somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দর্শন আসলে কি ?

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দর্শন বা ফিলোসফি নিয়ে এই লেখাটা লেখবার একটা উদ্দেশ্য আছে | সেটা হলো লোককে জানানো যে দর্শন আসলে কি আর তার উপযোগিতা কি ? আধুনিক কালে যেভাবে দর্শন পড়ানো হয় তাতে লোকের কানাকড়িও লাভ হয় না | দর্শন কিন্তু ফালতু বিষয় নয় | মানুষের অশেষ উপকারে সেটা আসে | তাই দর্শন কি সেটা যথাযথ বলাটা উচিত বলেই মনে করি |

প্রথমে আমরা প্রাচীন যুগের দার্শনিকদের মতামত শুনব |

ক] গ্রিক দার্শনিক

১] সক্রেটিস

ইনি বলেছিলেন : "The unexamined life is not worth living." অর্থাৎ অপরীক্ষিত জীবন যাপন করার কোনো মূল্য নেই | তিনি জগতের সমস্ত কিছুকে পরীক্ষা করেছিলেন | সমস্ত কিছুকে অনুসন্ধান করেছিলেন | তার কাছে দর্শন হলো জীবনকে পরীক্ষা করা | এই পরীক্ষা কিভাবে করেন তিনি ? প্রশ্ন আর উত্তরের দ্বারা | অর্থাৎ প্রশ্ন করা আর উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়েই জীবনকে পরীক্ষা করা হলো দর্শন সক্রেটিসের মতে |

২] প্লাতো

ইনি সক্রেটিসের শিষ্য | ইনি তাঁর বই রিপাবলিক-এ দর্শন তথা দার্শনিকের বিবরণ দিয়েছেন | ওই বইয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম খন্ডে দার্শনিক তথা দর্শনের বিবরণ আছে | ওনার মতে দার্শনিক সর্বদা বিষয়ের চিরস্থায়ী প্রকৃত স্বরূপ জানবেন, পরিবর্তনশীল ওপর চাকচিক্য দেখে ভুলবেন না | তিনি সর্বদা সত্যপ্রিয় হবেন | কখনই মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না | দার্শনিক সর্বদা জ্ঞান ভালবাসবেন | তিনি জাগতিক বস্তুকে ভালবাসবেন না | [ এই কারণেই গ্রিক দার্শনিকদের আমরা অতি সাধারণ বেশে দেখতে পাই | ] দার্শনিক জীবন ও মৃত্যুকে ভয় পাবেন না | তিনি শিখতে ভালবাসবেন |অসাধারণ স্মৃতিশক্তি রাখবেন, জগতের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন না ইত্যাদি |

৩] অ্যারিস্টট্ল

এনার মতে দর্শন হলো জ্ঞানসাধনা | দার্শনিক প্রথমে একটা দুর্বোধ্য হেয়ালির সম্মুখীন হবে | তারপর সেই হেয়ালির সমাধান করার চেষ্টা করবে দর্শন শাস্ত্রের মাধ্যমে | ওনার মেটাফিজিক্স বইতে এইরকমই সংজ্ঞা দেয়া আছে দর্শন তথা দার্শনিকের | দার্শনিক শুধু জ্ঞানের জন্য জ্ঞান চাইবে , অর্থের জন্য নয় | আর এই দার্শনিক খোঁজ কিভাবে হবে ? প্রথমে খোঁজার পথে যেসব বস্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেগুলিকে জানতে হবে | তাহলেই হেয়ালির সমাধান হয়ে যাবে | উনি মেটাফিজিক্সের বেটা বইতে এইরকম দার্শনিক হেয়ালির উদাহরণ ও সমাধান দুইই দেখিয়েছেন |

উনি দর্শনের কতগুলো সুত্র ওনার গামা বইতে দিয়েছেন | ল অফ আইডেন্টিটি , ল অফ নন কনট্রাডিক্সন আর ল অফ এক্সক্লুডেড মিডল | প্রথমটি বলে একই বস্তুর ব্যাপারে অনেক ভাবে অনেক কথা বলা যায় | যেমন স্বাস্থ্য | কিভাবে সুস্থ থাকবেন, কেন সুস্থ থাকবেন ইত্যাদি ওই একই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বলা হয়েছে | দ্বিতীয়টি বলছে স্ববিরোধ থাকবে না | তৃতীয়টি বলছে হ্যা আর না-এর মাঝামাঝি কিছু থাকবে না | এইটি ফাজি লজিকের বিরুদ্ধে যায় |

খ] রোমান দার্শনিকগণ

এপিক্টেটাস ও স্টয়িক দার্শনিকরা

এনার মতে দার্শনিকদের কাজ হলো যা কিছু অনুভব করা যায় সেই সব কিছুকে পরীক্ষা করা | এই পরীক্ষার উপযুক্ত মানদন্ড নির্মান করা | এনার মতে বিরোধ বা contradiction হলো ভুল তথা মিথ্যা | সত্য হলো অবিরোধ | আরিস্ততলের দর্শনের সাথে মিল পাওয়া যায় |
দার্শনিকরা দেখবে কোনটি আমার আয়ত্তে আছে আর কোনটি নেই | এই কথার গভীর তাত্পর্য আছে | একমাত্র এইভাবেই মানুষ বাঁচতে পারে | বলাবাহুল্য যে এইসব করতে গেলে প্রশ্ন-উত্তরের খেলা ছাড়া আর কোনো ভাবে সম্ভব নয় |

গ] ভারতীয় দার্শনিকগণ

ন্যায় দর্শন

ন্যায় দর্শনে ১৬ টা পদার্থের বিচারের মাধ্যমে শ্রেয়ঃ লাভের কথা আছে | এই পদার্থগুলি হলো : প্রমান, প্রমেয়, সংশয়, প্রয়োজন, দৃষ্টান্ত, সিদ্ধান্ত, অবয়ব, তর্ক, নির্ণয়, বাদ, জল্প, বিতণ্ডা, হেত্বাভাস, ছল, জাতি, নিগ্রহস্থান | এইগুলি সবই বিচারে সাহায্য করে | কি বিচারে ? না জাগতিক পদার্থের বিচারে |

ঘ] চীনা দার্শনিকগণ

এঁদের মধ্যে কনফুসিয়াস-এর নাম উল্লেখযোগ্য | ইনি বলেছিলেন সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত |

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে দর্শন একটা এমন জিনিস যা মানুষকে বিচার করতে শেখায় | তা সে ভারতীয় ন্যায় দর্শনই হোক বা গ্রিক দর্শন হোক | দর্শনের বিষয় অনন্ত | পদ্ধতি একটাই | পৃথিবী জুড়ে এইরকম দর্শনই প্রাচীন যুগে প্রচলিত ছিল | দর্শন মানুষকে জগতের পদার্থগুলিকে পরীক্ষা করে হিতাহিত নির্ণয় করতে শেখায় | আর এইখানেই বিপদ |

যদি একটা লোক আজ রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজ-এর ব্যাপারে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করে আসল সত্যি জানতে চায় তাহলে শাসক শ্রেণী শোষণ করবে কি করে ? সমাজই বা অত্যাচার করবে কি করে ? অতএব দর্শনকে বাঁচতে দেয়া চলবে না | তাকে এখনি মারতে হবে | মধ্যযুগে পৃথিবী জুড়ে তাই দর্শনের মারণযজ্ঞ চলতে লাগলো |

মধ্যযুগ : দর্শনের মৃত্যুঘন্টা বেজে উঠলো

ক] ইউরোপ

খ্রীষ্টধর্ম নামে এক ধর্মের আবির্ভাব ঘটল | এই ধর্মের অধীনে দর্শনকে আনা হলো | শেষ স্বাধীন দার্শনিক ছিলেন হাইপেশিয়া | ইনি আলেকজান্দ্রিয়ার বাসিন্দা ছিলেন | এনাকে খ্রিস্টান বীরপুঙ্গবেরা নৃসংশ ভাবে হত্যা করে | মধ্যযুগে দর্শনকে ধর্মের পুল্টিশ চোখে লাগিয়ে বিচার করতে হত | প্রাচীন যুগের মত খোলামেলা বিচার ছিল না | আর কোনো ধারনাকে মাথায় গুঁজে সত্যকে খুঁজতে গেলে কখনই পাওয়া যায় না | মধ্যযুগীয় দর্শনও পেল না | দর্শনের প্রতিটা অনুসন্ধানকে বাইবেলের সাথে খাপ খাওয়াতে হত | অন্যথায় জুটত নির্মম অত্যাচার | এরই বলি হয়েছিল গ্যালিলিও, ব্রুনো, পারাসেলসাস ইত্যাদি বিজ্ঞানীরা | কোপার্নিকাস ভয়ের চোটে তার বই ছাপতে পারেন নি | দেকার্তে তার বই সব পুড়িয়ে দেবার কথা চিন্তা করেছিলেন | দার্শনিকরা হয়ে গেল চিড়িয়াখানার আজব জন্তু | মূর্খদের রমরমা হতে লাগলো |

খ] মধ্যপ্রাচ্য

ইসলামের আবির্ভাব হলো | তার হাতে দর্শন নিগৃহিত হতে লাগলো | ইসলাম সর্বপ্রকার দর্শন চর্চা নিষিদ্ধ করে | তবু আব্বাসীয় খলিফাদের আমলে কিছুটা বিজ্ঞান চর্চা হয় | পরবর্তীরা সবই বন্ধ করে | এই সময়েই আরব দার্শনিকদের এক অংশ মুতাজিলি নাম নিয়ে দর্শনের চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে খুঁজতে থাকে | আবার সেই ধর্মের পুল্টিশ চোখে লাগিয়ে দার্শনিক বিচার | ইউরোপের সাথে কি অদ্ভুত মিল, না ?

গ] ভারত

বৌদ্ধ ধর্মের আগমনের ফলে ন্যায় দর্শনের চর্চা ব্যাহত হয় | ধীরে ধীরে ন্যায় দর্শন শুধু তর্ক আর কচকচির মধ্যে আটকে পড়ে | কার্যক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না | মুসলিম আমলে ভারতে সম্পূর্ণভাবে দর্শন চর্চা বিনষ্ট হয় | মুঘল আমলে হিন্দু দার্শনিকদের অত্যন্ত দুর্দশার মুখে পড়তে হয় |

লোকাচারের অধীনে দর্শন চলে যায় | এখানেও দার্শনিকরা চিড়িয়াখানার আজব জন্তুতে পরিনত হয় |

ঘ] চীন

বর্বর ইউআন বংশের শাসন কালে চিনের সুকুমার বৃত্তি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় | এরপর কিছু রাজা আসেন যারা শুধু আইনের শাসনকেই বড় করে দেখেন | এঁদের আমলে কনফুসিয়াসের যুক্তিবাদী দর্শন একেবারে নষ্ট হয় |

আধুনিক যুগ : দর্শনের কফিনে শেষ পেরেক

তখনও কিছুটা দর্শন অবশিষ্ট ছিল | মানুষ ভালো মন্দ বিচার করতে পারত | কিন্তু আধুনিক যুগের সূচনার পর থেকে দর্শনের সেই অবশিষ্ট ক্ষমতাটুকুও চিরতরে বিনষ্ট হলো | এই আধুনিক যুগে দর্শন শুধুমাত্র কতগুলো মতামত পথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ | আমি আজ ৫ বছর ধরে দর্শন পড়ে আসছি | আমি প্রতিটা বইতে দেখি শুধু ভাববাদ আর বস্তুবাদের দ্বন্দ লেখা আছে | স্কুলপাঠ্য বইতে কোন দার্শনিক কি বলেছিল এইটাই শুধু পড়ানো হয় | দর্শনের ছাত্রদের বস্তুবিচার শিখানো হয় না | কোনো বস্তুর সত্য মিথ্যা কিভাবে বুঝবে তা শিখানো হয় না | শুধু কোন দার্শনিক কি বলেছিল | এর ফলে এখন দর্শনের ছাত্ররা তুলনাপুর্বক বিচার করতে শিখছে না | তারা শুধু মুখস্ত করছে আর বমি করছে | এটাই দর্শনের কফিনে শেষ পেরেক |

সক্রেটিসের মত কোনো দার্শনিক আজ আর প্রশ্ন করে না | প্রশ্ন করাটা তো আজ বারণ | যে করে , সে মরে | মুক্তমনারা প্রশ্ন করতে গিয়ে মরেছে | দেশে দেশে , এই আধুনিক যুগে | শুদ্ধু মেনে নাও | মুখ বুজে, ভারবাহী গাধার মত মেনে নাও | মুখ খুলেছ কি মরেছ | হাতে এবং ভাতে | এই তো এখনকার দস্তুর |

আজ কয়টা দর্শনের ক্লাসে প্রশ্ন করা শেখায় ? অথচ প্রশ্ন হলো দর্শনের প্রাণ | প্রশ্ন না উঠলে দার্শনিক বিচার কখনই সম্ভব নয় | কিন্তু কয়টা স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে প্রশ্ন করা শেখানো হয় ? একটাও না | টিচারকে প্রশ্ন করার মানে হলো বিদ্রোহ করা | যাই হোক |

দর্শনের এই মরাঘটা অবস্থা থেকে দর্শনকে উদ্ধার আমাদের দর্শনপ্রেমিদেরকেই করতে হবে | কাজ খুবই কঠিন | তবুও করতে হবে আমাদের স্বার্থে | আজ বিচার না করলে আমাদের বাঁচার উপায় নেই | অজ্ঞানতার অন্ধকার বাঁচার চেয়ে জ্ঞানের আলোয় মরাও ভালো |
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
২৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×