাকি দেয়ারই নামান্তর।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




