মুহাম্মাদ (স এর জীবনি পড়তে গিয়ে কুরআন সম্পর্কে কিছু কথা ইসলামের ইতিহাসে পড়েছিলাম যা কুরআন সম্পর্কে আমার শ্রদ্ধাবোধ আরো অনেক বৃদ্ধি করেছিল।সত্যর কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকে যা মিথ্যা থেকে সত্যকে জ্বাজ্ব্যল্যমন করে তোলে। ইসলামের ইতিহাসে কুরআন সম্পর্কে যা পড়লাম তার কয়েকিটি দিক সত্যেরই বৈশিষ্ট্য, কিন্তু বাস্তবে যা দেখলাম তা প্রমান করে এ ইতিহাস লিখতে সময় অতিরঞ্জন করা হয়েছে।
যেগুলো সত্যের অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং কুরআন সম্পর্কে ইসলামের ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরছি:
১. কুরআনের কথা এতই মাধুয্যপূর্ণ ও সম্নোহনীশক্তিসম্পন্ন ছিল যে মুহাম্নাদ (স এর ঘোরতম শত্রু ও কুরাইশ নেতৃবৃন্দ রাতের অন্ধকারে গোপনে নবীজীর কুরআন পাঠ শুনতে যেতেন।
২. মুহাম্মাদ (স এর কথা যাতে লোকজন শুনতে পারে এজন্য যেখানেই মুহাম্মাদ (সকথা বলতে যেতেন সেখানে বিরুদ্ধবাদীরা হট্টগোল লাগাতো।যেহেতু মুহাম্মাদ (স: ) এর কথা ছিল যুক্তিপূর্ণ মহাসত্য, স্বভাবতই মানুষ সেটাকে গ্রহণ করত।রসুলের কথা খন্ডন করা কুরাইশ নেতাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কুরাইশ নেতারা যখন সাধারণ লোকদেরকে তার (মুহাম্মাদ স: এর) কথা শুনতে নিষেধ করত এই বলে যে তার কথা হল পাগলের প্রলাপ, তখন সাধারণ লোকদের প্রশ্ন ছিল যে পাগলের প্রলাপ হলে মানুষ মুহাম্মাদ (সঃ) এর কথা কেন গ্রহণ করে এবং মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে? তখন তাদের জবাব হত যে মুহাম্মাদ স: হল যাদুকর,তার কথায় যাদুকরি শক্তি আছে।
পর্যালোচনা:
সৃষ্টিকর্তার বিধান এমনই হওয়া যৌক্তিক।যে কোন ব্যক্তি যদি স্রষ্টার বাণী পাঠ করে, এর যুক্তির প্রখরতা এবং সম্মোহনী শক্তি যে কোন পাঠককে যাদুর মত প্রভাবিত করবে-এমনটি হওয়াই স্রষ্টার বাণীর স্বাভাবিক দাবি।এমনকি দোষ খোজার নিয়তেও যদি কেউ পড়তে যায় এর অসাধারন বর্ণণাভঙ্গি পাঠকের মনে ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করবে এবং সত্যকে দিবালোকের ন্যয় প্রস্ফুটিত করবে।কুরআন কি আসলেই এ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে? এ বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র ইতিহাসে ও এর প্রেমিকদের বাগ্মিতায় আছে, বাস্তবে নেই।
প্রমান চান?
প্রমানের জন্য বেশিদুর যেতে হবে না।যারা কুরআনের প্রেমিক বলে দাবিদার তারা নিজেরাই এ কুরআন পড়ে মোহমুগ্ধ তো দূরের কথা, আনন্দই পায় না। প্রমাণ হল, এ যদি এত মাধুর্যময় ও মনমুগ্ধকর তাদের কাছে লাগত, তো দেখতেন দিনরাত এ পুস্তক পড়ত। এমনকি যারা দাবি করে যে সে কুরআন পড়ে মন্ত্রমুগ্ধ হয়,তাকে একটি উপন্যাস পড়তে দিয়ে দেখবেন সে এটাকে যেভাবে পড়ছে, কুরআন পড়ার ক্ষেত্রে তার ১% আকর্ষন অনুভব করছে।
কেউ কেউ বলবেন যে কুরআন তো আরবী ভাষায়।বাংলায় অনুবাদ পড়ার কারনে কুরআনের মুল ভাব বুঝতে না পারায় কুরআনের মুল সৌন্দর্য পাঠক উপলব্ধি করতে পারে না, তাই এর আসল স্বাদ আস্বাদন করতে না পারায়, সে আকর্ষন অনুভব করে না। আসলে কি বিষয়টি তাই?
আরবরা কি কুরআন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়ে?তারাও পড়ে না।তারপরও ধরে নিলাম যে অনুবাদ পড়ার কারনে ক্বুরআনের মুল সৌন্দর্য ও আকর্ষন অনারবরা অনুভব করতে পারে না।প্রশ্ন হল, সৃষ্টিকর্তা যদি সকল মানুষের জন্য জীবন বিধান দিতেই চান, তাহলে তিনি কি সক্ষম ছিলেন না যে সকল মানুষের জন্য একটি মাত্র ভাষা সৃষ্টি করবেন আর সে ভাষাতেই তার বিধান দিবেন?
আমরা নিজ চোখে দেখছি যে কুরআনে কোন সম্মোহনী শক্তি নেই, তাহলে ইতিহাস কিভাবে বিশ্বাস করবো?এটাই প্রমান করে কুরআন মানবরচিত কিতাব।
ইতিহাস অতিরঞ্জিত হয়েই থাকে, এটাই স্বাভাবিক।প্রত্যেকে তার ইতিহাস নিজেদের মত করেই লেখে, এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামিলিগ যেমন তাদের শেখ মুজিবের ইতিহাস অতিরঞ্জন করে, বি,এন,পি অতিরঞ্জন করে জিয়ার ইতিহাস। এভাবে প্রত্যেক আদর্শের অনুসারী তার নিজ আদর্শের নেতার ইতিহাস অতিরঞ্জিত করে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭