somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন সাবেক শিবিরের (বর্তমান জামাতী) আত্মকাহিনী - ২ (প্রথম দর্শন)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একনিষ্ঠ জামাতী পরিবারের একটি ছেলে অনেক ভেবে চিন্তেই শিবির হয়ে গেলো। তার জীবনের তখন সবকিছু বদলে গেলো। চারিদিকে সুবিধা আর সুযোগ। সে সেই সুযোগগুলো গ্রহণ করে শিবিরকে আকড়ে ধরে থাকলো। তারপর যখন পৃথিবী সম্পর্কে আরও বেশী জানলো, তখন তার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হলো। সেই কাহিনীই লিখবো আগামী কয়েকটি পোস্টে।

২. প্রথম দর্শন
আমাদের শহরে শিবিরের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল, ফুলকুড়ি। আমি তার সাথে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলাম। যতদূর মনে পড়ে আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। একদিন আমরা ফুলকুড়ির সৌজন্যে পিকনিকে গেলাম। পিকনিক স্পট কুমিল্লার ময়নামতি। আমরা গিয়েছিলাম আমাদের এক নেতার বাসে করে। যাবার পথে আমরা অনেক স্কুল ছাত্রী দেখলেও আমরা তাদের কোন অশ্লীল ইঙ্গিত করিনি। ততদিনে আমরা জেনে গেছি মেয়েদের প্রকাশ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত করতে নেই কেবল আড়চোখে দেখতে হয়। সময় হলে তাদের এমনিতেই পাওয়া যাবে। (পরবর্তীতে অবশ্যই এটার ফল হাতেনাতে পেয়েছিলাম ২০০১ সালে আমাদের মহান বিজয়ের দিনে, মেয়ে যে কত সহজলভ্য বিশেষ করে সংখ্যালুঘু মেয়েরা সে দিন বুঝেছিলাম)

সময়টা ছিল শীতকাল। আমরা সবাই কুমিল্লার একটি হোটেলে ছিলাম। আমার রুমে ছিল আমাদের শিবিরের এক বড় ভাই। শীতকাল বিধায় আমরা একই কম্বলের নীচে ঘুমাতে গেলাম। ঘুমানোর কিছুক্ষণ পর আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বড় ভাইয়ের হাতের স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি বললাম বড় ভাই কি করেন? বড় ভাই বলল, চুপ করে থাক, ঘুমানোর সময় কথা বলে না। বড় ভাইয়ের কথা মতো আমি চুপ করেই ছিলাম ........ । এখনো বড় ভাইদের কোন কথা বা কাজ পছন্দ না হলে আমি চুপ করেই থাকি। কারণ আমি জানি এতেই আমার কল্যাণ নিহিত।
১৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×