একনিষ্ঠ জামাতী পরিবারের একটি ছেলে অনেক ভেবে চিন্তেই শিবির হয়ে গেলো। তার জীবনের তখন সবকিছু বদলে গেলো। চারিদিকে সুবিধা আর সুযোগ। সে সেই সুযোগগুলো গ্রহণ করে শিবিরকে আকড়ে ধরে থাকলো। তারপর যখন পৃথিবী সম্পর্কে আরও বেশী জানলো, তখন তার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হলো। সেই কাহিনীই লিখবো আগামী কয়েকটি পোস্টে।
২. প্রথম দর্শন
আমাদের শহরে শিবিরের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল, ফুলকুড়ি। আমি তার সাথে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলাম। যতদূর মনে পড়ে আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। একদিন আমরা ফুলকুড়ির সৌজন্যে পিকনিকে গেলাম। পিকনিক স্পট কুমিল্লার ময়নামতি। আমরা গিয়েছিলাম আমাদের এক নেতার বাসে করে। যাবার পথে আমরা অনেক স্কুল ছাত্রী দেখলেও আমরা তাদের কোন অশ্লীল ইঙ্গিত করিনি। ততদিনে আমরা জেনে গেছি মেয়েদের প্রকাশ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত করতে নেই কেবল আড়চোখে দেখতে হয়। সময় হলে তাদের এমনিতেই পাওয়া যাবে। (পরবর্তীতে অবশ্যই এটার ফল হাতেনাতে পেয়েছিলাম ২০০১ সালে আমাদের মহান বিজয়ের দিনে, মেয়ে যে কত সহজলভ্য বিশেষ করে সংখ্যালুঘু মেয়েরা সে দিন বুঝেছিলাম)
সময়টা ছিল শীতকাল। আমরা সবাই কুমিল্লার একটি হোটেলে ছিলাম। আমার রুমে ছিল আমাদের শিবিরের এক বড় ভাই। শীতকাল বিধায় আমরা একই কম্বলের নীচে ঘুমাতে গেলাম। ঘুমানোর কিছুক্ষণ পর আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বড় ভাইয়ের হাতের স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি বললাম বড় ভাই কি করেন? বড় ভাই বলল, চুপ করে থাক, ঘুমানোর সময় কথা বলে না। বড় ভাইয়ের কথা মতো আমি চুপ করেই ছিলাম ........ । এখনো বড় ভাইদের কোন কথা বা কাজ পছন্দ না হলে আমি চুপ করেই থাকি। কারণ আমি জানি এতেই আমার কল্যাণ নিহিত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




