somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ষবরণে বস্ত্রহরণ !

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নববর্ষ প্রত্যেক জাতির জন্য একটি আনন্দময় দিন । পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি নানা বর্ণিল আয়োজনে উৎযাপন করে তাদের নিজস্ব নববর্ষ । পুরোনোর গ্লানি দুঃখ কষ্ট সব কিছু ভুলে নতুন উদ্দিপনায় নতুন আনন্দে বরণ করে নেয় নতুন বছরকে । ইংরেজী নববর্ষের পর সারা পৃথিবীতে ঘটা করে পালন হয় চাইনিজ নববর্ষ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাহিরে ও প্রবাসী বাংগালীরা নিজ নিজ অবস্হানে থেকে নিজের সংস্কৃতিকে ধারন ও লালনের মাধ্যমে পালন করে আসছে বাংলা নববর্ষ । ধর্ম বর্ণ নির্বিষেশে আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে ঘটা করে পালিত হয়ে আসছে বাংলা বর্ষবরন অনুষ্ঠান বিশেষ করে গ্রামে ই পালিত হতো বাংলা বর্ষবরণ কিন্তু বিগত বেশ করেক বছর যাবৎ আমাদের শহুরে ব্যস্ত জীবনে কিছুটা হলেও আনন্দের ছোয়া দিতে পেরেছে বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান এই জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে হয় ছায়ানট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কে । ছায়ানট ১৩৭৪ বঙ্গাব্দ ইংরেজী ১৯৬৭ সালের পহেলা বৈশাখ থেকে ঢাকার রমনা উদ্যানের অশ্বত্থ গাছের নিচে সুরের মূর্চ্ছনা আর কথামালায় বরণ করে নেয় বাংলা নববর্ষকে যদিও ১৯৭১ সালে বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের বছর বাংগালীর প্রিয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করতে পারেনি ছায়ানট এছাড়া বাকী সব বছর ই ছায়ানট আয়োজন করে আসছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা মৌলবাদীদের অপশক্তি ওদের সমগ্র শক্তি দিয়ে নস্যাত করতে চেয়ে ছিল ছায়ানট তথা বাংগলীর বর্ষবরনের অনুষ্ঠান আর সে লক্ষে ২০০১ সালের তথা বাংলা ১৪০৮ সনের ১লা বৈশাখ রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মৌলবাদি জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হন ১০ জন আর আহত হয় অর্ধ শতাধিক সাধান মানুষ ৷
তার পর ও মৌলবাদের কালো থাবা বন্ধ করতে পারে নি বাংগালীর প্রাভেন স্পন্দন থেমে থাকেনি বা বন্ধ হয়ে যায়নি বাংগালীর বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান । কিন্তু কোন ভাবেই যেন নানা অপশক্তি হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না আদের ইতিহাস আমাদের ঐতিহ্য আমাদের শিল্প আমাদের সংস্কৃতি । আমাদের বর্তমান শহুরে জীবন অত্যন্ত কর্মব্যস্ত জীবন জিবিকার প্রয়োজনে মানুষ আজ উৎসম আনন্দ থেকে বন্হিত । তাই আজ যে কোন উৎসবে ই নগরবাসী উচ্ছলিত হয় তাই প্রতিটি উৎসবেই আমাদের বিনোদন প্রেমী নগরবাসী ঘড় ছেড়ে বাহিরে আসে সামান্য বিনোদনের জন্য কিন্তু যেখনে ও আজ ঘটছে নানা অঘটন ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শাওন আক্তার বাঁধন নামের এক তরুনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একদল হয়েনা বিবস্ত্র অবস্হায় উপস্হিত জনতার সাহায্যে পুলিশ উদ্ধার করে শাওন আক্তার বাঁধন কে । ২০১৫ সালে এসে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃতি হলো সেই একই স্হানে তবে এবার আর রাতের অন্ধকারে নয় দিনের আলোয়ে আইন শৃংখলা বাহীনি সহ হাজার জনতার সামনে অন্তত্য গোটা বিশেক তরুনী যুবতীর শ্লীলতাহানি হয় ঠিক যেন আমেরিকার ফ্লোরিডা সমুদ্র তটে প্রকাশ্য দিবালোকে তরুণীকে গণধর্ষণের মত । একই দিনে দেশের আরো খ্যাত নামা দুইটি সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্রীকে ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বপ্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের দ্বারা । আমার কাছে এসব ঘটনা গুলিকে মনে হচ্ছে এটা যেন নতুন করে আমাদের বাংগালীদের শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংসের নতুন করে পায় তারা উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী সদা সর্ব শক্তি দিয়ে ব্যস্ত আছে আমাদের বাংগালীদের শিল্প সংস্কৃতিক তথা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কে ধ্বংস করতে এর সাথে নতুন করে এ আবার কোন অপশক্তির আর্বিভাব যে ওরা আমাদের মা বোনদের ইজ্জনিয়ে সিনি বিনি খেলে নতুন করে ভয় ও আতংকের সৃষ্টি করছে ? হয়তো ওদের চাওয়া আমাদের বাংগালী মেয়েদের সম্ভম বাংগালী তথা বাংলাদেশীদের একটা ঐত্যিহ্যের বড় অংশ মা- বোনের সম্ভম রক্ষার জন্য লাখো বাংগালী হাসিমুখে জীবন উৎর্গ করেছে একাত্তরে আমাদের মাহান মুক্তি যুদ্ধে অথচ সেই বীর শহীদের রক্তকে আজ অপবিত্র করা হচ্ছে । যে কথা বলতে চেয়ে ছিলাম আজকের এই অপশক্তির ধারনা ওরা যে কু-কর্ম করেছে তার জন্য হয়তো আগামীতে কোন পিতা তার মেয়েকে নিয়ে ,কোন স্বামী তার স্ত্রীকে নিয় কোন ভাই তার বোন কে নিয়ে কোন প্রেমীক তার প্রমিকাকে নিয়ে আর বর্ষবরন সহ কোন উৎসবের দিনে ঘর থেকে বের হবে নিস্তব্দ হয়ে যাবে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতি প্রাণ হারাবে আমাদের উৎসব প্রান হারাবে আমাদের নগরবাসী । আদৌ কি এটা সম্ভব ? আমরা চাইনা কোন অপশক্তি হাতে আমাদের শিল্প সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যায় আমরা চাই না কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করতে । আমারা চাই না বর্ষবরণের দিন আর কোন বোনের বস্ত্র হরণ হোক । এখন ই সময় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের নয়তো অচিরেই আমাদের শিল্প সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×