somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইফ সামির
আমি সাইফ সামির (Saif Samir), প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্লগার। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন পুরনো দিনের লেখা! যোগাযোগের ঠিকানা: www.facebook.com/saifsamir

আজ ঐতিহাসিক ২৪ মার্চ: জনৈক ব্লগারের প্রথম পোস্ট দিবস! (একটি ব্যাপক বিনোদনমূলক পোস্ট! :P)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিখ্যাত সামহোয়্যার ইন ব্লগের জনৈক অখ্যাত ব্লগারের আজ প্রথম পোস্ট দিবস। এই দিবসটিকে স্মরণীয় না করার জন্য যাবতীয় আয়োজন ব্লগে সম্পন্ন হয়েছে। এই অবিশেষ দিন উপলক্ষে ব্লগ মাতা (জানা বুবু), ব্লগ পিতা (আরিল্ড ভাইয়া), ব্লগ ভাতৃ ও ভগ্নীবৃন্দ (মডু আঙ্কেল ও তার দল) পৃথক পৃথক বিবৃতি প্রদান করেন নাই। তারা তাদের অপ্রদত্ত বিবৃতিতে যা বলেন নাই তা হলো: "তিনি আমাদের অতি পেইনফুল একজন ব্লগার। তিনি এতোই অনভিজ্ঞ যে আমরা কখনোই তাকে ব্লগের কোন কাজে ডাকি নাই। তারপরও তিনি দেখি লজ্জার মাথা খেয়ে মাঝে মাঝে আমাদেরকে বিভিন্ন সবক দেন। তিনি এতদিনেও কেন এটা বুঝতে পারছেন না যে, এই ব্লগে অনভিজ্ঞতার কোন দাম নাই। লক্ষ্য করে দেখুন, আজ পর্যন্ত তিনি ব্লগে পাঁচ হাজার মন্তব্যও করেন নাই। কখনও সংকলন পোস্টও দেন নাই। তাছাড়া তিনি কখনও আমাদেরকে কোন তৈল মর্দন করেন নাই। যা হোক, উনার আর সম্মানহানি বাড়াতে চাই না। উনি শিগগির ব্লগ থেকে বিদায় নিন এটাই আমাদের মনোকামনা। এই উদ্দেশ্য সম্ভাব্য যা যা করার প্রয়োজন আমরা করছি। যদিও একবার ওনাকে জেনারেল করেছিলাম ও কমেন্ট ব্যান করেছিলাম- কিন্তু উনি এমন লাফালাফি শুরু করে দিলেন যে আমরা এক সপ্তাহও সেটা বজায় রাখতে পারি নাই। ধারণা করা হই, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে ওনার যোগসাজশ আছে। কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার বাঘা বাঘা কয়েকজন সাংবাদিকও নাকি উনার নাম শুনলে মৃগী রোগে ভোগে। কিন্তু এ যাত্রায় তিনি মনে হয় আর বাঁচতে পারবেন না। আমরা সম্প্রতি সরকারকে আরও অনেক নামের সাথে বুদ্ধি করে ওনার নামটা দিয়ে দিয়েছি। ওনার আইপি অ্যাড্রেসসহ যাবতীয় তথ্য এখন সরকারের হাতে। ইয়াহু! যে কোন মুহূর্তে ওনার ঘাড় মটকে দিতে পারে। রিমান্ডে নেয়ার পর ডাণ্ডার বাড়ি খেলে বুঝবে কত পোস্টে কত ব্লগ! হেঃ হেঃ হেঃ যা হোক, আজকের এই কালো দিনে আমরা আন্তরিকভাবে আশা করছি যে, উনি যেন শিগগির কোন এক উছিলায় ব্যান খান। কিংবা উনাকে ব্লগিংয়ে অনুৎসাহিত করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে তার ঠেলায় উনি যেন ব্লগিংয়ে হতাশা বোধ করেন। শিগগির ব্লগ থেকে বিদায় নিয়ে যেন আমাদেরকে উদ্ধার করেন। উনাকে অনেক অনেক নিন্দা এবং অশুভ কামনা।"

এই বিনোদন প্রতিবেদক কর্তৃপক্ষের সুখবাণী দৈবক্রমে উদ্ধার করার পর সেই ব্লগারের বিষয়ে ব্যক্তিগত তথ্য জানতে কথা বলে তার ব্লগবন্ধু প্রীতির সঙ্গে। প্রীতি (ছদ্মনাম, তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে উনি প্রীতির ছবি ব্যবহার করেন) ঝটপটিয়ে বলেন, "আমি যখন প্রথম ব্লগে আসি তখন উনাকে আবিষ্কারের পর ওয়াও টোয়াও করে মন্তব্য দিয়েছিলাম। উনিও আমার ব্লগে আমার প্রশংসা করলেন, দ্যাট মিনস ওনার সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছিলাম! সবার সার্টিফিকেট আগেই পেয়েছি তবে উনারটাও দরকার ছিল। এরপর আমি বিশেষ একধরণে পোস্ট দেয়া শুরু করলাম। ওনার কাজও ওখানে স্থান দিয়েছি। সেই পোস্টগুলো উনি ওনার ফেভারিট করার পর আমার খুব খুশি হয়েছিল। একদিন দেখলাম সেই পোস্টগুলো আর ওনার ফেভারিটে নাই। মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গেল! এর পরের পোস্টগুলো থেকে তাই ওনাকে বাদ দিয়েছি। ওনার ধারণা আমি ওনার কিছু বিষয় নকল করি। কিন্তু এটা ভুল। উনি ব্লগে আমার অনেক আগে আসছেন তো কি হয়েছে? আমি ওর বয়সে বড় এবং আমি ওর চেয়ে বেশি জানি! আমার নাম প্রীতি মণি। বলে দিলাম! আমি বেশি জনপ্রিয়! আমি কমেন্ট বেশি পাই! ও তো কমেন্ট পায় না তেমন! হিঃ হিঃ হিঃ"

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ ব্লগার সত্যিই একজন অখ্যাত ব্লগার। তিনি অখ্যাত ব্লগার হওয়ার পেছনের কারণগুলোর মধ্যে আছে- আজ পর্যন্ত কখনও কোন ব্লগ অ্যাওয়ার্ড না পাওয়া , অ্যাওয়ার্ড পেয়ে কারও মতো ব্যান না হওয়া। অ্যাওয়ার্ড-টেওয়ার্ড না পাওয়ার কারণ হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা বলেন, "দেখুন, যারা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন তাদের সাথে তিনি কখনও দহরম-মহরম করেননি। তাছাড়া তিনি কখনও ধর্ম বিদ্বেষী কিছু লিখেননি। এটা একটা বড় দোষ। অন্যদিকে, আমরা যারা ব্লগে শখের অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করি বা প্রিয় ব্লগার হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মানপত্র লিখি, তিনি তাদেরকেও কখনও সন্তুষ্ট করতে পারেননি। তিনি কখনও আমাদের ব্লগে এসে 'প্রথম প্লাস!', 'প্রথম ভালো লাগা!' বা 'আমি ফার্স্ট হইছি!' জাতীয় মন্তব্য করেননি! কিংবা +++++++++ চিহ্ন দিয়ে মন্তব্যের ঘরে বন্যাও বসাননি! তাছাড়া তিনি 'ভাইয়া আমার... উম্মা!' বা 'আপু আমার লালটুকটুকি' জাতীয় কমপ্লিমেন্টও দেন না। অথচ এসব বেশির ভাগ সময় ভুয়া জানলেও আমরা এগুলো পছন্দই করি। আমাদের প্রিয় ব্লগার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হলে বা একটু নজর কেড়ে নাম করার জন্য যে অ্যাওয়ার্ডগুলো দিই সেগুলো পেতে হলে যে বিষয়গুলো বললাম সেগুলো পূর্বশর্ত। এর বাইরে উনি নিজের ব্লগে অন্যদের চেয়ে যতোই ভালো লিখুক না কেন সে সব আমরা গণায় ধরি না। আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি। তবে তিনি একজন গুণী ব্লগার, বিচিত্র বিষয় নিয়ে লিখেন, লেখার ভাষাও বেশ শক্তিশালী, সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আমরা উনাকে সম্মান করি। কিন্তু উনাকে এটাও বুঝতে হবে ব্লগার হিসেবে তিনি যদি জনপ্রিয় হতে চান তবে উনার উচিত আমাদেরও একটু আধটু ইয়ে টিয়ে করা আরকি! হেঃ হেঃ হেঃ বুঝছেন তো কি বলতে চাচ্ছি!"

জনৈক সেই ব্লগারের বিষয়ে আরও জানতে আমরা আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি। একজন বলেন, "অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকে আছে! এটা আসলেই একটা রহস্য যে বিখ্যাত বা জনপ্রিয় ব্লগার হওয়ার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সে সব খুব একটা না করেও তিনি কিভাবে ব্লগে টিকে আছেন? উনার এতো প্রাণপ্রাচুর্য দেখে অবাক হতে হয়! ইয়াবা টিয়াবা খায় কিনা কে জানে!" আরেকজন বলেন, "জীবনে ওনার কোন পোস্ট স্টিকি হয় নাই। আর পোস্টও নির্বাচিততে আসে খুব কম! তাই ওনার হিটও কম আছে! হাঃ হাঃ হাঃ হিট বিচারে আমি কিন্তু এগিয়ে!" এই মন্তব্যদাতা প্রতিবেদককে ফিসফিসিয়ে আরও বলেন, "সাংঘাতিক ভাই, থুক্কু সাংবাদিক ভাই- আমি নাম প্রকাশে ইচ্ছুক, আমার নামটা প্রতিবেদনে দিয়া দিয়েন। আর ব্লগারদের মধ্যে ফেসবুকে আমার ফলোয়ার অনেক বেশি। তাছাড়া আজ রাত ১২:০১ মিনিটে আপনার ভাবীকে নিয়ে একটা টক-শোতে যাব সেটাও লিখে দিয়েন। আর জানেন তো, আপনার ভাবীও ব্লগার। তবে ওর বেশির ভাগ পোস্ট আমিই লিখে দিই! হেঃ হেঃ এটা আবার প্রতিবেদনে..." এই প্রতিবেদকের টেপ রেকর্ডারের ফিতা শেষ হয়ে যাওয়াতে মন্তব্যদাতার পুরো মন্তব্যটি রেকর্ড হয়নি।

ওদিকে সেই ব্লগারকে আমাদের বিনোদন ডেস্ক অসংখ্যবার মোবাইলে ধরার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকার কারণে যোগাযোগ করতে পারেনি। তবে আমাদের চৌকস অনলাইন ডেস্ক ঠিকই ওনাকে ইমেইলে পেয়ে যান। তারা ঐ ব্লগারের প্রথম ব্লগ পোস্টটি ও ব্লগিং শুরু করার স্মৃতিচারণমূলক পোস্টের লিংক সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তবে শাহবাগ সাইবার টিম থেকে আমাদের বিনোদন অনলাইন ডেস্কে সদ্য যোগ দেয়া তরুণটি আরও বড় সাফল্য অর্জন করেছ। তিনি সেই ব্লগারের কাছ থেকে ভাঙা ভাঙা অমৌলিক ইংরেজিতে একটি লিখিত বিবৃতি আদায় করে নিতে সক্ষম হয়। বিবৃতিটি অপ্রণিধানযোগ্য হলেও প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতার স্বার্থে এখানে উল্লেখ করা হলো:

"I am perfectly aware that there are some people out there who really don't care about the things I post in my blog. Well, I only have one thing to say to them: "No one is forcing you to open my blog. This is my life and I believe that I can do whatever I wish to do."

Right now, all I know is that I'm proud of being a blogger. Not everyone can understand what I do. But hey, I don't care. As long as what I love what I'm doing, it's all that matters.

I am writing this to express my gratitude to the Bloggers community for giving me some recognition every now and then for all the efforts I have been putting for my blog. Thank you fellow Bloggers! You have no idea how much you make me happy. Because of what you do, I become more inspired to blog. I Love you all! :#> :#> :#> "
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৫
১০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×